১৩ জানুয়ারী ১৯৭২ঃ মন্ত্রীসভা বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত সমুহ
মন্ত্রীসভা বৈঠকের বাহিরে ক্যাবিনেট ডিভিশন মন্ত্রীদের দফতর বণ্টন করেছে। দপ্তর নিম্নরূপ সৈয়দ নজরুল শিল্প ও বাণিজ্য, তাজউদ্দিন অর্থ, রাজস্ব ও পরিকল্পনা, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী যোগাযোগ, এএইচএম কামারুজ্জামান ত্রান ও পুনর্বাসন, জহুর আহমেদ চৌধুরী স্বাস্থ্য ও শ্রম, অধ্যাপক ইউসুফ আলী শিক্ষা ও সংস্কৃতি, শেখ আজিজ কৃষি পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়, আব্দুস সামাদ আজাদ পররাষ্ট্র, খন্দকার মোস্তাক আহমেদ বিদ্যুৎ, সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রন, ফণী ভূষণ মজুমদার খাদ্য ও বেসামরিক সরবরাহ, ডঃ কামাল হোসেন আইন, সংসদ ও পূর্ত। সবাইকে দুটি করে মন্ত্রনালয় দেয়া হয়েছে যাদের একটি দেয়া হয়েছে তা বড় মন্ত্রনালয়।
জাতীয় সঙ্গীত চূড়ান্ত মনোনয়ন
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি দেশ বন্দনামূলক গানটির প্রথম ১০ লাইন স্বাধীন দেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে চূড়ান্ত মনোনয়ন করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় কোন অনুষ্ঠানে গানটির প্রথম চার লাইন যন্ত্র সঙ্গীত হিসেবে বাজানো হবে।
জাতীয় পতাকা অনুমোদন
মানচিত্র বাদ দিয়ে জাতীয় পতাকার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
জাতীয় প্রতীক অনুমোদন
মন্ত্রীসভা প্রবাসী সরকারের আমলে নির্ধারণ করা বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক হুবুহু বহাল রেখেছে।
খাজনা সুদ মওকুফ
বৈঠকে বাংলা ১৩৭৮ সাল পর্যন্ত সকল বকেয়া সুদ সহ সকল খাজনা মওকুফ করা হয়েছে। তা এখন থেকে আদায় বন্ধ থাকবে। কৃষককুল জাতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ গ্রহন করায় এবং গ্রামাঞ্চলে বর্বর শত্রুরা ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রীসভা এ সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্তে বলা হয় বর্তমান জনসাধারন যারা জাতীয় মুক্তি আন্দোলনে সাহসিকতার সাথে অংশ নিয়েছেন তারা আজ অস্তিত্তের জন্য সংগ্রাম করছেন। সমগ্র গ্রাম বাংলা ধ্বংস হয়ে গেছে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ গৃহহারা হয়েছে এবং এ জন্য এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে তাদের অবিলম্বে দায় থেকে উপশম দেয়ার জন্য খাজনা মওকুফ করা হয়েছে।
জাতীয় শোক দিবস
সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরনে ১৬ জানুয়ারী জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করেছে।