শেখ মুজিবের গ্রুপ এবং স্থানীয় এম এল এ শামসুদ্দিন আহমেদ খোন্দকারের গ্রুপের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি
১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৯ তারিখের গোয়েন্দা রিপোর্টে জানা যায়, গভর্ণর জেনারেল খাজা নাজিমুদ্দিন গোপালগঞ্জে আসা উপলক্ষে শেখ মুজিবের গ্রুপ এবং স্থানীয় এম এল এ শামসুদ্দিন আহমেদ খোন্দকারের গ্রুপের মধ্যে সঙ্ঘর্ষের মত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। শেখ মুজিবের গ্রুপ এলাকায় জনগণের অর্থনৈতিক উন্নতি এবং খাদ্য সমস্যা সমাধানের জন্য দাবী তোলে। সেখানে কিছু ব্যানারে লেখা ছিলো, “পদত্যাগ করুন, না হয় চেয়ার ছাড়ুন।“ এছাড়া কিছু লিফলেট বিলি করা হয় যেখানে খাদ্য, পোশাক সমস্যা, জনগণের থেকে বিভিন্ন উছিলায় অর্থ সংগ্রহ, দ্রব্যমূল্যের চড়া দাম ইত্যাদির সমালোচনা করা হয় এবং সমাধানের দাবী জানানো হয়। পরিস্থিতির এক পর্যায়ে এম এল এ ক্ষিপ্ত হন এবং পুলিশকে তাদেরকে এরেস্ট করার নির্দেশ দেন। কিন্তু লিফলেটের লেখা আইনবিরোধী না হওয়ায় পুলিশের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তবে, ৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৯ তারিখে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং এস পি শেখ মুজিবকে ডেকে গভর্ণর জেনারেল আসার দিনে কোন বক্তব্য দিতে নিষেধ করেন। কিন্তু এটা আসলে স্থানীয় এম এল এর চক্রান্ত বুঝতে পেরে তিনি সেটা মেনে নেন নাই। ফলে, পরেদিন অর্থাৎ ৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৯ গভর্ণর জেনারেল আসলে তার নৌকার চারপাশে অসংখ্য ছাত্র জড়ো হয় এবং “খাদ্য চাই, খাদ্য চাই” বলে চিৎকার করতে থাকে। সেসময় শেখ মুজিবকে ম্যাজিস্ট্রেট আবার ডেকে পাঠান এবং বাকিদের উপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেও এলাকা নজরদারীতে রয়েছে বলে রিপোর্টে লেখা হয়। [1, pp. 92–94]
References:
[1] S. Hasina, Secret Documents of Intelligence Branch on Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman, Vol I 1948-1950. Hakkany Publisher’s, 2018.
[2] গোয়েন্দা নথিতে বঙ্গবন্ধু 1948-1949, সংগ্রামের নোটবুক
Translated by Dr Razibul Bari