You dont have javascript enabled! Please enable it!

জিয়া নিজেই মাঠে নামেন
খুলনা জেল হত্যাকাণ্ড

জিয়া নিজেই মাঠে নামেন
২৯. রাজশাহী কারাগারে তিনজন বন্দীকে গুলী করে হত্যার খবর ছড়িয়ে পরার সাথে সাথেই সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। গুলী চলাকালীন সময়ই বিপুল জনতা রাজশাহী জেলের সামনে ভিড় করে বিভিন্নরকম শ্লোগান দিতে থাকে। অল্পক্ষণের মধ্যেই বিরাট-বিরাট প্রতিবাদ মিছিল ও বিকেলে রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে ভুবনমােহন পার্কে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরদিন রাজশাহী শহরে পালিত হয় পূর্ণ হরতাল। ঢাকায় দশ দলের পক্ষ থেকে হরতাল আহবান করা হয় প্রায় সব দলই প্রত্যক্ষ ও পরােক্ষভাবে হরতালেরর প্রতি সমর্থন জানায়। হরতাল পালন একটি গণতান্ত্রিক অধিকার হলেও সরকারী দল হরতাল বানচালের জন্য সর্বশক্তি নিয়ােগ করে। বিএনপি’র শুধু কর্মকর্তারাই নয়, প্রেসিডেন্ট জিয়া নিজেও মাঠে নামেন এবং একটি সভায় ঘােষণা করেন- “কোন মতেই হরতাল হতে দেয়া যায় না। প্রেসিডেন্ট জিয়া নিজে হরতালের আগের দিন সন্ধ্যায় ঢাকার বিভিন্ন বাজারসমূহ পরিদর্শন করে দোকানপাট খােলা রাখার অনুরােধ জানান। এছাড়া জাতীয়তাবাদী যুবদলের সদস্যরাও ট্রাক ভর্তি করে সন্ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টা চালায়।

হরতাল বন্ধে জালিয়াত
৩০. সবচেয়ে বড় জালিয়াতির আশ্রয় নেয়া হয় গভীর রাতে। সরকারী দলের পক্ষ থেকে মাইকে প্রচার করা হয়- আগামী কাল অনিবার্যকারণে হরতাল স্থগিত রাখা হয়েছে। সরকারী দলের সব রকম চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়ে ৯ই ফেব্রুয়ারী সারা ঢাকা শহরে স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল পালিত হয়। স্বাধীনতার পর এমনি পূর্ণ হরতাল পালন এই প্রথম।

হরতালে সন্ত্রাসঃ আরাে লাশ
৩১. হরতালের দিন ভাের থেকে সরকারী দলের পক্ষ থেকে দারুণ ত্রাস সৃষ্টি করা হয়। ভাের বেলায় বেপরােয়াভাবে হামলা চালানাে হয় আওয়ামী লীগ, কমুনিস্ট পার্টি ও জাসদ অফিসে। সারা শহরে এক শ্রেণীর যুবক মাইকোবাস ও জীপে করে পুলিশের সাথে বেরিকেড ভাঙার কাজে অংশ নেয় এবং ফাঁকা গুলী করে আতঙ্কের সৃষ্টি করে। হকিষ্টিক ও লাঠিসোটা নিয়ে যুবকরা বিভিন্ন স্থানে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত মিছিলের ওপর হামলা চালায়। হরতালের দিনে প্রাণ হারায় মােহাম্মদ শাহজাদা বাদশা ও নূরুল আলম। নুরুল আলম ভিক্টোরিয়া পার্কের কাছে এবং শাহজাদা আজিমপুরে গুলীবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে মারা যায়। আহত হয় প্রায় শতাধিক। শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় তিনশ’ লােককে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত অনেকের বিরুদ্ধেই ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের অভিযােগ এনে মামলা দায়ের করে জিয়াউর রহমানের সরকার।

