৭ জানুয়ারী ১৯৭২ঃ কর্মী ও জনসভায় তাজউদ্দিন আহমেদ
প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ আওয়ামী লীগের এক কর্মী সভায় পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলীকে হুশিয়ার করে বলেছেন পাকিস্তানকে বিপর্যয়ের হাত হতে রক্ষা এবং উপমহাদেশে স্থায়ী শান্তি স্থাপন করতে চাইলে তাকে অবিলম্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে মুক্তি দিতে হবে। তিনি বলেন আমাদের প্রিয় নেতাকে ফিরিয়ে আনার জন্য বাঙ্গালীরা যে কোন ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত আছে। পরে কমলাপুরের জনসভায় তিনি একই কথার পুনরাবৃত্তি করেন। তিনি সেখানে আরও বলেন লক্ষ লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে এ স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। তার চেয়ে অধিক ত্যাগের বিনিময়ে হলেও দেশের স্বাধীনতা ও শান্তি রক্ষা করা হবে। তিনি বলেন দেশে বিদেশে দেশের শত্রুরা গোলযোগের চেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি বলেন পাকিস্তান সরকারের সাথে যোগসাজশকারীদের অবশ্যই বিচার হবে। তিনি কালোবাজারি, মুনাফাখোর মজুতদারদের প্রতি হুশিয়ারি উচ্চারন করে বলেন এদের কাউকে ক্ষমা করা হবে না।
তিনি বলেন চীন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে সাহায্য না করলে যুদ্ধ ৯ মাস হত না। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়নের সাহায্যের জন্য তিনি ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়নের সরকার ও জনগনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক ময়েজ উদ্দিন এ সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ প্রচার সম্পাদক আব্দুল মোমেন, সমাজসেবা সম্পাদক কেএম ওবায়দুর রহমান, ঢাকা শহর আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক গাজী গোলাম মোস্তফা, আওয়ামী লীগ নেতা কোরবান আলী।