You dont have javascript enabled! Please enable it!

এবারে সংক্ষেপে মুজিবনগর সরকারের প্রশাসনিক অবকাঠামাে তুলে ধরে দেখানাের চেষ্টা করব আমাদের আলােচিত সিএসপি-ইপিসিএস অফিসারেরা সেই সরকারে কে, কোথায়- কোন্ ভূমিকায় ছিলেন।

প্রসঙ্গত আমরা জানি, মুজিবনগর সরকারের প্রশাসনিক কাজের সুবিধার্থে একে বিভিন্ন ‘জোন’ (Zone) বা অঞ্চলে বিভক্ত বা বিন্যস্ত করা হয়েছিল। এগুলোর প্রধান ছিলেন মূলত রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ (সিভিল প্রশাসনের লােকেরাও দু- চারটিতে ছিলেন); তাদের সহযােগীস্বরূপ সময়ে-সময়ে প্রবাসী সরকারে যােগদানকারী সিএসপি-ইপিসিএস অফিসারেরা এবং ক্ষেত্রত প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ-বুদ্ধিজীবিগণও।

মজিবনগর সরকারের মন্ত্রিপরিষদ মাঠপ্রশাসনে গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে সমগ্র বাংলাদেশকে বিভিন্ন সময়ে কতকগুলাে ‘জোন’ বা অঞ্চলে বিভক্ত করেছিল; সেগুলাের সদর দপ্তর ও অধিক্ষেত্রও নির্ধারণ করেছিল।

১৯৭১ সালের ২৭শে জুলাই এসংক্রান্ত যে প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়েছিল তাতে দেখা যায়, সমগ্র প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনাকে ৯টি জোন-এ বিন্যস্ত করা হয়েছে।

এগুলাের অধীনে কোন্ কোন্ জেলা ও মহকুমা অন্তর্ভুক্ত হবে এবং প্রতিটি অঞ্চলের সদর দপ্তর কোথায় হবে- সবিস্তারে সেসবও এতে উল্লেখ করা হয়েছিল। নিম্নবর্ণিত রূপরেখা প্রতি একনজর দিলেই এটা স্পষ্ট হবে১০৪

ক্রমিক      জোন বা অঞ্চল          অন্তর্ভুক্ত জেলা/মহকুমা     সদর দপ্তর

১.          দক্ষিণ-পূর্ব  (১) চট্টগ্রাম                 সাবরুম

            জোন-১     (২) পার্বত্য চট্টগ্রাম

                                      (৩) নোয়াখালী জেলার

                                            ফেনী মহকুমা

২.          দক্ষিণ-পূর্ব  (১) ঢাকা                   আগরতলা

            জোন-২     (২) কুমিল্লা

                                      (৩) নোয়াখালী (ফেনী

                                             ব্যতীত)

৩.         পূর্ব জোন   (১) সিলেট জেলার          ধর্মনগর

                                       হবিগঞ্জ ও

                                   (২) মৌলভীবাজার

                                        মহকুমা

পৃষ্ঠা ১০৯

ক্রমিক      জোন বা অঞ্চল          অন্তর্ভুক্ত জেলা/মহকুমা  সদর দপ্তর

৪.          উত্তর-পূর্ব  (১) সিলেট জেলার       ডাউকী

            জোন-১    সদর মহকুমা ও

            (২) সুনামগঞ্জ মহকুমা

৫.          উত্তর-পূর্ব  (১) ময়মনসিংহ         তুরা

            জোন-২     (২) টাঙ্গাইল

৬.         উত্তর জোন  (১) রংপুর  কুচবিহার

৭.          পশ্চিম জোন (১) দিনাজপুর          বালুরঘাট

            (২) বগুড়া

            (৩) রাজশাহী

৮.         দক্ষিণ-পশ্চিম           (১) পাবনা কৃষ্ণনগর

            জোন                    (২) কুষ্টিয়া

                                     (৩) ফরিদপুর

                                     (৪) যশোর

৯.         দক্ষিণ জোন (১) বরিশাল            বারাসাত

                                      (২) পটুয়াখালী

                                      (৩) খুলনা

‘জোন’সমূহ স্বাভাবিকভাবে সময়ে-সময়ে পুনর্বিন্যস্ত হয়েছিল। তবে জানিয়ে রাখা দরকার যে, প্রথমত নিরাপত্তার কারণে শুরু থেকেই এই জোনের সদর দপ্তরগুলাে ভারতীয় সীমানাভুক্ত এলাকা (এক্ষেত্রে জেলা বা মহকুমা) এবং দ্বিতীয়ত অবরুদ্ধ বাংলাদেশে মুক্তাঞ্চলসমূহে স্থিত ছিল; পরে মুক্তাঞ্চলের সীমানা যত ক্রমপ্রবর্ধিত হয়েছিল, স্বাভাবিকভাবে সেগুলাের সদর দপ্তরসমূহ সেঅনুযায়ী ক্ষেত্রবিশেষে স্থানান্তরিত হয়েছিল।

যেমন, পশ্চিম জোন’কে ভেঙ্গে দিনাজপুর ও বগুড়া- এ দুটো জেলার সমন্বয়ে পশ্চিম জোন-১’, এবং অবশিষ্ট জেলা অর্থাৎ রাজশাহী- একক জেলা নিয়ে পশ্চিম জোন-২’ গঠিত হয়েছিল।

 প্রথম দুটোর জন্য অর্থাৎ ‘পশ্চিম জোন-১’-এর সদর দপ্তর বালুরঘাট বহাল রেখে ‘পশ্চিম জোন-২’-এর সদর দপ্তর নির্বাচিত হয়েছিল ‘মালদহ’।

এভাবে ‘দক্ষিণ-পশ্চিম জোন’ ভেঙ্গে পাবনা ও কুষ্টিয়া জেলা নিয়ে দক্ষিণ- পশ্চিম জোন-১’ এবং ফরিদপুর-যশাের নিয়ে ‘দক্ষিণ-পশ্চিম জোন-২’ হয়েছিল।

নবগঠিত ‘দক্ষিণ-পশ্চিম জোন-১’-এর জন্য স্থিত সদর দপ্তর কৃষ্ণনগর বহাল রাখা হলেও অন্যটির সদর দপ্তর নির্দিষ্ট হয় ‘বনগাঁও’ বা বনগ্রাম।

পৃষ্ঠা: ১১০

নিচে পুনর্বিন্যস্ত জোনের রূপরেখা দেখানাে হলাে১০৫:

ক্রমিক        জোন বা অঞ্চলের নাম            সদর দপ্তর                      অধিক্ষেত্রের জেলাসমূহ

১           দক্ষিণ- পূর্ব জোন (১                    সাবরুম                              ১. চট্টগ্রাম

                                                                                                                ২. পার্বত্য চট্টগ্রাম

                                                                                                                ৩. নোয়াখালী জেলার

                                                                                                                    ফেনী মহকুমা

২.          দক্ষিণ- পূর্ব জোন (২)                    আগরতলা                          ১. ঢাকা

                                                                                                             ২. কুমিল্লা

                                                                                                             ৩. ফেনী মহকুমা ব্যতীত

                                                                                                                নোয়াখালী জেলা

৩.         পূর্ব জোন                                      ধর্মনগর                              ১. সিলেট জেলার হবিগঞ্জ

                                                                                                                   মহকুমা

                                                                                                            ২. সিলেট জেলার

                                                                                                                মৌলভীবাজার মহকুমা

৪.          উত্তর- পূর্ব জোন (১)                      ডাউকী                               ১. সিলেট সদর মহকুমা

                                                                                                             ২. সিলেট জেলার

                                                                                                                   সুনামগঞ্জ মহকুমা

৫.          উত্তর- পূর্ব জোন (২)                      তুরা                                     ১. ময়মনসিংহ

                                                                                                              ২. টাঙ্গাইল

৬.         উত্তর জোন                                 কুচবিহার                               ১. রংপুর

৭.          পশ্চিম জোন                               বালুরঘাট                               ১. দিনাজপুর

                                                                                                              ২. বগুড়া

                                                                                                              ৩. রাজশাহী

৮.         দক্ষিণ- পশ্চিম জোন                    কৃষ্ণনগর                               ১. পাবনা

                                                                                                               ২. কুষ্টিয়া

                                                                                                               ৩. ফরিদপুর

                                                                                                                ৪. যশোহর

৯.             দক্ষিণ জোন                                বারাসাত                               ১. বরিশাল