খুলনা জেল হত্যাকাণ্ডঃ আরাে লাশ
৩২. জেলখানার সমাগ্রিক কর্তৃত্ব ছিনিয়ে নিয়ে জেলভেঙে কয়েদীদের পালিয়ে যাবার ছিলাে অপূর্ব সুযােগ। কিন্তু পালিয়ে যাওয়া তাদের উদ্দেশ্য ছিলাে না। জেলবন্দীদের কতগুলাে মৌলিক অীধকারের প্রশ্ন, সেই অধিকারবােধ নিয়ে জেলকর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনমহলের সঙ্গে কয়েদীদের বিবাদ-বচসা এবং সর্বশেষে তার জের হিশেবে ৫০ জন বন্দীকে হত্যা, সংক্ষেপে এই ছিলাে ২১শে অক্টোরের খুলনা জেলের নির্মম ঘটনাবলির সংক্ষিপ্ত পরিচয়। খুলনা জেলখানার কয়েদী ধারণ ক্ষমতা ছিলাে ২৪৫ জন, ঘটনার সময়ে সেখানে অবস্থান করছিলেন ৯১০জন জেলবন্দী ও ১০৬ জন জেলকর্মচারী। প্রতি সপ্তাহে বিচারাধীন অসংখ্য বন্দীকে নিয়মমাফিক নিয়ে যাওয়া হতাে আদালতে, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তাদের বসিয়ে রাখা হতাে কোর্ট-হাজতে। বিচার বা চার্জশীট ছাড়াই সন্ধ্যার সময় আবার তাদের ফিরিয়ে হতাে জেলখানায়। বিচারের এই নিত্য নৈমিত্তিক প্রহসন বিচারাধীন বন্দীদের মানসিক ও শারীরিক চাপ সৃষ্টি করে।
৩৩. এই অবস্থায় কয়েদীদের পেশকৃত ২৩ দফা দাবিগুলাের মধ্যে ছিলাে জেলার, ডেপুটি জেলার ও জেল-ডাক্তার সহ কতিপয় অসৎ কর্মচারীর অপসারণ, উন্নতর আহার ও চিত্তবিনােদনের ব্যবস্থা, বিচারাধীন বন্দীদের মামলা অবিলম্বে নিষ্পত্তিকরণ, তিন বছরের বেশি বিচারাধীন অবস্থায় আটকে রাখা বন্দীদের বিনাশর্তে মুক্তিপ্রদান, সামরিক আদালতে সাজাপ্রাপ্ত বন্দীদের উচ্চতর আদালতের আপিলের সুযােগ প্রদান, ইত্যাদি। ২৩-দফা দাবি আদায় করাই হলাে তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য।
৩৪. ২১শে অক্টেবর সকাল। কয়েদীদের সঙ্গে স্থানীয় আইন রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের প্রায় ঘন্টাব্যাপী একটি সুদীর্ঘ লড়াইয়ের সূত্রপাত ঘটে, যার ফলে ১১৪ জন পুলিশ ৬ জন দমকলবাহিনী সদস্য এবং আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়নের ৫জন সৈনিকও আহত হয়।
৩৫. সরকারী প্রেসনােটে এই ঘটনাকে দু’ দল বিবদমান কয়েদীর মধ্যে সংঘর্ষে জের বলে অভিহিত করে দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে চায়। জেল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনের নিরুদ্বিগ্ন অসহযােগিতা এ কথাই প্রমাণ করে দেয় যে, এর পেছনে ছিলাে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ। রংপুর, ময়মনসিংহ ও রাজশাহী জেলের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার ফলে ৫০ জন কয়েদীকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা এবং প্রায় দেড়শ’ কয়েদীকে মারাত্মকভাবে আহত করতে জিয়া শাহীর প্রচেষ্টার কোনাে ঘাটতি ছিলাে।

ঢাকা জেল রক্তের দাগ শুকায়নি ?
৩৬. ১৯৭৭ সালের ২২শে জুন ঢাকা জেলের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক বন্দীদের উপর অত্যাচার চালানাে হয়। ভােরবেলা জেল কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ‘পাগলা ঘন্টা বাজিয়ে কারারক্ষী ও পুলিশ বেপরােয়া আক্রমণ করে। ‘৭৫-এর চার নেতার রক্তের দাগ শুকায়নি জেল অভ্যন্তরে। আক্রমণে আবদুল মমিন তালুকদার, মাহবুব উদ্দিন, আবদুল কুদ্স মাখন, আতিকুর রহমান প্রমুখ আহত হয়েছেন। দেশব্যাপী জেলের মধ্যে এই আক্রমণের তীব্র প্রতিবাদ ওঠে। ১৯ ঢাকা জেলের ঘটনা নিয়ে এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ১৯৭৭ সনের ১ জুলাই এক জরুরী তারবার্তা প্রেরণ করে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নিকট। এর জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন ও কমিশনের রিপাের্ট প্রকাশের অনুরােধ জানায়।

