জেনারেল জিয়ার রাজত্ব (ধারাবাহিক পর্ব)
জিয়াউর রহমান ১৯৭৬ সনের ৮ই জুন বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী ১২জনকে কূটনৈতিক পদে নিয়ােগ দান করেন। এই খুনীদের নাম (১) লেঃ কর্ণেল শরিফুল হক ডালিম প্রথম সচিব (চীন), (২) লেঃ কর্ণেল আজিজ পাশা, প্রথম সচিব (আর্জেন্টিনা), (৩) মেজর মহিউদ্দিন, দ্বিতীয় সচিব (আলজেরিয়া), (৪) মেজর শারিয়ার, দ্বিতীয় সচিব (ইন্দোনেশিয়া), (৫) মেজর বজলুল হুদা, দ্বিতীয় সচিব (পাকিস্তান), (৬) মেজর রশীদ চৌধুরী, দ্বিতীয় সচিব (সৌদী আরব), (৭) মেজর নূর, দ্বিতীয় সচিব (ইরান), (৮) মেজর শরিফুল হােসেন, দ্বিতীয় সচিব (কুয়েত), (৯) ক্যাপ্টেন কিসমত হােসেন, তৃতীয় সচিব (আবুধাবী) (১০) লেঃ খায়রুজ্জামান,তৃতীয় সচিব (মিসর), (১১) লেঃ নজমুল হােসেন, তৃতীয় সচিব (ক্যানাডা), (১২) লেঃ আবদুল মজিদ, তৃতীয় সচিব (সেনেগল)।
শুধু তাই নয়, বাঙালি জাতিকে নেতৃত্ব শূণ্য করার জন্য ১৯৭৫ সনে জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, এম, মনসুর আলী ও এ, এইচ, এম, কামারুজ্জামানকে ঢাকা কারাভ্যন্তরে হত্যা করা হয়। ১৯৭৫ সনে হত্যাকান্ডের জন্য গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটিকে জিয়াউর রহমান কাজ করার সুযােগ দেন। এমন কি লালবাগ থানায় হত্যাকান্ডের জিডি গায়েব করা হয়।
জেল হত্যাকান্ডে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির কাজ জিয়াউর রহমান বন্ধ করে দেন। জেল হত্যাকান্ডের উপর তৎকালীন ডি আই জি, এ কে আউয়াল লালবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিলেন এবং ৬ই নভেম্বর ‘৭৫ এই হত্যাকান্ডের তদন্তে তিন সদস্যের একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিলাে। জিয়াউর রহমান এ তদন্ত কমিটি বাতিল ও মামলাটি সি আই ডির নিকট হস্তান্তরের নির্দেশ দেন। এমনকি, লন্ডনভিত্তিক বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড তদন্ত সদস্যদের দেশে ঢুকতে দেননি। সেই থেকে আজও তা ডার্ক রুমে ফেলে রাখা হয়েছে। ১০
সোর্স – জেনারেল জিয়ার রাজত্ব – অধ্যাপক আবু সাঈদ
ভিডিও – জিয়ার খাল কাটা উদ্বোধন
সংগ্রামের নোটবুক