জিয়া যেমন করাচীয়ান মেজর জলিল তেমনি মারিয়ান। মেজর জলিল এসএসসি পাশের পর চলে যান পশ্চিম পাকিস্তানের পর্যটন নগরী মারীতে। সেখানে তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। জলিল পরে সেখান থেকেই এমএ পাশ করেন। দুজনেই ছিলেন হাফ হার্টেড মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধে তাদের পদায়ন এবং পরবর্তীতে তাদের উপর সরকারের অসন্তোষটি তা কিছুটা প্রমান করে। স্বাধীনতা পরবর্তী তাদের পাকিস্তান প্রেম তাদের প্রতি উক্ত ধারনা আরও জোরালো হয়। জলিল তার জীবনের শেষে ইসলামী রাজনীতি ও দর্শনের দিকে ঝুকে পড়েন। তার দল ও রাজনীতির জন্য পাকিস্তান আর মধ্যপ্রাচ্য এর সমর্থন খুব প্রয়োজন ছিল এবং সে প্রচেষ্টাতেই তিনি ছিলেন। প্রকৃত অর্থেই তিনি ইসলামিক রাজনীতির ধারক ছিলেন কিনা তা প্রমানের কিছু দরকার ছিল। তাই তিনি কিছু ইসলামিক প্রকাশনার দিকে ঝুকে পড়েন। তার গ্রন্থ দৃষ্টিভঙ্গী ও জীবন দর্শন তার একটি। এ বইয়ে তিনি আউজুবিল্লাহ এর উপর গবেষণা ধর্মী লেখা লিখেছেন। তার দাবী ছিল আউজুবিল্লাহ এর উপর এর আগে কেউ বিস্তারিত গবেষণা করেননি। এর পর জলিল আর আগাতে পারেননি। তার অতীত হিপ্পি জীবনের প্রভাব তার স্বাস্থ্য এর উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল। এর মাস কয়েক পর ইসলামাবাদ সফরেই তিনি পরলোক গমন করেন। তার মৃত্যুতে দেশ একজন উদীয়মান ইসলামী চিন্তাবিদ থেকে বঞ্চিত হয়েছে।