You dont have javascript enabled! Please enable it! কছিম উদ্দিন আহম্মদ - সংগ্রামের নোটবুক
কছিম উদ্দিন আহম্মদ
১৯১৭ সালের ৩ মার্চ বর্তমান সিরাজগঞ্জ জেলার পুরান টেপরী গ্রামে কছিম উদ্দিন আহম্মদের জন্ম। তাঁর বাবা মৌলভী মহিউদ্দিন সরকার।  কছিম উদ্দিনের শিক্ষাগত যােগ্যতা আই. এ. এম, (মােমতাজুল মােহাদ্দেসিন)। আজীবন শিক্ষাব্রতী কছিম উদ্দিন আহম্মদ দিনাজপুর, দার্জিলিং, জলপাইগুড়িতে সেকেন্ড মওলানা হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তার শিক্ষানুরাগ, সমাজসেবা, খেলাধুলা-প্ৰীতি উল্লেখ করার মতাে। তিনি পাবনা স্কাউট আন্দোলনের পুরােধা ছিলেন। কছিম উদ্দিন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ন্যাশনাল স্কাউট অর্গানাইজেশনের নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি ছিলেন ইসলামিয়া কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি।
কলেজটির বর্তমান নাম ‘শহীদ বুলবুল কলেজ। এছাড়া কছিম উদ্দিন পাবনা স্পাের্টস অ্যাসােসিয়েশনের সেক্রেটারি, পাবনা মুসলিম ইনস্টিটিউটের সেক্রেটারি, পাবনা নৈশ মহাবিদ্যালয়ের সেক্রেটেরি, পাবনা মাধবপুর মহাবিদ্যালয়ের সেক্রেটারি, পাবনা সিভিল ডিফেন্সের ইনস্ট্রাক্টর, রেডক্রস পাবনা ইউনিয়নের সেক্রেটারি ও পাবনা অরফানেজ প্রপার্টির কেয়ারটেকার ছিলেন। ১৯৭১ সালের ৪ জুন তিনি পাকবাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। সেদিন তিনি কর্মস্থল পাবনা জেলা স্কুল থেকে বাসে করে নিজ গ্রামে ফিরছিলেন। এ সময় ঢাকাপাবনা রােডে মহেন্দ্রপুর চেকপােস্টে পাকবাহিনী তাকে আটক করে। এরপর ১০ জুন রাত ৮টায় গুলি করে তাকে হত্যা করা হয়। তাঁর লাশ পাশের গর্তে ফেলে দেওয়া হয়।  শহীদ কছিম উদ্দিন আহম্মদ চার ছেলে ও দুই মেয়ের বাবা ছিলেন।

সূত্র : শহীদ বুদ্ধিজীবী কোষ –  আলী মাে. আবু নাঈম, ফাহিমা কানিজ লাভা