You dont have javascript enabled! Please enable it!

১৪ এপ্রিল ১৯৭১: ভৈরবের গণহত্যা দিবস
ভৈরবে প্রথম হানাদার বাহিনী পা রাখে ১৯৭১ সালের ১৪ এপ্রিল। সেদিন ছিল পয়লা বৈশাখ। সারা দেশে যুদ্ধের দামামা বাজলেও হাওরাঞ্চলের প্রবেশমুখ নদীবন্দর ও বাণিজ্যনগরী ভৈরবের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চলছিল ‘হালখাতা’ উৎসব পালনের প্রস্তুতি। হঠাৎ করে ভৈরবের আকাশে দেখা যায় চারটি জেট বিমান, একাধিক হেলিকপ্টার এবং স্থলপথে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপার বর্তমান নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার রামনগর এলাকার ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রিজসংলগ্ন স্থানে গানবোট। পাকবাহিনী ওই এলাকা থেকে গানবোট দিয়ে গুলি ছুড়তে ছুড়তে ভৈরব শহরের দিকে অগ্রসর হয়। দুপুরে সামরিক বাহিনীর কয়েকটি হেলিকপ্টার থেকে ভৈরবের মধ্যেরচর এলাকায় ছত্রীসেনা নামানো হয়। তখন পাকসেনা দেখে সাধারণ মানুষ প্রাণভয়ে পালাতে থাকে। এদিকে, পাকিস্তানি ছত্রীসেনারা শহরে প্রবেশ করার সময় পথে ব্যাপক হত্যাকাণ্ড, অগ্নিসংযোগ করে মানুষকে আতঙ্কিত করে তোলে। অন্যদিকে, হেলিকপ্টার থেকে গ্রামে নামার পর ছত্রীসেনার দল কয়েক ভাগে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে শহরে প্রবেশ করার সময় শিবপুর ইউনিয়নের পানাউল্লাহরচর ও আলগড়া নামক ওই এলাকায় খেয়াঘাটের দুই পাড়ে প্রাণভয়ে পলায়নপর নিরস্ত্র-নিরপরাধ পাঁচ শতাধিক মানুষকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে। পাকবাহিনীর নির্মম শিকার কয়েকশ মানুষের তাজা রক্তে সেদিন ব্রহ্মপুত্রের ধূসরজল রক্তিম হয়ে ওঠে।

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!