২২ জানুয়ারী ১৯৭২ঃ টোকিও শিম্বুন এর সাথে সাক্ষাতকারে শেখ মুজিব
জাপানের শীর্ষ স্থানীয় পত্রিকা টোকিও শিম্বুন এর সাথে সাক্ষাতকারে শেখ মুজিব বলেছেন তার দেশ রাজনৈতিক শর্ত মুক্ত যে কোন বৈদেশিক সাহায্য গ্রহনে প্রস্তুত আছে। শেখ মুজিব জোর দিয়ে বলেন যে বাংলাদেশের জনগন তাদের নিজেদের দেশ গড়ার জন্য দুঃখ কষ্ট দূর করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তিনি বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপনে বিদেশী মধ্যস্থতার কথা উড়িয়ে দেন। তিনি বাংলাদেশের বাস্তবতাকে স্বীকার করে নেয়ার জন্য পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলী ভূট্টোর প্রতি আহবান জানান। পত্রিকাটি বলেছে জাপান সহ বিশ্ব এর সকল রাষ্ট্রের প্রতি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান আবেদন জানিয়েছেন। শেখ মুজিব পত্রিকাকে বলেন পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠবে।
জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী টাকিও ফুকুদা বলেছেন জাপান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিবে এবং স্বীকৃতি দেয়ার ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ান প্রস্তাব সমর্থন করে। ফুকুদা আরও বলেন ব্রিটেন সহ আরও কিছু কমন ওয়েলথ রাষ্ট্র বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয় বিবেচনা করছে। ফুকুদা বলেন আস্তে আস্তে জাপান বাংলাদেশকে মেনে নেবে এবং এ বিষয়ে তার সরকার শীঘ্রই সিদ্ধান্ত দিবে। তিনি এশিয়া সংক্রান্ত এক গবেষণা প্রতিষ্ঠানে ভাষণে এ কথা বলেন। জাপান বাংলাদেশের জন্য ৫ লাখ ডলার মূল্যমানের চাল পাঠাচ্ছে। চাল বাহী জাহাজ এখন বাংলাদেশের পথে রয়েছে। এ ছাড়াও তারা ১০০০০ রেডিও এবং ১০০০০ লাইফ জ্যাকেট এবং ঘূর্ণিঝড় সতর্কীকরণ যন্ত্রপাতি পাঠাচ্ছে। এ সকল পণ্যবাহী বিমান শীঘ্রই বাংলাদেশ পৌছবে একই বিমানে কিছু রেডক্রস কর্মকর্তাও আসবে।