                                                                                                                 ২. পটুয়াখালী

                                                                                                                     ৩. খুলনা

 প্রতিটি জোন নিয়ন্ত্রিত হতাে একটি করে স্বতন্ত্র পরিষদ (‘জোনাল কাউন্সিল’ বা ‘আঞ্চলিক পরিষদ’ নামে পরিচিত) কর্তৃক, যার চেয়ারম্যান বা প্রধান

হতেন এর সদস্যদের দ্বারা নির্বাচিত এবং এর প্রশাসনিক বিষয় দেখাশুনা করতেন একজন কর্মকর্তা, যাকে বলা হতাে ‘জোনাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার বা সংক্ষেপে ‘জেডএসও’।১০৬ জেডএসও আঞ্চলিক পরিষদের সদস্যসচিব হিশেবেও কাজ করতেন।১০৭ ‘জোন’-এর এমএনএ ও এমপিএ ছিলেন কাউন্সিলের সদস্য।১০৮

উদাহরণত ০৪/০৯/১৯৭১ নাগাদ ‘জোন’সমূহে যারা জোনাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার (জেডএসও) হিশেবে দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের নাম নিচে উল্লেখ করা হলাে (এতে সিএসপি-ইপিসিএস অফিসারও ছিলেন):১০৯

মুজিবনগর সরকারের গঠিত জোন’-এর অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসারগণ

ক্রমিক               জোন বা অঞ্চলের নাম                      জোনাল অফিসারের নাম

১.                        দক্ষিণ- পূর্ব জোন (১)                      জনাব এস এ সামাদ

২.                       দক্ষিণ- পূর্ব জোন (২)                       জনাব কে আর আহমেদ

৩.                       পূর্ব জোন                                         ড. কে এম সামাদ

৪.                        উত্তর- পূর্ব জোন (১)                        জনাব এস এইচ চৌধুরী

৫.                       উত্তর- পূর্ব জোন (২)                         জনাব লুতফর রহমান

৬.                      উত্তর জোন                                       জনাব ফয়েজউদ্দিন আহমেদ

৭.                       পশ্চিম জোন                                    জনাব এ কাশেম

৮.                     দক্ষিণ- পশ্চিম জোন                          জনাব শামসুল হক

৯.                     দক্ষিণ জোন                                       জনাব এম এ মোমিন/ মমিন

পুনর্বিন্যস্ত ‘জোন’সমূহে যারা চেয়ারম্যান অব জোনাল কাউন্সিল এবং জোনাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার নিযুক্ত হয়েছিলেন, তারা হলেন১১০:

ক্রমিক অঞ্চল বা জোন চেয়ারম্যান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার
দক্ষিণ-পূর্ব জোন- ১ সদর দপ্তর: সাবরুম নুরুল ইসলাম চৌধুরী এস. এ.  সামাদ

পৃষ্ঠা: ১১২

ক্রমিক অঞ্চল বা জোন চেয়ারম্যান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার
দক্ষিণ-পূর্ব জোন- ২

সদর দপ্তর: আগরতলা

জহুর আহমেদ চৌধুরী কে. আর. আহমদ
পূর্ব জোন

সদরদপ্তর:  ধর্মনগর

কর্নেল এ.  এ. রব ডা. কে. এম. হাসান
উত্তর-পূর্ব জোন- ১

সদরদপ্তর: ডাউকী

 দেওয়ান ফরিদ গাজী এস. এইচ. চৌধুরী
উত্তর- পর্ব জোন- ২

সদর দপ্তর: তুরা

শামসুর রহমান খান লুৎফর রহমান
উত্তর জোন

সদর দপ্তর: কুচবিহার

মতিউর রহমান ফয়েজউদ্দিন আহমেদ
পশ্চিম জোন- ১

সদরদপ্তর বালুরঘাট

আব্দুর রহিম এ. কাশেম খান
পশ্চিম জোন-২

সদর দপ্তর: মালদহ

আশরাফুল ইসলাম জে.  আই. ভূঁইয়া
দক্ষিণ-পশ্চিম জোন- ১

সদরদপ্তর: কৃষ্ণনগর

এম. এ. রউফ চৌধুরী শামসুল হক

পৃষ্ঠা: ১১৩

ক্রমিক অঞ্চল বা জোন চেয়ারম্যান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার
১০ দক্ষিণ-পশ্চিম জোন- ২

সদরদপ্তর: বনগাঁও

ফণীভূষণ মজুমদার বিভূতিভূষণ বিশ্বাস
১১ দক্ষিণ জোন

সদর দপ্তর: বারাসাত

  – এ. মোমেন

এপর্যায়ে মুজিবনগর সরকারের জনবল কাঠামাে এবং সেঅনুযায়ী সেই সরকারের বিভিন্নস্তরে কর্মরতদের নাম-পরিচয় নিচে তুলে ধরা হলাে। এ থেকেই স্পষ্ট প্রতীয়মান হবে প্রবাসী মুজিবনগর সরকারে যােগদানকারী সিএসপি- ইপিসিএস অফিসারদের মধ্যে কে, কোথায়, কোন বা কী দায়িত্ব-কর্তব্য নির্বাহ করেছিলেন, এবং সেইসঙ্গে অন্যান্য বাঙালি সিভিলিয়ানের ভূমিকাও কমবেশি জানা যাবে। তবে আগেই জানিয়ে রাখি, প্রদর্শিত তালিকায় এমন কিছু নাম দেখা যাবে যাদের বিরুদ্ধে পাক সামরিক কর্তৃপক্ষ শাস্তিমূলক কোনাে ব্যবস্থা নেয়নি বা নিতে পারেনি। এর একটা কারণ হতে পারে, তারা এঁদের হদিশই হয়তাে পায়নি। পেলে নিঃসন্দেহে ছেড়ে দিতাে না।

অন্যদিকে যাদের বিরুদ্ধে তারা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছিল, দ্য ঢাকা গেজেট ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, দলিলপত্রঃ সপ্তম খণ্ড সূত্রে ইতােমধ্যে যাদের নাম- পরিচয় উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের কারাে কারাের নাম মুজিবনগর সরকারের জনবল কাঠামােয় অনুপস্থিত থাকলেও (এঁরা হয়তাে সে সরকারে যােগ দেননি বা যােগ দিলেও অন্য ভূমিকায় ছিলেন) একথা মনে করবার কোনাে কারণ নেই যে, মুক্তিযুদ্ধে তাদের ভূমিকা কম বা গুরুত্বহীন ছিল।

পাকিস্তানি সামরিক কর্তৃপক্ষ তথা সরকার তাঁদের তথাকথিত রাষ্ট্র বা সরকার বিরােধী কার্যকলাপে নিশ্চয়ই প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ, ক্ষিপ্ত ও রুষ্ট হয়েছিল বলেই না তাঁদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল।

 নিচে দেখা যাক মুজিবনগর সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ওয়ারি জনবল কাঠামাে এবং তাতে পদবিন্যাসানুযায়ী কর্মরতদের নাম-তালিকা।১১১

পরবর্তী আলােচনার স্বার্থে উল্লেখ্য যে, পরিশিষ্ট ‘গ’-এ মুজিবনগর তথা প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারে যােগদানকারী সিএসপি-ইপিসিএসদের নাম ও তাঁদের অনুকূলে বরাদ্দ পাের্টফলিও প্রদর্শিত হয়েছে। বলাবাহুল্য এ থেকে যদিও তাদের

পৃষ্ঠাঃ ১১৪

মূল কাজের ধরন বা দায়িত্ব-কর্তব্য সম্বন্ধে অনেকখানি অনুমান করা যায়, তা সত্ত্বেও দৃশ্যমান কিছু কর্মতৎপরতা বিভিন্নসূত্রে উল্লেখ করে এ অধ্যায়ের আলোচনা শেষ করব।

১.

