কর্নেল সফিক উল্লাহ
১৭ এপ্রিল ১৯৭১ এ মেজর আবু ওসমানের কাছে ক্যাপ্টেন আজম ছাড়া আর কোন অফিসার ছিল না। এর মধ্যে যুদ্ধের জন্য তার কাছে হাজির হলেন ঝিনাইদহের এসডিপিও মাহবুব উদ্দিন এবং ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের বাংলার অধ্যাপক সফিক উল্লাহ। মেজর ওসমান ঐ দিনই এক আদেশ বলে ঐ ২ জন এবং ইতিমধ্যে যোগ দেয়া তৌফিক ইলাহি চৌধুরী কে ক্যাপ্টেন পদে আত্তীকরণ করেন। তারা ৩ জনই সাব সেক্টর কম্যান্ডার হিসাবে ৮ ও ৯ নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন। সফিকুল্লাহ ৮ নং সেক্টরের ই কোম্পানি অধিনায়ক ছিলেন এবং ৫ নং গেরিলা ইউনিট দেখাশুনা করতেন। তার দপ্তর ছিল সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজিলার ঠিক পশ্চিমে হাকিমপুর। মাহবুব এবং তৌফিক বীরবিক্রম এবং সফিক উল্লাহ বীর প্রতীক খেতাব অর্জন করেন। যুদ্ধ শেষে মাহবুব পুলিশে, তৌফিক প্রশাসন বিভাগের চাকুরীতে ফিরে যান। সফিকুল্লাহ ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে ফিরে যান নাই। সফিকুল্লাহ সেনাবাহিনীতে আত্তীকরণ হয়ে যান। উনার কোন পিএমএ বা বিএমএ ট্রেনিং নাই। যুদ্ধের অভিজ্ঞতাই তার ট্রেনিং হিসাবে গণ্য হয়ে গেছে। সফিকুল্লাহ কর্নেল পদ পর্যন্ত চাকুরী শেষে ১৯৯৬ সালে অবসর নেন।