২৪ জানুয়ারী ১৯৭২ঃ সাংবাদিক সম্মেলনে সামাদ আজাদ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদ প্রকাশ করেছেন যে চীন সরকার বাংলাদেশে তাদের কনস্যুলেট বন্ধ করায় সেখানের ৩৯ জন কর্মচারী ২টি বার্মিজ বিমানে করে ঢাকা ত্যাগ করেছে। গণচীন এ বিষয়ে বার্মার সহযোগিতা চাইলে বার্মা সরকার তাদের প্রত্যাবর্তনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের অনুমতি চায়। বাংলাদেশ সরকার অনুমতি দেয়ার পর বার্মা তাদের নেয়ার জন্য দুটি বিমান পাঠায়। তবে পিকিং এ পাকিস্তান দুতাবাসে কর্মরত সকল বাঙালি কর্মচারী যারা ফিরে আসতে চায় বার্মার তত্ত্বাবধানে ফিরিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশ বার্মার মাধ্যমে চীনা সরকারকে জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার অবশ্য জানিয়েছে তারা বাংলাদেশে অবস্থান করলে বাংলাদেশ খুশী হত। এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন তার দেশ চীনের সাথে কোনরূপ শত্রুতা কামনা করেনা। বাংলাদেশ চীনের জন্য ক্ষতিকর এমন কোন কার্যকলাপেও জড়িত নয়। তিনি বলেন পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে সকল দেশের সাথেই সম্পর্ক স্থাপন করতে আগ্রহী। তিনি বলেন আমরা সকল প্রকার সামরিক জোট,চুক্তি ও গোষ্ঠীর বাইরে থাকতে চাই। তিনি বলেন আমরা প্রতিবেশী দেশ গুলির সাথে আমরা নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন করতে চাই। আমরা সামরিক খাতে ব্যয় কমাতে চাই। যুক্তরাষ্ট্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন নিক্সন প্রশাসন পাকিস্তানের পক্ষে থাকলেও তাদের জনগন বাংলাদেশকে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে গেছে। তিনি আশা করেন নিক্সন প্রশাসন তাদের জনগনের মনোভাবের স্বীকৃতি দেবেন। পাকিস্তানের সাথে কূটনীতিক সম্পর্ক স্থাপন বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন পাকিস্তান তার দৃষ্টিভঙ্গি বদলালে তা বিবেচনা করা হবে পশ্চিম পাকিস্তানের জনগনের সাথে আমাদের কোন শত্রুতা নেই। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণহত্যা বিষয়ে তদন্তের জন্য শীঘ্রই একটি কমিশন গঠন করা হবে।