ভিডিও – ১৯৭৮ এর জিয়ার বাজেট ঘোষণা

জিয়ার রাজত্ব

জিয়ার রাজত্ব (ধারাবাহিক পর্ব)জিয়া নিজেই মাঠে নামেনখুলনা জেল হত্যাকাণ্ড::::::::::::::::::::::::::::::জিয়া নিজেই মাঠে নামেন২৯. রাজশাহী কারাগারে তিনজন বন্দীকে গুলী করে হত্যার খবর ছড়িয়ে পরার সাথে সাথেই সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। গুলী চলাকালীন সময়ই বিপুল জনতা রাজশাহী জেলের সামনে ভিড় করে বিভিন্নরকম শ্লোগান দিতে থাকে। অল্পক্ষণের মধ্যেই বিরাট-বিরাট প্রতিবাদ মিছিল ও বিকেলে রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে ভুবনমােহন পার্কে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরদিন রাজশাহী শহরে পালিত হয় পূর্ণ হরতাল। ঢাকায় দশ দলের পক্ষ থেকে হরতাল আহবান করা হয় প্রায় সব দলই প্রত্যক্ষ ও পরােক্ষভাবে হরতালেরর প্রতি সমর্থন জানায়। হরতাল পালন একটি গণতান্ত্রিক অধিকার হলেও সরকারী দল হরতাল বানচালের জন্য সর্বশক্তি নিয়ােগ করে। বিএনপি’র শুধু কর্মকর্তারাই নয়, প্রেসিডেন্ট জিয়া নিজেও মাঠে নামেন এবং একটি সভায় ঘােষণা করেন- “কোন মতেই হরতাল হতে দেয়া যায় না। প্রেসিডেন্ট জিয়া নিজে হরতালের আগের দিন সন্ধ্যায় ঢাকার বিভিন্ন বাজারসমূহ পরিদর্শন করে দোকানপাট খােলা রাখার অনুরােধ জানান। এছাড়া জাতীয়তাবাদী যুবদলের সদস্যরাও ট্রাক ভর্তি করে সন্ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টা চালায়।হরতাল বন্ধে জালিয়াত৩০. সবচেয়ে বড় জালিয়াতির আশ্রয় নেয়া হয় গভীর রাতে। সরকারী দলের পক্ষ থেকে মাইকে প্রচার করা হয়- আগামী কাল অনিবার্যকারণে হরতাল স্থগিত রাখা হয়েছে। সরকারী দলের সব রকম চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়ে ৯ই ফেব্রুয়ারী সারা ঢাকা শহরে স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল পালিত হয়। স্বাধীনতার পর এমনি পূর্ণ হরতাল পালন এই প্রথম।হরতালে সন্ত্রাসঃ আরাে লাশ৩১. হরতালের দিন ভাের থেকে সরকারী দলের পক্ষ থেকে দারুণ ত্রাস সৃষ্টি করা হয়। ভাের বেলায় বেপরােয়াভাবে হামলা চালানাে হয় আওয়ামী লীগ, কমুনিস্ট পার্টি ও জাসদ অফিসে। সারা শহরে এক শ্রেণীর যুবক মাইকোবাস ও জীপে করে পুলিশের সাথে বেরিকেড ভাঙার কাজে অংশ নেয় এবং ফাঁকা গুলী করে আতঙ্কের সৃষ্টি করে। হকিষ্টিক ও লাঠিসোটা নিয়ে যুবকরা বিভিন্ন স্থানে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত মিছিলের ওপর হামলা চালায়। হরতালের দিনে প্রাণ হারায় মােহাম্মদ শাহজাদা বাদশা ও নূরুল আলম। নুরুল আলম ভিক্টোরিয়া পার্কের কাছে এবং শাহজাদা আজিমপুরে গুলীবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে মারা যায়। আহত হয় প্রায় শতাধিক। শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় তিনশ' লােককে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত অনেকের বিরুদ্ধেই ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের অভিযােগ এনে মামলা দায়ের করে জিয়াউর রহমানের সরকার।