“১৯৭১ সনের মে মাসের শেষের দিক।..৮নং থিয়েটার রােডে  অবস্থিত মুজিবনগর সচিবালয়। সেখানে গিয়ে দেখি তৎকালীন সচিবালয়ের সচিব নুরুল কাদের খান আগরতলায় টুরে গেছেন এবং তাঁর অবর্তমানে অর্থ ও স্বরাষ্ট্র  (ইন্টিরিয়ার) সচিব খন্দকার আসাদুজ্জামান সাহেব সংস্থাপন বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। তার নিকট থেকে জানলাম তৎকালীন মন্ত্রীবর্গের ক্যাবিনেট মিটিংয়ের সিদ্ধান্তের কথা। আমার মতামত পেলে তারা আমাকে ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে নিয়ােগদান করবেন। আমি এই সিদ্ধান্তের কথা জেনে, সানন্দে মত দান করলাম। কয়েকদিন পর, ভারতীয় প্রশাসনের সাথে যােগাযােগ করে এবং সমগ্র রিলিফ অপারেশন প্রত্যক্ষভাবে দেখাশুনার সুবিধার্থে পদটিকে সচিব হিসেবে আখ্যায়িত না করে রিলিফ কমিশনার হিনে(স)বে নিয়ােগদান করেন। ফলে রিলিফ কমিশনারকে একদিকে যেমন সচিবের দায়িত্ব পালন করতে হতাে, অন্যদিকে আবার রিলিফ অপারেশনের দিকটাও দেখতে হতাে।”১১২

২.

“মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বীর সন্তানদের প্রতিদিনের কৃতিত্বের কথা আমাদের সচিবালয়ে নিয়মিত সরবরাহ করা হােত (হতাে)। মাঝে মাঝেই ক্যাবিনেট মিটিং বসততা এবং মুক্তিযুদ্ধের ফলাফল নিয়ে আমরা পর্যালােচনায় বসতাম । এদিকে আমাদের তৎকালীন প্রধান মন্ত্রী স্বর্গীয় তাজউদ্দিন আহমদ এবং অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি স্বর্গীয় সৈয়দ নজরুল ইসলাম ঐ সময় দিল্লীতে ভারতের প্রধান মন্ত্রী মিসেস ইন্দিরা গান্ধী ও অন্যান্য ভারতীয় নেতৃবৃন্দের সংগে কয়েক দফা উচ্চ পর্যায়ের আলােচনায় বসেন এবং পরে পরস্পরের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে চুক্তিতে উপনীত হন। যখন ভারত সরকার ১৯৭১ সনের নভেম্বর মাসের মধ্যেও বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিলেন না তখন অনেকের মধ্যেই হতাশা ও বেদনার সুর লক্ষ্য করেছি। তারপর ৬ই ডিসেম্বর সত্য সত্যই যখন ভারত সর্ব প্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দান করে তখন আমরা সবাই আনন্দে অভিভূত হয়ে পড়ি। এরপর সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলােচনার জন্য ১৬ ডিসেম্বর ভারত সরকারের পক্ষ থেকে একটা উচ্চ পর্যায়ের জরুরী বৈঠক ডাকা হয় সকাল ১০টায়, কলকাতাতে। এই সভায় সভাপতিত্ব করেন একজন উর্ধ্বতন সিনিয়র সিভিল সার্ভেন্ট মিঃ আর গুপ্ত । সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন ভারত সরকারের বহু উর্ধতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্ত।   বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সর্বজনাব রুহুল কুদ্দুস, নুরুল কাদের খান, খন্দকার আসাদুজ্জামান (,) আমি নিজে এবং আরও অনেকে।”১১৩

৩.

“৩ আষাঢ়, ১৩৭৮ শুক্রবার, ১৮ জুন ১৯৭১/..বাংলাদেশ সরকারের সংস্থাপন সচিব  জনাব নুরুল কাদের খান এদিন এফ-৭৫ তাং ১৫। ৫। ৯১ স্মারকে, জনাব মিজানুর রহমান চৌধুরী এম এন এ কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুমােদিত এক গোপন নির্দেশ জ্ঞাপন করেন। ঐ নির্দেশে বাংলাদেশ থেকে তরুণ শরণার্থীদের অবিলম্বে প্রশিক্ষণের জন্য যুব অভ্যর্থনা শিবির স্থাপনের জন্য করণীয় বিবেচ্য বিষয় জানানাের অনুরােধ করা হয়। উল্লেখ্য, ভারতে আগত যুবকদের সংখ্যা এসময়ে যেমন দ্রুত গতিতে বেড়ে চলছিলাে তেমনি সীমান্ত বরাবর আওয়ামী লীগের এম এন এ/এম পি এ দের নিয়ন্ত্রিত অভ্যর্থনা শিবিরের সংখ্যাও বৃদ্ধি পায়। এইসব যুব অভ্যর্থনা শিবির থেকে উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য ভারত সরকার নিয়ন্ত্রিত শিবিরে যুবকদের প্রেরণ করা হয়।”১১৪

৪.

“১০ আশ্বিন ১৩৭৮ সােমবার ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৭১/-প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ সকল মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন। অর্থ সচিব জনাব কে এ জামান সম্প্রতি দিল্লী সফরে ভারত সরকারের সঙ্গে বাণিজ্য বিষয়ক আলােচনার এক লিখিত প্রতিবেদন পেশ করেন। কৃষি সচিব জনাব নুরুদ্দিন আহমেদকে পরিকল্পনা কোষের সঙ্গে কৃষি বিষয়ক পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দে(দশ দান করেন। বৈঠকে জোনাল প্রশাসনিক কাউন্সিলের বিভিন্ন সমস্যাদি আলােচিত হয়।১১৫

অন্যদিকে জাতীয়পর্যায়ে তথা স্বদেশে প্রশাসন পুনর্গঠন ও জনসমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার ব্যাপার আলােচনা করতে গেলে একথা অবশ্যই মনে রাখতে হবে, প্রথমে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় বা ভাবেরপাড়ায় মুজিবনগর সরকার গঠিত হয় এবং পরবর্তীকালে পাকিস্তানিদের উপর্যুপরি আক্রমণের মুখে সেখান থেকে সরে গিয়ে কলকাতায় মুজিবনগর সরকারের আপাত স্থায়ী কার্যালয় বা সদর দপ্তর গড়ে উঠলেও বস্তুত সেখান থেকেই প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ধীর-স্থির, বলিষ্ঠ ও সুচারু নেতৃত্বে এবং অন্যান্য সুযোগ্য মন্ত্রিবর্গের নির্দেশনায় মুজিবনগর সরকার পরিচালিত হয়েছিল। সত্যি বলতে এখানেও খানিকটা আমলাতান্ত্রিক পন্থায় এবং মূলত দেশপ্রেমের উদ্দীপনায় প্রধান প্রধান মন্ত্রণালয়ের)) সচিব ও তদ্রিম্নপর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক এবং কয়েকটি জোনাল বা আঞ্চলিক

পৃষ্ঠা: ১১৬

অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের  পদে সিএসপি-ইপিসিএস অফিসারগণ দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করেছিলেন।

কার্যত মুক্তিযুদ্ধ যত এগিয়ে চলেছিল, পাকিস্তানি সেনাদের পরাজয় ও প্রতিনিয়ত পিছু হটার পাশাপাশি মুক্তিযােদ্ধারা নতুন নতুন অঞ্চল নিজেদের দখলে বা নিয়ন্ত্রণে নিতে শুরু করেছিলেন। সঙ্গত কারণে সদ্য শত্রুমুক্ত ভূখণ্ডের ভেঙ্গে পড়া প্রশাসনিক ব্যবস্থার পুনর্গঠন ও শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে প্রবাসী সরকারকে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি এসব স্থানে প্রশাসক নিয়ােগও করতে হয়েছিল।

এটা একটা চলমানপ্রক্রিয়ার অংশ হলেও ব্যাপকভাবে তা শুরু হয়েছিল আদতে নভেম্বর মাস থেকে। এক্ষেত্রে মুক্তাঞ্চলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা পুনর্গঠন ও শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার যেসব মুখ্য বিষয়ের প্রতি বিশেষ জোর দিয়েছিল, মুক্তিযুদ্ধকালীন পত্রিকা অভিযান-এর ১৭ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালের ১ম বর্ষ ৪র্থ সংখ্যায় প্রকাশিত ‘মুক্তাঞ্চলে অসামরিক প্রশাসনে সরকারী নির্দেশ’ শীর্ষক খবর থেকে সেসম্বন্ধে অনেক তথ্য জানা যায়, যেমন- “(১) আইন ও শৃঙ্খলা রক্ষা করা। (২) পাক সৈন্য ও রাজাকার বাহিনী যে সমস্ত অস্ত্রশস্ত্র ফেলে গেছে সেগুলাে উদ্ধার করা / (৩) ছিন্নমূল জনসাধারণকে পুনর্বাসন করা। (৪) পূর্ণ সরকারী প্রশাসন ও গঠনমূলক তৎপরতা চালানাে।”১১৬

