২৯ জানুয়ারী ১৯৭২ঃ ভারতে ১৭০০ যুদ্ধাহত এখনও চিকিৎসাধীন
ভারতের বেশ কয়েকটি শহরে সামরিক ও বেসামরিক হাসপাতালে ১৭০০ মুক্তিযোদ্ধা এখনও চিকিৎসাধীন আছেন। শহরগুলি হল লখনউ পুনে গৌহাটি রামগড় ব্যারাকপুর ও শিলং এ। আহতদের মধ্যে ৭০০ নিয়মিত সৈনিক। বাকী ১০০০ জনের মধ্যে বেশীরভাগ বেসামরিক নাগরিক এরা সীমান্তবর্তী হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসাধীন আছেন। সীমান্ত ছাড়াও এদের অনেকেই বনগাঁ আগরতলায় চিকিৎসাধীন আছেন। এদের দেখাশুনার জন্য সরকার একটি প্রতিনিধিদল ভারতে প্রেরন করেছেন। চিকিৎসাধীনের মধ্যে দুজন সেক্টর কম্যান্ডার ও আছেন তারা হলেন লেঃকঃ খালেদ মোশাররফ তিনি আছেন লখনউ সামরিক হাসপাতালে। অপর জন হলেন মেজর তাহের তিনি আছেন গৌহাটি সামরিক হাসপাতালে। তুলনামুলক কম গুরুতর রোগীরা দেশে ফিরে আসতে চাচ্ছেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাদের ফিরে আসার সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে। অনেকে ভারতীয় ত্রানবাহী গাড়ী এবং বিমানে করেও ফেরত আসছেন। এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান এক নির্দেশে জানিয়েছেন হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসার ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাধান্য দিতে হবে। আন্তজার্তিক রেডক্রস তাদের প্রতিবেদনে বলেছে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের কুমুদিনী হাসপাতাল বাংলাদেশের সবচে বড় হাসপাতাল এখানে সীটের সংখ্যা ১১০০। সেখানে বিপুল সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধার চিকিৎসা হচ্ছে। তারা বলেছে বাংলাদেশে চিকিৎসা সামগ্রীর এখন প্রচণ্ড সঙ্কট। বিপুল সংখ্যক আহত মুক্তিযোদ্ধার চিকিৎসার একটি অপরিহার্য উপাদান প্লাস্টার অফ প্যারিস পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে রেডক্রস হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে একদল সুইস চিকিৎসক দল যোগদান করেছে। তারা সেখানে বিপুল সংখ্যক আহত মুক্তিযোদ্ধার পুনঃ অস্রপচার করেছে এবং কৃত্তিম অঙ্গ তৈরি করে দিচ্ছে।