You dont have javascript enabled! Please enable it!

৮ জানুয়ারী ১৯৭২ঃ ঢাকায় পরিবার ও নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপ

শেখ মুজিবুর রহমান বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে মিশন কর্মকর্তাদের গাড়ীতে করে ক্লারিজস হোটেলে পৌছেন। এর পর কিছুক্ষন হোটেলে বাঙ্গালী অভ্যাগতদের সাথে কথা বলেন সকল পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত হন। তিন মিশন কর্মকর্তা রেজাউল করিম, আজিজুর, মহিউদ্দিন এর সাথে পরামর্শ করে দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের (আলাদা পোস্ট) সময় দেন। সংবাদ সম্মেলনের পর তিনি বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায় পরিবারের সদস্য ও সরকারের মন্ত্রীদের সাথে কথা বলেন। শেখ মুজিবের মুক্তির সংবাদ পেয়ে অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নজরুল ইসলাম, কর্নেল ওসমানী, কেএম ওবায়দুর রহমান, শেখ মনি, সাজেদা চৌধুরী, তোফায়েল আহমেদ বেগম মুজিবের আবাস ১৮ নম্বর বাড়িতে হাজির হন। বিদেশী সাংবাদিকরাও এ বাসায় উপস্থিত হসেশসংবাদ সম্মেলন শেষে শেখ মুজিব তাজ উদ্দিনের কাছে বলেন আমি সাংবাদিক দ্বারা পরিবেষ্টিত তাই শুধু দেশবাসীর খবর জানতে চাই তারা কেমন আছে। তাজ উদ্দিন জবাবে জানান পাকিস্তানী বাহিনী আমাদের লাখ লাখ জনগনকে হত্যা করেছে। তাজউদ্দিন বলেন নানা প্রতিবন্দকতা সত্ত্বেও দেশবাসী আপনার নেতৃত্ব এ অবিচল আস্থা রেখে শত্রুর বিরুদ্ধে অস্র ধরে দেশ স্বাধীন করেছে।(আপনার) নেতার প্রতি তাদের অগাধ ভালবাসা রয়েছে। সৈয়দ নজরুল ইসলামের সাথে কথা বলার পর তিনি পর্যায়ক্রমে বেগম মুজিব শেখ হাসিনা, শেখ কামাল ও রাসেলের সাথে কথা বলেন। শেখ মুজিব তার প্রেস সচিব আমিনুল ইসলাম বাদশার কাছে ফোনে অনেক আবেগতারিত হয়ে বলেছিলেন পাকবাহিনী নাকি সিরাজ উদ্দিনকে হত্যা করেছে।
এরপর বিদেশী সাংবাদিকরা বেগম মুজিবের প্রতিক্রিয়া নেয়ার চেষ্টা করে। শেখ কামাল এবং শেখ মনি বেগম মুজিবকে বলার জন্য কিছু শিখিয়ে দেন কিন্তু বেগম মুজিব কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলেন। সেখানে উপস্থিত সৈয়দ নজরুল পরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!