বর্ণিত পত্রিকাসূত্রে আরও জানা যায়, ভেঙ্গে-পড়া প্রশাসনিক কাঠামােয় ‘অভিজ্ঞ অফিসারের ঘাটতি থাকায় সরকার এই মর্মে আহ্বান জানিয়েছিল যে, ‘..সমস্ত সরকারী অফিসারদের যেখানে তারা অবস্থান করছেন, যে ভাবে তাদের পক্ষে সম্ভব সেভাবে তারা যেন কাজে যােগ দেন’।

সরকার এজন্য একটি তথ্যানুসন্ধান কমিটিও গঠন করেছিল, যার কাজ ছিল- ‘কোন্ কোন্ অফিসার শত্রুদের হয়ে কাজ করেছেন’- তাদের খুঁজে বের করা।১১৭

এপ্রসঙ্গে Bangladesh পত্রিকার ১৭ই নভেম্বর ১৯৭১ সংখ্যার ‘Achievements of the Bangladesh Government’ রচনায় বাংলাদেশ সরকার এবং প্রশাসনের ক্রমপ্রসারমান কর্মকাণ্ড সম্পর্কে যা বলা হয়েছিল, তার অংশ বিশেষ তুলে ধরা হলাে: “The hard work of the Government of Bangladesh is also reflected in the efficient mobilization of the civil machinery which is being established and directed to strengthen the total effort of the Mukti Bahini. There is a Secretariat with all the necessary departments manned by young and efficient officers, technocrats and other volunteers coming from different professions who work with dedication for the cause of this liberation war. The administration in the liberated areas covers trade and industry, courts, post and telephone

পৃষ্ঠা: ১১৭

services , police stations, schools, customs, Excise and collection of taxes etc.”১১৮

মুক্তিযুদ্ধ পত্রিকার ৫ই ডিসেম্বর ১৯৭১-এর ১ম বর্ষ ২২শ সংখ্যায় নিজস্ব বার্তা পরিবেশকসূত্রে ‘মুক্তাঞ্চলে নতুন জীবন গড়িতে হইবে’ শীর্ষক রচনায় উল্লেখ করা হয়েছিল: “..  মুক্ত অঞ্চলসমূহে বাঙলাদেশ সরকারের বেসামরিক প্রশাসন চালু হইতেছে। আমাদের প্রতিনিধি জানাইতেছেন, রংপুরের মুক্তাঞ্চলগুলিতে থানা প্রশাসন চালু হইয়াছে, অসামরিক প্রশাসনের জন্য অনেক এলাকার আঞ্চলিক কাউন্সিল গঠন করা হইতেছে, ৰাঙলাদেশ সরকারের রাজস্ব আদায় শুরু হইয়াছে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও কিছু কিছু খােলা হইতেছে।”১১৯

রণাঙ্গন পত্রিকার ৩০শে অক্টোবর ১৯৭১-এর সংখ্যায় প্রকাশিত ‘প্রশাসনিক কাজ শুরুর ২য় পদক্ষেপ’ শীর্ষক সংবাদভাষ্য থেকে জানা যায়: “বাঙলাদেশের বিভিন্ন মুক্তাঞ্চলে গণপ্রজাতান্ত্রিক বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসনিক কাজ পুরাদমে চলছে। রংপুর জেলার পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধার বিস্তীর্ণ এলাকায় তার যােগাযােগ ব্যবস্থা চালু হয়েছে এবং সরকারী কর্মচারী নিজ নিজ দায়ীত্ব (দায়িত্ব) পালন স্কুল (যপ্র.) করে চলেছেন। এই বিস্তীর্ণ এলাকায় জনসাধারণ বাঙলাদেশ সরকারের কর, খাজনা ইত্যাদি পরিশোধ করছেন। এই এলাকায় প্রশাসনিক কাজ চালুর দ্বিতীয় পদক্ষেপ স্বরূপ সরকার ১টি হাই স্কুল ও ১৩টি অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া শেখার জন্য স্কুলসমূহ খুলে নিয়মিত ক্লাশ পরিচালনা করছেন। ছাত্র সংখ্যা আশাতিরিক্ত ভাবে নিজেদের ক্লাশে যােগদান করছে। শতকরা ৮৫ জন ছাত্র নিয়মিত ক্লাশে যােগদান করে বলে খবর পাওয়া গেছে। সতুর এখানে কয়েকটি ডাকঘর প্রতিষ্ঠা করা হবে বলেও খবরে প্রকাশ।”১২০

 দেশবাংলা’র ১৮ই নভেম্বর ১৯৭১-এর ১ম বর্ষ ৪র্থ সংখ্যার রংপুরের মুক্ত বাংলায় প্রাণের স্পন্দন’ শীর্ষক নিজস্ব সংবাদদাতার পরিবেশিত সংবাদে তুলে ধরা হয়: “রংপুর জেলায় ৮টি থানা এখন সম্পূর্ণ মুক্ত। প্রায় ১২০০ বর্গমাইল এলাকা জুড়ে এই স্থানগুলিতে ৭ লক্ষ মানুষের বাস।/ মুক্ত থানাগুলিতে এখন বাংলাদেশ সরকার গ্রাম ও ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রশাসন ব্যবস্থা পুনর্গঠনের কাজে হাত দিয়েছেন। উত্তরাঞ্চলীয় জোনাল কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানে আইন ও শৃংখলা রক্ষার জন্য পুলিশ বাহিনী যথারীতি কাজ করে যাচ্ছে, যদিও অপরাধের সংখ্যা খুবই নগণ্য। প্রতি থানায় বিচার কার্যাদি পরিচালনার জন্য ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ােগ করা হয়েছে। একটি জেলখানাও স্থাপিত হয়েছে। ডাক, তার ও টেলিফোন যােগাযােগ নিয়মিত ভাবে চলছে। প্রাইমারী পর্যায় পর্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুরাদমে চালু রয়েছে। সাব রেজিষ্ট্রার অফিস, বিবাহ রেজিষ্ট্রেশন অফিস ও শুল্ক অফিসগুলিতে স্বাভাবিক ভাবে কাজ চলছে। প্রত্যেক থানায় একটি করে ডিস্পেন্সারী স্থাপিত হয়েছে এবং হেলথ অফিসারদের তত্ত্বাবধানে ব্যাপকহারে কলেরা-বসন্তের টীকা

পৃষ্ঠা: ১১৮

দেওয়ার কাজ চলছে।/ পাকিস্তানী লুণ্ঠনে হৃতসর্বস্ব এ সব অঞ্চলে তীব্র খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ সরকার এ ব্যাপারে যথাবিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন এবং টেস্ট রিলিফের জন্য কিছু অর্থ বরাদ্দ করেছেন। সমগ্র মুক্তাঞ্চলটিতে এখন নতুন করে প্রাণের স্পন্দন জাগছে।..” ১২১

আমার দেশ-এর ১১ই নভেম্বর ১৯৭১-এর ১১শ সংখ্যার মুক্তাঞ্চলে ‘প্রশাসন ব্যবস্থা চালু’ শীর্ষক রচনায় পাওয়া যায়: “পরশুরাম থানার বিস্তীর্ণ মুক্তাঞ্চলে বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। মুক্তাঞ্চলে জনসাধারণের সুবিধার প্রতি নজর রেখে বাংলাদেশ সরকার এ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। মুক্তাঞ্চলে জনসাধারণের অভাব অভিযােগ স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের গােচরীভূত করার বাংলাদেশ সরকার আহ্বান জানিয়েছেন। আইন শৃংখলা পুনঃ স্থাপন ও জীবনযাত্রা পুনর্গঠনের যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।”১২২

