আবুল হাশেম মিয়া
আবুল হাশেম মিয়া শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার পাঁচগাও গ্রামে ১৯৪০ সালে জন্ম নেন। তার বাবার নাম রহম আলী শেখ। আবুল হাশেম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে সম্মানসহ এম. এ. পাস করেন। ছাত্রাবস্থায় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ছাত্র সংসদের সদস্য ছিলেন। পরে তিনি আইনে এল, এল, বি, ডিগ্রি নেন। যুদ্ধের আগে আবুল হাশেম মিয়া মাইজদী সরকারি মহাবিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক হিসাবে যােগ দেন। তিনি অত্যন্ত মিষ্টভাষী, পরােপকারী মানুষ ছিলেন। মানবদরদি আবুল হাশেম ক্ষুধার্ত মানুষকে খাওয়ানাে, গরিব ছাত্রের পরীক্ষার ফরম পূরণের টাকা দেওয়া ইত্যাদি কাজে সবার আগে এগিয়ে যেতেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি তাতে সক্রিয় অংশ নেন। বৃহত্তর নােয়াখালী অঞ্চলে ২ নম্বর সেক্টরে মেজর এ. টি. এম. হায়দারের নেতৃত্বে তিনি যুদ্ধ করেছেন। তিনি যুদ্ধের পরিকল্পনা করে সেই তথ্য মুক্তিযােদ্ধাদের কাছে পৌছে দিতেন। নােয়াখালী অঞ্চল মুক্ত হওয়ার পর ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর সকালে তিনি একটি মিছিলে অংশ নিতে যান। মাইজদী কোর্ট এলাকায় একটি বাড়িতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কিছু সদস্য এবং রাজাকার-আলবদররা আশ্রয় নিয়েছিল। তারা মিছিলের ওপর গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে আবুল হাশেম মিয়া সেখানেই মারা যান। শহীদ আবুল হাশেম মিয়ার স্ত্রীর নাম জেবুন্নেসা বেগম। তাদের সংসারে এক ছেলে ছিল।
সূত্র : শহীদ বুদ্ধিজীবী কোষ- আলী মো. আবু নাঈম , ফাহিমা কানিজ লাভা