You dont have javascript enabled! Please enable it! 1953.01.29 | পাকিস্তানী গোয়েন্দা নথিতে বঙ্গবন্ধু | সিরাজগঞ্জে মাওলানা ভাসানী, মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগিশের মুক্তি চাইলেন বঙ্গবন্ধু - সংগ্রামের নোটবুক

সিরাজগঞ্জে মাওলানা ভাসানী, মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগিশের মুক্তি চাইলেন বঙ্গবন্ধু

২৯ জানুয়ারি ১৯৫৩ তারিখের পাকিস্তানী গোয়েন্দা রিপোর্টে জানা যায়, ২৯ জানুয়ারি ১৯৫৩ তারিখে ভোর সাড়ে চারটায় ট্যাক্সিতে ও ট্রেনে করে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শেখ মুজিবুর রহমান পাবনা থেকে ঈশ্বরদী হয়ে সিরাজগঞ্জে অভিমুখে রওনা করেন। যাত্রাপথে শরতনগর, লাহিড়ী মোহনপুর এবং সলাপ রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন থামলে ছাত্র ও জনগণ “হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী জিন্দাবাদ, আপকিস্তান জিন্দাবাদ” ইত্যাদি শ্লোগান দেয়। তারা সকাল ১১ টার সময় সিরাজগঞ্জে পৌঁছান। সেখানে আকবর আলী, আমির হোসেন বি এল এবং আরও পাঁচ শতাধিক লোক তাদের স্বাগত জানায়। তাদের শ্লোগান ছিল, “কায়েদে পাক জিন্দাবাদ, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী জিন্দাবাদ, শেখ মুজিবুর রহমান জিন্দাবাদ, ভাসানির মওলানার মুক্তি চাই, রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই” ইত্যাদি। এরপর তারা আওয়ামী লীগ অফিসের দিকে রওনা করেন।

বিকেল ৩ টা ৫০ মিনিটে খান সাহেব ময়দানে সভা শুরু হয়। পবিত্র কোরআন পাঠ দিয়ে অনুষ্ঠান আরম্ভ হয়। সভাপতিত্ব করেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। প্রায় ২০ হাজার লোকের সমাগম ঘটে। শেখ মুজবুর রহমান সংক্ষেপে সরকারের পাট, তামাক, সুপারি, শিক্ষা, রাষ্ট্রভাষা ইত্যাদি নানা বিষয়ে বক্তব্য দেন। তিনি পশ্চিম পাকিস্তানে বাংলা শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবী জানান। তিনি বলেন, যদি তিন মাসের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন না করা হয় তাহলে পূর্ব বাংলায় উর্দুকে বয়কট করা হবে। তিনি সম্প্রতি করাচীতে পুলিশ কর্তৃক ছাত্র-জনতার উপর গুলিবর্ষনের তীব্র নিন্দা করেন। তিনি উপস্থিত জনতাকে আওয়ামী লুসলিম লীগে যোগদান করতে অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, এর ফলে মুসলিম লীগকে হঠানো যাবে এবং পাকিস্তানকে রাহুমুক্ত করা যাবে। এছাড়া তিনি মাওলানা ভাসানী, মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগিশ সহ অন্যান্য বিনা বিচারে আটক রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দাবী করেন। [1, p. 58]

References:
[1] S. Hasina, Secret Documents of Intelligence Branch on Father of the Nation, Bangladesh Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman Declassified Documents Vol – III (1953). Hakkany Publisher’s, 2019.