আমার দেশ-এর ২৫শে নভেম্বর ১৯৭১ সালের ১৩শ সংখ্যায় বার্তা পরিবেশকের সূত্রে প্রকাশিত ‘পরশুরাম-ছাগলনাইয়া-পার্বত্য চট্টগ্রামের মুক্তাঞ্চলে পূর্বাঞ্চলীয় প্রশাসন বিভাগের কর্মকর্তাদের সফর’ শীর্ষক খবরে বলা হয়েছিল: “ছাগলনাইয়া থানার দেড় শতাধিক বর্গমাইল, পরশুরাম থানার শতাধিক বর্গমাইল এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জিলার ছয় শতাধিক বর্গমাইল এলাকা সফর করে আসছেন-বাংলাদেশ সরকারের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় প্রশাসন বিভাগের প্রতিনিধিবৃন্দ। মুক্তাঞ্চলের জনগণ “জয় বাংলা” ধ্বনি সহকারে প্রতিনিধিগণকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন।../ প্রতিনিধিগণ দেশের চাষী শ্রেণী, কামার- কুমার প্রত্যেককে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়ােগের আহ্বান জানান এবং কৃষিজাত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি করে দেশকে সমৃদ্ধিশালী করে গড়ে তােলার আহবান জানান। উক্ত প্রতিনিধিদলে ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় প্রশাসন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল ইসলাম চৌধুরী এম, এন, এ, অর্থ দফতরের চেয়ারম্যান জনাব খাজা আহমদ এম, এন, এ, সাহায্য ও পুনর্বাসন দফতরের অস্থায়ী চেয়ারম্যান জনাব ফজলুল হক বি, এস, সি, এম, এন, এ, প্রচার দফতরের চেয়ারম্যান জনাব এ, বি, এম, তালেব আলী এম, পি, এ, এবং এ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার জনাব এম, এ, সামাদ সি, এস, পি প্রমুখ।

উপসংহারে বলা যেতে পারে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের নির্দেশনার আলােকে উল্লিখিত এসব কর্মকাণ্ড বিশেষ করে ভেঙ্গে-পড়া প্রশাসনিক ব্যবস্থার পুনর্গঠন এবং হৃত শান্তি-শৃঙ্খলা দ্রুত ফিরিয়ে আনতে পুলিশ-আনসারসহ অন্যান্য ক্যাডার বা বিভাগের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি মুজিবনগর তথা অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারে যােগদানকারী সিএসপি-ইপিসিএস অফিসারদের মুখ্য ও নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা ছিল তা সহজেই অনুমেয়। তবে এই বিপুল নবােদ্যমের যজ্ঞে সবার ওপরে ছিল স্থানীয় জনসাধারণের আন্তরিক সমর্থন, স্বতঃস্ফূর্ত সহযােগিতা ও সক্রিয় ভূমিকা।

পৃষ্ঠা: ১১৯

তথ্য নির্দেশ

১. Bangla Desh Documents, Vol. I, Ministry of External Affairs, New Delhi, 1971, PP. 289-90.

২. গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও বেতার মন্ত্রণালয় কর্তক ১৯৭২ সালে প্রকাশিত বাংলাদেশ প্রথম বিজয় দিবস বার্ষিকী উপলক্ষে স্মারক গ্রন্থ ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭২’ (পৃষ্ঠা ১২১) এবং ১৯৮৮ সালে তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত স্বাধীনতাযুদ্ধ ইতিহাস প্রকল্প (২য় পর্যায়)-এর অধীনে মুক্তিযুদ্ধের আলােকচিত্র (Photographs on Liberation War of Bangladesh, p. 32) গ্রন্থদ্বয়ে এর নামের বানানটি পাই ‘তাজউদ্দিন আহমদ’। অন্যদিকে জনাব আহমদের কন্যা শারমিন আহমদ লিখিত এবং ঢাকাস্থ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ঐতিহ্য থেকে প্রকাশিত (২০১৪) তাজউদ্দীন আহমদ নেতা ও পিতা নামক গ্রন্থে বলাবাহুল্য, নামটি পাচ্ছি ‘তাজউদ্দীন আহমদ’ রূপে।

৩. নবগঠিত সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রিগণের অনুকূলে পাের্টফলিও বিন্যস্ত হয়েছিল এভাবে: “৩, প্রধানমন্ত্রী : তাজউদ্দিন আহমেদ (প্রতিরক্ষা, তথ্য ও বেতার, স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ, শিক্ষা, স্থানীয় প্রশাসন, শ্রম, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও পরিকল্পনা)/ ৪. খন্দকার মােশতাক আহমেদ (পররাষ্ট্র, আইন ও সংসদীয় বিষয়)/ ৫. ক্যাপ্টেন (এম.] মনসুর আলী (অর্থ, জাতীয় রাজস্ব, বাণিজ্য ও শিল্প, পরিবহন)/ ৬. এ এইচ এম কামরুজ্জামান (স্বরাষ্ট্র, সরবরাহ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন, কৃষি)”। (তথ্য সংগৃহীত, মাে, আখতারুজ্জামান সম্পাদিত ও বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ প্রকাশিত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ প্রেক্ষাপট ও ঘটনা গ্রন্থভুক্ত ড, অজয় রায় লিখিত ‘প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার : বৈশিষ্ট্য ও চরিত্র, পৃষ্ঠা ৯৬)।

৪. মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, আমীর-উল ইসলাম, পৃষ্ঠা ৫৪।

৫. The Sunday Statesman-47 In Bangla Desh Documents, Vol. 1-4 এ গ্রন্থিত সংবাদভাষ্যে এ গ্রামটির নাম ‘Bhaberpara’ বলে উল্লিখিত এবং প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক এটির ‘মুজিবনগর’ নামান্তরের কথা বলা হয়েছে। Bangla Desh Documents, vol. I-এ ইংরেজি ভাষ্যটির অংশবিশেষ এরকম: “Today’s formal function at Mujibnagar by the Bangla Desh Government had a touch of drama about it. Actually the ceremony took place in Bhaberpara village which is located in Meherpur subdivision of Kushtia district and is 18 miles north-west of Chuadanga which has been under the Pakistan Army since yesterday. To mark the occasion, the Prime Minister renamed the village as Mujibnagar.” (দেখুন, pp. 290-91).

৬. দেখুন, প্রফেসর সালাহউদ্দীন আহমদ, মােনায়েম সরকার ও নুরুল ইসলাম মঞ্জুর সম্পাদিত বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাস (১৯৪৭-১৯৭১) ভুক্ত হােসেন তওফিক ইমাম-এর প্রবন্ধ, পৃষ্ঠা ২৬৬।

পৃষ্ঠা: ১২০

৭. স্মৃতিখণ্ড মুজিবনগর, শওকত ওসমান, পৃষ্ঠা ২৬।

৮. 0p. cit., p. 47.

৯.  বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, দলিলপত্রঃ পঞ্চদশ খণ্ড, সাক্ষাৎকার, সম্পাদক, হাসান হাফিজুর রহমান, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পুনর্মুদ্রণ, ২০০৪, পৃষ্ঠা ৪৯-৫০।

১০. মুক্তিযুদ্ধের দিন-দিনান্ত, পৃষ্ঠা ৮৮-৯।

১১. ৭১এর দশমাস, পৃষ্ঠা ৩৮৮-৯।

১২. কারাগারের বিভীষিকাময় দিনগুলি, বি. বি. (বিভূতিভূষণ) বিশ্বাস, পৃষ্ঠা ১৯।

১৩. যখন দুঃসময়, সুসময় : আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের পাঁচালি, সৈয়দ আব্দু সামাদ, পৃষ্ঠা ১০৪। এর সম্বন্ধে গ্রন্থের অন্যত্র আরও লিখেছেনঃ “ঢাকা থেকে আগত একমাত্র মধ্যম জ্যেষ্ঠতার কর্মকর্তা খন্দকার আসাদুজ্জামান (৬০) অর্থ সচিব হয়েছেন জেনে খুউব ভালাে লাগলাে। ২৫শে মার্চ অবধি তিনি পূর্ব পাকিস্তানের অর্থদপ্তরের যুগ্মসচিব ছিলেন। পাকিস্তানিরা তাকে ১৯৬৯ সাল থেকেই তাদের চিহ্নিত শত্রু মনে করতাে।” (ঐ, পৃষ্ঠা ৮৭)।

১৪. বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, দলিলপত্রঃ পঞ্চদশ খণ্ড, সাক্ষাৎকার, পৃষ্ঠা ৪৪।

১৫. তদেব, পৃষ্ঠা ২২৪-৫।

১৬. বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, দলিলপত্র : পঞ্চদশ খণ্ড, সাক্ষাঙ্কার, সম্পাদক হাসান হাফিজুর রহমান, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পুনর্মুদ্রণ, ২০০৪, পৃষ্ঠা ২৯৩-৩০০।

