২৩ জানুয়ারী ১৯৭২ঃ সন্তোষে মওলানার প্রথম রাজনৈতিক কর্মসূচী।
টাঙ্গাইলে ন্যাপ অফিসে পৌঁছে তিনি সেখানে এক সাক্ষাৎকারে বলেন সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তার দল সরকারকে সমর্থন দিবে। তিনি বলেন নতুন স্বাধীনতা প্রাপ্ত দেশটির সুখী সমাজ গড়ে তুলতে কাজ করে যাওয়ার জন্য জনগনের প্রতি আহবান জানান। তিনি একটি শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় সরকারকে সাহায্য করারও আহবান জানান। গত নয় মাসে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে দেশের মানুষ যে আত্ম ত্যাগের পরিচয় দিয়েছে তিনি তার প্রশংসা করেন। তিনি স্বাধীনতার সূর্যকে ছিনিয়ে আনতে সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক সহ লাখ লাখ মানুষ ঘৃণ্য নরপশুদের হাতে জীবন দিয়েছেন। তিনি বলেন নবলব্দ এই স্বাধীনতাকে বানচাল করার জন্য কিছু আন্তজার্তিক শক্তি তৎপর রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি বৃহৎ শক্তিও জড়িত আছে। ভারত থেকে সন্তোষ আসার পর মওলানা ভাসানি বলেন তিনি ৩০ জানুয়ারী ঢাকা যাবেন।
৬ ফেব্রুয়ারী তার দলের কার্যনির্বাহক কমিটির বৈঠকে যোগ দিবেন। ভাসানীকে দেখতে ঢাকা থেকে কিছু দলীয় নেতা সন্তোষ এসেছেন। ভাসানি বলেন ৭১ সালে দেশের ভিতরে মশিউর রহমানের দলের সভা ডাকা এবং পাকিস্তান প্রশাসনের অধীনে রাজনৈতিক তৎপরতা কিংবা দল থেকে তাকে বহিস্কারের কিছুই তিনি জানেনা। কেউ তাকে তা জানাননি। তিনি মশিউর রহমানকে দলের সাধারন সম্পাদক হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে এবং ৬ ফেব্রুয়ারী তার দলের কার্যনির্বাহক কমিটির বৈঠক ডাকতে নির্দেশ দেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে যারা কাজ করেছে তিনি তাদের শাস্তি দাবী করেন। তিনি এসব লোকদের অবিলম্বে আদালতে সোপর্দ করা উচিত। তিনি বলেন জামাত, নেজাম, মুসলিম লীগ, পিডিপি, পিপিপি দলের দালালদের বিচারে তার কোন আপত্তি নেই।