You dont have javascript enabled! Please enable it! শেখ মুজিবের আয়ের উৎস (অপপ্রচারের জবাব) - সংগ্রামের নোটবুক

শেখ মুজিবের আয়ের উৎস (অপপ্রচারের জবাব)

১) পৈত্রিক সুত্রে এবং স্ত্রী ( কোন ওয়ারিশ নাই) এর প্রচুর সম্পত্তি।(সুত্রঃ অসমাপ্ত আত্মজীবনী)
২) কলকাতার বেবসা গুটাইয়া আনিয়া খুলনায় বিনিয়োগ। গুদাম, বড় বড় নৌকা, ধান চালের বেবসা ভাই শেখ নাসের এর মাধ্যমে (সুত্রঃ অসমাপ্ত আত্মজীবনী)
৩) ১৯৫৮ পর্যন্ত চা বোর্ডের চেয়ারম্যান সরকারি ভাতা, এম পি ভাতা, কিছুদিন মন্ত্রি ভাতা।
৪) ১৯৬০- ১৯৭০ আলফা ইনস্যুরেন্স এর পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান। প্রকাশ্য বেতন ১৫০০ তে শুরু করেছিলেন। কোম্পানির মালিক ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন থেকে আলাদা এক কালীন ভাতা পাইতেন।
৫) চা বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকা কালীন ধানমণ্ডির প্লট বরাদ্ধ পান। মূল্য মাত্র ৭০০০ টাকা কমবেশি। চা বোর্ডের চেয়ারম্যানের ৪-৫ মাসের বেতনের সমান। শেষ কিস্তি পাকিস্তান আমলে আর পরিশোধ করেন নাই।
৫) বাড়ি তৈরিতে সাহায্য করেন সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রি মতিউর রহমান(রংপুর), সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এম এ আওাল (চাদপুর) ও খুলনার বেবসা থেকে অর্থ সংস্থান, নিজের টাকা। বাড়ি নির্মাণ কালীন তিনি আলফা ইন্সুরেন্স এ চাকরি করেন। খুলনার ১ মাস ভাড়া দিয়েই উনাদের ৩ মাসের খরচ হইত। তারা সাদামাটা জীবনযাপন করতেন।
৬) বাসায় যে মালামাল অর্থ পাওয়া গিয়াছে তা অস্বাভাবিক কিছু না। সবাই যানে বঙ্গবন্ধুর বাসায় কি পরিমান মানুষ জন যাতায়াত করত। এদের একদিনের আপ্যায়ন অনেক খরচের। তার উপর অনেক গরিব দুঃখী মানুষের উপকারে প্রচুর দান করতে হত এই জন্য বাসায় নগদ টাকার মজুদ থাকতো। মাত্র একমাস আগে দুই ছেলের বিবাহ হয়েছে। অনেক দেশি বিদেশি উপহার ও স্বর্ণালঙ্কার থাকা স্বাভাবিক।
৭) অস্র গুলির বেশির ভাগ দায়িত্বরত পুলিশের যারা ঘটনার পর আর নিতে পারেনি। হত্যাকারীরা কয়েক পুলিশ হত্যা করে। বাকি অস্র গুলি শেখ কামাল ও জামালের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি।
বঙ্গবন্ধু পরিবারের কেউ কেউ এবং বেক্তিগত স্টাফদের বিদেশ যাওয়ার সময় ছিল। ঘটনার আগে হাসিনা রেহানা মমিনুল খোকা বিদেশ গিয়াছিল। তাই বিদেশি মুদ্রা থাকা অসাভবিক কিছু নয়। সব কিছু বৈধ ছিল বিধায় জিয়া তা ফেরত দিয়েছিলেন।