১৭. বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, দলিলপত্রঃ পঞ্চদশ খণ্ড, সাক্ষাঙ্কার, পৃষ্ঠা ৪-৯।

১৮. প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ৫৭।

১৯. পূর্বোক্ত, পৃষ্ঠা ৪৮।

২০, মুক্তিযুদ্ধে নয় মাস, মেজর এম, এস, এ. ভূঁইয়া, পৃষ্ঠা ৩৭-৮।

২১. প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ১২-৩।

২২. তদেব, পৃষ্ঠা ১০৪-৫।

২৩. তদেব, পৃষ্ঠা ৮৮।

২৪. স্বাধীনতা আমার রক্ত ঝরা দিন, পৃষ্ঠা ১৫০।

২৫. নুরুল কাদের খান ওরফে মােহাম্মদ নুরুল কাদের পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বাঙালি নিধনে যারপরনাই এতটাই রুষ্ট হয়েছিলেন যে রাগে, ক্ষোভে ও প্রতিবাদে নিজের পিতৃদত্ত নামের অংশবিশেষ ‘খান’ পদবি পর্যন্ত হেঁটে বাদ দিয়েছিলেন। এসম্পর্কে এইচ. টি. ইমাম লিখেছেন: “মুজিবনগর যাবার প্রস্তুতি যখন সম্পন্ন করেছি সেই সময় একটা মজার ঘটনা ঘটল। কোলকাতার ছাপে একটা টেলিগ্রাম। পাঠিয়েছেন আমরা সহকর্মী (১৯৬১ ব্যাচের সি.এস.পি.) নূরুল কাদের। নামের সাথে পৈতৃক পদবি ‘খান’ থাকলেও সেটা তিনি বর্জন করেছেন খানসেনাদের বর্বরােচিত হামলার প্রতিবাদে।” (দেখুন তাঁর, বাংলাদেশ সরকার ১৯৭১, পৃষ্ঠা ২৭৮)। জনাব নুরুল কাদেরের দাপ্তরিক বা সরকারি খাতায় নাম পাই M. N. Quader Khan. স্বপ্রণীত একাত্তর আমার গ্রন্থে তাঁর লেখক নাম পাচ্ছি ‘মােহাম্মদ নুরুল কাদের। সম্ভবত

পৃষ্ঠা: ১২১

মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি আর নিতান্ত প্রয়ােজন না হলে নামের সঙ্গে ‘খান’ পদবি যুক্ত করেননি বা লেখেননি।

২৬. বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, দলিলপত্রঃ পঞ্চদশ খণ্ড ৩

২৭. তদেব, পৃষ্ঠা ৭৯।

২৮. তদেব, পৃষ্ঠা ৭৯-৮০।

২৯. তদেব, পৃষ্ঠা ১০৫।

৩০. দেখুন, আপােষহীন সেই মানুষটি, তােফায়েল, পৃষ্ঠা ৩০।

৩১. একাত্তরের স্মৃতিচারণ, পৃষ্ঠা ১১১।

৩২. বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, দলিলপত্রঃ পঞ্চদশ খণ্ড, পৃষ্ঠা ৪৪-৫।

৩৩.  তথ্য সংগৃহীত, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, দলিলপত্রঃ পঞ্চদশ খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩৫১।

৩৪. বাংলাদেশ সরকার ১৯৭১, পৃষ্ঠা ২৫৬।

৩৫. এইচ. টি. ইমামের সূত্রে জানা যায়, জনাব শরিফ ছিলেন রাঙামাটির ‘ম্যাজিস্ট্রেট এবং সহকারী পুনর্বাসন অফিসার। তিনিও ছিলেন খুব স্বাধীনচেতা এবং উদার মনের মানুষ।’ তিনি দেশ স্বাধীনের পরে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথম ডেপুটি কমিশনার হয়েছিলেন। (দেখুন ঐ, পৃষ্ঠা ২৫৬)।

৩৬. তদেব, পৃষ্ঠা ২৫৬-৭।

৩৭. যখন দুঃসময়, সুসময় : আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের পাঁচালি, সৈয়দ আব্দুস সামাদ, পৃষ্ঠা ৮৫-৬।

৩৮. দৈনিক কালের কণ্ঠ, বর্ষ ৬, সংখ্যা ২৭১ (১৬/১০/২০১৫) পৃষ্ঠা দশদিক ৪।

৩৯. এঁর নামের বানান একাধিক রূপে লভ্য। যেমন, ১৯৭২ সালের ১৬ই ডিসেম্বর তারিখে অধুনালুপ্ত দৈনিক বাংলা পত্রিকার বিজয় দিবস সংখ্যায় প্রকাশিত যুদ্ধে যারা লড়েছে’ নামীয় তৎপ্রণীত রচনায় বানান পাই ‘তওফিক-ই-এলাহী চৌধুরী’। কিন্তু ২০১২ সালে বাংলা একাডেমী ঢাকা প্রকাশিত বাংলা ও বাঙালির ইতিহাস, চতুর্থ খণ্ড (প্রথম পর্ব) নামক গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত তাঁর ‘মেহেরপুরের মুক্তাঞ্চল স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান’ শীর্ষক রচনায় নামের বানান দৃষ্ট হয় তৌফিক-ই- ইলাহী চৌধুরী। আবার প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিশেবে ওয়েবসাইটে বর্তমানে এর নামের বানানটি লভ্য ‘তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী’ রূপে।

৪০. তদেব, পৃষ্ঠা ৭৮।

৪১. মুক্তিযুদ্ধে রাইফেলস ও অন্যান্য বাহিনী, পৃষ্ঠা ১৬৬-৭। স্বয়ং লেঃ কর্ণেল (অব.) এম. এ. ওসমান চৌধুরীও এব্যাপারে বিস্তৃত লিখেছেন বাংলা একাডেমী প্রকাশিত বাংলা ও বাঙালির ইতিহাস, চতুর্থ খণ্ড (প্রথম পর্ব) ভুক্ত তার পূর্বোক্ত (৪৭-সংখ্যক টীকা দ্রষ্টব্য) রচনায়।

৪২. আহমেদ রেজার সূত্রে জানা যায়: “২৫শে মার্চ যখন পাকিস্তানী বাহিনী ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে তাদের নৃশংস হামলা শুরু করলাে, তখন মেজর ওসমান কুষ্টিয়ার রাইফেল বাহিনীর অধিনায়ক পদে নিয়ােজিত ছিলেন। পাকিস্তানী বাহিনীর তৎপরতার খবর পেয়ে রাইফেল ও পুলিশ বাহিনী এবং স্থানীয় ছাত্র-যুবকদের সমন্বয়ে শক্তিশালী প্রতিরােধ বাহিনী গড়ে তােলেন তিনি। তাঁর সাথে যােগ দেন

পৃষ্ঠা: ১২২

স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ন্যাপ ও কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ও কর্মীদল এবং ঝিনাইদহ মহকুমার পুলিশ কর্মকর্তা মাহবুব ও মহকুমা কর্মকর্তা তৌফিক এলাহি।” (দেখুন একাত্তরের স্মৃতিচারণ, আহমেদ রেজা, পৃষ্ঠা ১১৯)।

৪৩. মুক্তিযুদ্ধে রাইফেলস্ ও অন্যান্য বাহিনী, পৃষ্ঠা ১৭০।

লেঃ কর্ণেল (অবঃ) আবু ওসমান চৌধুরী লিখেছেন: “যুদ্ধ ক্ষেত্রে সৈন্য পরিচালনা করার মতাে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সামরিক অফিসার দক্ষিণ-পশ্চিম রণাঙ্গনে ছিল না। ওদিকে তৎকালীন মেহেরপুর মহকুমা প্রশাসক জনাব তৌফিক -ই-এলাহী চৌধুরী, ঝিনাইদহ মহকুমা পুলিশ অফিসার জনাব মাহবুব উদ্দিন এবং ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের অধ্যাপক জনাব সফিক উল্লাহ মেজর ওসমানের নির্দেশে যুদ্ধের ময়দানে অফিসার হিসেবে কাজ করছিলেন। সামরিক অফিসারের বিশেষ প্রয়োজন উপলব্ধি করে মেজর ওসমান ৭ই এপ্রিল এক সেক্টর অর্ডার এর মাধ্যমে এই অফিসারদের সরাসরি ক্যাপ্টেন র্যাংকে কমিশন দিয়ে র্যাঙ্ক পরিয়ে দেন। তাঁর সেক্টর অর্ডারটি ছিল নিম্নরূপঃ-“On behalf of the Bangladesh High Command, I hereby award Commission to the following persons directly in the rank of Captain to meet Operational requirements :/ a. Mr. Towfique-E-Elahi Chowdhury/ b. Mr. Mahbub uddin Ahmed/ c. Mr. Md. Shafique Ullah./Sd/ (MAJOR M. A. OSMAN CHOWDHURY).” [দেখুন, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম (বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস), লেঃ কর্ণেল (অবঃ) আবু ওসমান চৌধুরী, পৃষ্ঠা ২৩১]।

