৯ মে ১৯৭১
এই দিনে খুলনা শান্তি কমিটির সভাপতি তার জেলার ৩টি মহকুমার কমিটি গঠন করেন। রাজাকার বাহিনী গঠনে ভুমিকা পালন করেন।
নোটঃ
রাজাকার মাওলানা আবুল কালাম মুহাম্মদ ইউসুফ
জন্ম ও শিক্ষা:
১৯২৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারী খুলনা বিভাগরে বাগেরহাট জিলার শরণখোলা থানায় জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি আলিম পরীক্ষায় মেধা তালিকায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন এবং ১৯৫০ সালে ঢাকা আলীয়া মাদরাসা থেকে ফাজিল পরীক্ষায় প্রথম স্থান দখল করেন ও ১৯৫২ সালে কামিল পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন।
রাজনৈতিক জীবন:
১৯৫২ সালের মাঝামাঝি তিনি জামায়াতে ইসলামীতে একজন মুত্তাফিক হিসেবে যোগদান করেন। একই বছরে ডিসেম্বরে তিনি পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর (রুকন) সদস্যপদ লাভ করেন। ১৯৬৩ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং পাকিস্তান কেন্দ্রিয় মজলিসে শুরার সদস্য ছিলেন। ১৯৮৩ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সেক্রেটারী জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৮৮ সাল থেকে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের নায়েবে আমীর হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
তিনি ১৯৬২ সালে জাতীয় পরিষদের সদস্য (নির্দলীয়) নির্বাচিত হন।
তিনি ৬০-এর দশকে সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৬৬ সাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত পি.ডি.এম. এবং ডাক-এর কেন্দ্রিয় সদস্য ছিলেন। তিনি বেশ কয়েকবার কারাবরণ করেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে তিনি ২য় স্থান অধিকার করেন। তিনি পাকিস্তানি সামরিক চক্রের শীর্ষ স্থানীয় দোসর হিসাবে ১৯৭১ সালে মন্ত্রিত্ব গ্রহন করেন। তিনি প্রথম বেসরকারি ভাবে রাজাকার বাহিনী প্রতিষ্ঠা করেন। তার দেখাদেখি পাকিস্তান সরকার পশ্চিম পাকিস্তানে গড়ে উঠা রাজাকার বাহিনীর (আনসার ট্রেনিং প্রাপ্ত ধরনের) আদলে আনসার বাহিনী বিলুপ্ত করে পেশাদার বেতনভোগী আনসার বাহিনী গড়ে তুলেন।