খুলনা জেল হত্যাকাণ্ডঃ আরাে লাশ৩২. জেলখানার সমাগ্রিক কর্তৃত্ব ছিনিয়ে নিয়ে জেলভেঙে কয়েদীদের পালিয়ে যাবার ছিলাে অপূর্ব সুযােগ। কিন্তু পালিয়ে যাওয়া তাদের উদ্দেশ্য ছিলাে না। জেলবন্দীদের কতগুলাে মৌলিক অীধকারের প্রশ্ন, সেই অধিকারবােধ নিয়ে জেলকর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনমহলের সঙ্গে কয়েদীদের বিবাদ-বচসা এবং সর্বশেষে তার জের হিশেবে ৫০ জন বন্দীকে হত্যা, সংক্ষেপে এই ছিলাে ২১শে অক্টোরের খুলনা জেলের নির্মম ঘটনাবলির সংক্ষিপ্ত পরিচয়। খুলনা জেলখানার কয়েদী ধারণ ক্ষমতা ছিলাে ২৪৫ জন, ঘটনার সময়ে সেখানে অবস্থান করছিলেন ৯১০জন জেলবন্দী ও ১০৬ জন জেলকর্মচারী। প্রতি সপ্তাহে বিচারাধীন অসংখ্য বন্দীকে নিয়মমাফিক নিয়ে যাওয়া হতাে আদালতে, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তাদের বসিয়ে রাখা হতাে কোর্ট-হাজতে। বিচার বা চার্জশীট ছাড়াই সন্ধ্যার সময় আবার তাদের ফিরিয়ে হতাে জেলখানায়। বিচারের এই নিত্য নৈমিত্তিক প্রহসন বিচারাধীন বন্দীদের মানসিক ও শারীরিক চাপ সৃষ্টি করে।৩৩. এই অবস্থায় কয়েদীদের পেশকৃত ২৩ দফা দাবিগুলাের মধ্যে ছিলাে জেলার, ডেপুটি জেলার ও জেল-ডাক্তার সহ কতিপয় অসৎ কর্মচারীর অপসারণ, উন্নতর আহার ও চিত্তবিনােদনের ব্যবস্থা, বিচারাধীন বন্দীদের মামলা অবিলম্বে নিষ্পত্তিকরণ, তিন বছরের বেশি বিচারাধীন অবস্থায় আটকে রাখা বন্দীদের বিনাশর্তে মুক্তিপ্রদান, সামরিক আদালতে সাজাপ্রাপ্ত বন্দীদের উচ্চতর আদালতের আপিলের সুযােগ প্রদান, ইত্যাদি। ২৩-দফা দাবি আদায় করাই হলাে তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য।৩৪. ২১শে অক্টেবর সকাল। কয়েদীদের সঙ্গে স্থানীয় আইন রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের প্রায় ঘন্টাব্যাপী একটি সুদীর্ঘ লড়াইয়ের সূত্রপাত ঘটে, যার ফলে ১১৪ জন পুলিশ ৬ জন দমকলবাহিনী সদস্য এবং আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়নের ৫জন সৈনিকও আহত হয়।৩৫. সরকারী প্রেসনােটে এই ঘটনাকে দু' দল বিবদমান কয়েদীর মধ্যে সংঘর্ষে জের বলে অভিহিত করে দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে চায়। জেল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনের নিরুদ্বিগ্ন অসহযােগিতা এ কথাই প্রমাণ করে দেয় যে, এর পেছনে ছিলাে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ। রংপুর, ময়মনসিংহ ও রাজশাহী জেলের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার ফলে ৫০ জন কয়েদীকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা এবং প্রায় দেড়শ’ কয়েদীকে মারাত্মকভাবে আহত করতে জিয়া শাহীর প্রচেষ্টার কোনাে ঘাটতি ছিলাে।ঢাকা জেল রক্তের দাগ শুকায়নি ?৩৬. ১৯৭৭ সালের ২২শে জুন ঢাকা জেলের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক বন্দীদের উপর অত্যাচার চালানাে হয়। ভােরবেলা জেল কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ‘পাগলা ঘন্টা বাজিয়ে কারারক্ষী ও পুলিশ বেপরােয়া আক্রমণ করে। '৭৫-এর চার নেতার রক্তের দাগ শুকায়নি জেল অভ্যন্তরে। আক্রমণে আবদুল মমিন তালুকদার, মাহবুব উদ্দিন, আবদুল কুদ্স মাখন, আতিকুর রহমান প্রমুখ আহত হয়েছেন। দেশব্যাপী জেলের মধ্যে এই আক্রমণের তীব্র প্রতিবাদ ওঠে। ১৯ ঢাকা জেলের ঘটনা নিয়ে এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ১৯৭৭ সনের ১ জুলাই এক জরুরী তারবার্তা প্রেরণ করে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নিকট। এর জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন ও কমিশনের রিপাের্ট প্রকাশের অনুরােধ জানায়।(চলবে) ভিডিও – জিয়ার বাজেট ঘোষণা

Posted by সংগ্রামের নোটবুক on Saturday, February 1, 2020

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!