৪৪. লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে, পৃষ্ঠা ১২৮।

৪৫. দেখুন, মুক্তিযুদ্ধে লক্ষ বাঙালী শহীদের রক্তস্নাত স্বাধীনতা, পৃষ্ঠা ৯।

৪৬. মুক্তিযুদ্ধে রাইফেলস্ ও অন্যান্য বাহিনী, পৃষ্ঠা ১৮৫।

৪৭. মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, পৃষ্ঠা ২৬-৭। তিনি অন্যত্র আরও লিখেছেন: “খালেদ (মেজর) ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধে শফিউল্লাহ, এম, এ জলিল, রফিকুল ইসলাম, ওসমান চৌধুরী, নুরুজ্জামান, নজমুল হুদা, তওফিক, মাহবুবসহ আরাে অনেকের ভূমিকা ছিল অনন্য।” (ঐ, পৃষ্ঠা ৬৯)।

৪৮. প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ৫৩-৪।

৪৯. ৭১এর দশমাস, পৃষ্ঠা ১৪৭।

সৈয়দ আব্দুস সামাদ লিখেছেন: “তবু যা হােক অবশেষে বিপ্লবি(ী) সরকার গঠিত হলাে। এখন যুদ্ধ পরিচালনার কাজ অনেক সহজ হবে। এ পর্যন্ত কোনাে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ বা দিকনির্দেশনা ছিলাে না, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ব্যতীত। যে যার মতাে প্রতিরােধ গড়েছেন, শত্রুর মােকাবেলা করেছেন, শত্রু নিধন করেছেন। এই বিপ্লবি(?) সরকার গঠনে মেহেরপুরের মহকুমা প্রশাসক তৌফিক-ই-এলাহি চৌধুরী (১৯৬৮ সালের সি.এস.পি. অফিসার), ঝিনাইদহ মহকুমার পুলিশ অফিসার মাহবুবউদ্দীন আহমেদ, পি.এস.পি. এবং মেজর আবু ওসমান চৌধুরী মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন। পুরাে অনুষ্ঠানটাই তাদের পরিকল্পিত, নক্সাকৃত এবং তারাই এটার বাস্তবায়ন করেন। তিনজনই সংগ্রামের পরবর্তী পর্যায়ে প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়ে বিখ্যাত হয়েছিলেন।” (তদেব, পৃষ্ঠা ৭২-৩)।

পৃষ্ঠা: ১২৩

৫০. প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ২৬৫।

৫১. দেখুন, অধুনালুপ্ত দৈনিক বাংলা, ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭২।

৫২. তদেব, পৃষ্ঠা ২৫।

৫৩. দেখুন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, দলিলপত্রঃ পঞ্চদশ খণ্ড, পৃষ্ঠা ৪২।

৫৪. দেখুন, প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ১৯৩।

৫৫. প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ১৯৩।

৫৬. বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, দলিলপত্র : পঞ্চদশ খণ্ড, পুনর্মুদ্রণ, পৃষ্ঠা ২১৬।

৫৭. মুক্তিযুদ্ধের দিন-দিনান্ত, পৃষ্ঠা ১১-১২।

৫৮, প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ১৪।

৫৯. প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ১৯-২১।

৬০. ৭১এর দশমাস, পৃষ্ঠা ১০৫।

৬১, প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ১০৫। কামাল সিদ্দিকীর আত্মবিবৃতি থেকে জানা যায়, নড়াইল থেকে ‘এপ্রিল মাসের ৭/৮ তারিখে তিনি বাবা-মার সাথে শেষবারের জন্য একবার দেখা করার জন্য ঢাকায় গিয়েছিলেন, কিন্তু মিলিটারিদের কারণে তাদের সঙ্গে দেখা করতে না পারে পথিমধ্যে স্কুটার নিয়ে নয়ার হাটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে প্রথমে রাজবাড়ী ও পরে চুয়াডাঙ্গা হয়ে শেষে কলকাতায় গিয়ে পৌঁছান।

৬২. বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, দলিলপত্র : পঞ্চদশ খণ্ড, পুনর্মুদ্রণ, পৃষ্ঠা ২১৮।

৬৩. মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, পৃষ্ঠা ৯৫।

৬৪. জনাব হুসাইন এসময় যশাের কালেক্টরেটে (জেলা প্রশাসকের কার্যালয়) সহকারী কমিশনার পদে কর্মরত ছিলেন। সেখানে থাকাকালে ভূমিজরিপসংক্রান্ত প্রশিক্ষণ (সার্ভে অ্যান্ড সেটেলমেন্ট ট্রেনিং) কাজে চট্টগ্রামে ছিলেন। কিন্তু ইতােমধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক অসহযােগ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হলে কর্তৃপক্ষ প্রশিক্ষণ বন্ধ ঘােষণা করে তাদেরকে নিজ নিজ কর্মস্থলে ফেরত পাঠিয়েছিল। ফেরার পথে তিনি নিজবাড়ি হয়ে সদ্য কর্মস্থল যশােরে ফিরে প্রায় কর্মহীন কিন্তু উদ্বেগপূর্ণ দিন অতিবাহিত করছিলেন।

৬৫. মুক্তিযুদ্ধের দিন-দিনান্ত, পৃষ্ঠা ৮-৬-৭।

৬৬. প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ৮৬।

৬৭. প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ৯৩।

৬৮, প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ৯১।

৬৯, প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ১১০-১১।

৭০. তােফায়েল সঙ্কলিত আপােষহীন সেই মানুষটি গ্রন্থভুক্ত তাঁর রচনা, পৃষ্ঠা ৬৪।

৭১. আপােষহীন সেই মানুষটি, পৃষ্ঠা ১৬।

৭২. প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ১৭-৮।

৭৩. তােফায়েল সঙ্কলিত আপােষহীন সেই মানুষটি গ্রন্থভুক্ত তাঁর রচনা, পৃষ্ঠা ৭১।

৭৪. প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ৭৪-৫।

৭৫, আপােষহীন সেই মানুষটি, পৃষ্ঠা ৭৮।

৭৬. স্মৃতিখণ্ড মুজিবনগর, পৃষ্ঠা ১২০।

পৃষ্ঠা: ১২৪

৭৭. বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, দলিলপত্রঃ পঞ্চদশ খণ্ড, পুনর্মুদ্রণ,পৃষ্ঠা ৩০৮।

৭৮. তদেব, পৃষ্ঠা ৭৬।

৭৯. মুক্তিযুদ্ধে আমি এবং আমার সময়, পৃষ্ঠা ১৬।

৮০. প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ১৬।

৮১. প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ১৬-৭।

৮২. প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ১৮।

৮৩. তথ্য সংগ্রহীত, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, দলিলপত্রঃ পঞ্চদশ খণ্ড, পষ্ঠা ১৮২

৮৪. বাংলাদেশ সরকার ১৯৭১, পৃষ্ঠা ২৫৮-৯।

৮৫. তথ্য সংগ্রহীত, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, দলিলপত্রঃ পঞ্চদশ খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩৪০।

৮৬. প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ৩৪২।

৮৭. পাঁচ দশকের স্মৃতি কথা, পরমা প্রকাশনী, ঢাকা, ১৯৯৩।

৮৮, তথ্য সংগৃহীত, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, দলিলপত্রঃ ষষ্ঠ খণ্ড/ মুজিব নগর ও গণ মাধ্যম, সম্পাদক হাসান হাফিজুর রহমান, পৃষ্ঠা ১৪।

৮৯. বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, দলিলপত্রঃ পঞ্চদশ খণ্ড, পৃষ্ঠা ৫৫-৫৬।

৯০. ৭১এর দশমাস, পৃষ্ঠা ৩৬১।

৯১. মুক্তিযুদ্ধে রাইফেলস ও অন্যান্য বাহিনী, পৃষ্ঠা ২১৫-৭।

৯২. মুজিবনগর সরকারের রিলিফ বা ত্রাণ কমিশনার জে. জি. (জয় গােবিন্দ) ভৌমিকের বক্তব্য প্রণিধানযােগ্য। তিনি জানিয়েছেন: “সবশেষে একটা কথা বলা প্রয়ােজন করি। অনেককেই মন্তব্য করতে শুনি যে, যারা মুজিবনগরে গিয়ে সরকারের চাকুরীতে নিয়ােগ লাভ করেছেন তারা মহাসুখে দিন কাটিয়েছেন। কথাগুলি মােটেই সঠিক নয়। তাদের অধিকাংশই নিদারুণ দুঃখ দুর্দশার মধ্যে দিন কাটিয়েছেন। তাদের না ছিল সুস্থ থাকার পরিবেশ, না ছিল আর্থিক সংগতি। মন্ত্রী থেকে প্রথম শ্রেণীর অফিসার পর্যন্ত সবাইকে দেয়া হতাে সর্বমােট ৫০০ টাকা, মাসিক এলাউন্স হিসেবে। তাই দিয়ে অফিসারগণ কোন মতে তাদের পরিবারসহ থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে নিতেন। মন্ত্রীবর্গ ও অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির জন্য অবশ্য থাকা খাওয়ার অন্য ব্যবস্থা ছিল। সবার সঠিক খবর বলা কঠিন। তবে একান্ত ব্যক্তিগত হলেও আমি বলতে চাই বাংলাদেশের রিলিফ কমিশনার হিসেবে নিয়ােজিত থাকাকালীন আমি আমার এক পুত্র সমেত ৯৩/১এ বৈঠকখানা রােডে এক মেসে এক সিটে থাকতাম। মাসিক ভাড়া ৮ টাকা। কোনমতে কলকাতার মত স্থানে নিজেকে চালিয়ে বাকী টাকা। পরিবারের জন্য পাঠাতে হতাে। কষ্ট করেছি কম নয়। তবু একথা বলব, আমরা অনেকের চেয়েই ভাল ছিলাম। আমাদের মনে বুক ভরা আনন্দ ছিল। দেশকে স্বাধীন করবাে। স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে আত্মনিয়ােগ করবার সুযােগ ক’জনের ভাগ্যে জোটে। তাই আমরা ধন্য।” (দেখুন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, দলিলপত্র: পঞ্চদশ খণ্ড, পুনর্মুদ্রণ, পৃষ্ঠা ২৯৩-৩০০)।

৯৩. তথ্য সংগৃহীত, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, দলিলপত্রঃ, পঞ্চদশ খণ্ড, পৃষ্ঠা ২৯১।

৯৪. ৭১এর দশমাস, পৃষ্ঠা ৮৪। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, পরে এ জেলা প্রশাসক পাকিস্তানি সেনাদের হাতে বন্দি ও পুরাে নয় মাস কারা যন্ত্রণা ভােগ করেছিলেন।

পৃষ্ঠা: ১২৫

৯৫. ৭১এর দশমাস, পৃষ্ঠা ৮৬।

৯৬. বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র: ৯ম খন্ড, পৃষ্ঠা ১৮৫-এর সূত্রে, রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী, ৭১এর দশমাস, পৃষ্ঠা ১০৮।

৯৭. বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, দলিলপত্রঃ ৯ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ১৯১-এর সূত্রে, রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী, ৭১এর দশমাস, পৃষ্ঠা ১৩৯।

৯৮. বাংলাদেশ সরকার ১৯৭১, পৃষ্ঠা ২৬৬।

৯৯. তদেব, পৃষ্ঠা ১৯৮, ২১২।

১০০. The Dacca Gazette, Wednesday, November, 3, 1971, p. 1391.

১০১. বাংলাদেশ সরকার ১৯৭১, পৃষ্ঠা ২৫৬।

১০২. বাংলাদেশ সরকার ১৯৭১-৭৫, এইচ. টি. ইমাম, পৃষ্ঠা ৪৪।

১০৩. বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, দলিলপত্রঃ, সপ্তম খণ্ড, পাকিস্তানী দলিলপত্র, পৃষ্ঠা ৬২৪-৬।

১০৪. বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, দলিলপত্রঃ, তৃতীয় খণ্ড, মুজিব নগর ও প্রশাসন, ১৯৮২, পৃষ্ঠা ৮৬; ১০৫; ২৩৯।

১০৫. তথ্য সংগৃহীত, প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ১০৪-৫।

১০৬. তথ্য সংগৃহীত, প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ১০৬।

১০৭. তথ্য সংগৃহীত, প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ৬৯২।

১০৮, তথ্য সংগৃহীত, প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ১০৬।

১০৯. তথ্য সংগৃহীত, প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ১১৫-১৬।

১১০, তথ্য সংগৃহীত, প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ২৩৯-৪০।

১১১. এবিষয়ে বিশদ জানতে হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, দলিলপত্র শীর্ষক সরকারি প্রকাশনার তৃতীয় খণ্ড-সহ অন্য দু-একটি খণ্ড, মুজিবনগর সরকারের ওপর পরবর্তীকালে রচিত বিভিন্ন লেখক-গবেষকের রচিত বই-পুস্তক বিশেষত শামসুল হুদা চৌধুরীর মুক্তিযুদ্ধে মুজিবনগর; সুকুমার বিশ্বাস সংগৃহীত, সঙ্কলিত ও সম্পাদিত Bangladesh Liberation War Mujibnagar Government Documents 1971; M. A. Bari-3 Mentoirs of A Blood Birth (মুক্তিযুদ্ধের রক্তিম স্মৃতি); দুশো ছেষট্টি দিনে স্বাধীনতা, মুক্তিযােদ্ধা মুহাম্মদ নূরুল কাদির; সিএসপি-ইপিসিএসদের কারাে কারাে লেখা আত্মজীবনীসদৃশ গ্রন্থ বা স্মৃতিচারণামূলক রচনা প্রভৃতি, বিশেষ করে এইচ টি ইমামের বাংলাদেশ একাত্তর ১৯৭১ (গ্রন্থটির মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি এবং আমার ডায়েরি’ নামক অধ্যায়ের ‘মুজিবনগরে এবং পরিশিষ্টের অন্তর্ভুক্ত ‘মস-৪৯ Activities of the Government’ দ্রষ্টব্য) ও বাংলাদেশ সরকার ১৯৭১-৭৫ (প্রথম ও দ্বিতীয় অধ্যায়); মােহাম্মদ নুরুল কাদেরের একাত্তর আমার; সৈয়দ আবদুস সামাদের যখন দুঃসময়, সুসময় : আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের পাঁচালি,

পৃষ্ঠা: ১২৬

ফয়েজ উদ্দীন আহমেদের পাঁচ দশকের স্মৃতি কথা, সা’দত হুসাইনের মুক্তিযুদ্ধের দিন-দিনান্ত, ধীরাজ কুমার নাথের Bureaucracy in Bangladesh My Experience ইত্যাদি দেখা যােত পারে।

১১২. জে. জি, ভৌমিকের আত্মজবানি, তথ্য সংগৃহীত, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, দলিলপত্রঃ, পঞ্চদশ খণ্ড, সাক্ষাত্তার, পৃষ্ঠা ২৯১।

১১৩. তথ্য সংগৃহীত, প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ২৯২-৩।

১১৪. দেখুন, ৭১এর দশমাস, পৃষ্ঠা ২৬০।

১১৫. প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ৪১৯।

১১৬. তথ্য সংগৃহীত, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, দলিলপত্রঃ, ষষ্ঠ খণ্ড মুজিব নগরঃ গণ মাধ্যম, পৃষ্ঠা ৫৮৯।

১১৭. তথ্য সংগৃহীত, প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ৫৮৯-৯০।

১১৮. তথ্য সংগৃহীত, প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ৬৩২।

১১৯. তথ্য সংগৃহীত, প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ২১৩।

১২০.  তথ্য সংগৃহীত, প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ৪৭১।

১২১. তথ্য সংগৃহীত, প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ৫১১।

১২২. তথ্য সংগৃহীত, প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ৫৩৪।

১২৩. তথ্য সংগৃহীত, প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ৫৩৯।

Source: মুক্তিযুদ্ধে সিএসপি ও ইপিসিএস অফিসারদের ভূমিকা কাবেদুল ইসলাম

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!