You dont have javascript enabled! Please enable it!

১০ জানুয়ারী ১৯৭২ঃ পরিবারের সাথে মুজিব

বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন শেখ মুজিব এর তিন পুত্র এবং বয়োবৃদ্ধ পিতা। চোখাচোখি হলেও তাদের মধ্যে কুশলাদি বিনিময়ের সুযোগ হয়নি। শেখ কামাল মুজিবকে বহনকারী ট্ট্রাকে অনেক কাছেই ছিলেন তবুও তাদের মধ্যে আলাপের সুযোগ হয়নি। রাসেল পিছনে একটি জীপে ছিলেন তবে তার সাথে একবার চোখাচোখি হয়েছিল সে সময় রাসেল হাত নাড়িয়ে পিতাকে শুভেচ্ছা জানান। রেসকোর্স থেকে ধানমণ্ডির বাড়ীতে বিকেল ৫ টা ৩৫ মিনিটে পৌঁছেন শেখ মুজিব। বাড়ীর বাহিরে তখন হাজারো জনতা মুহুর্মুহু জয়বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগানে এলাকা প্রকম্পিত করে তুলছিল। তারা বাড়ীর প্রবেশ পথে তাকে স্বাগত জানান। জনতার ভিড়ে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন বাড়ীতে প্রবেশে ব্যর্থ হন। তিনি পরে অন্য বাড়ীর দিক দিয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় বাড়ীতে প্রবেশ করেন। বাড়ীতে পৌছলেই তার জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা তাকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন। তিনি কন্যাকে সান্তনা দিতে দিতে এগিয়ে যান। একদল নারী এ সময় শেখ মুজিবের উদ্দেশে পুষ্পবর্ষণ করেন। ঘরের ভিতরে প্রবেশের পর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা শেখ মুজিবকে জড়িয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন। পরে রেহানা মুজিবকে তার ৯০ বছরের বৃদ্ধ পিতার শয়ন কক্ষে নিয়ে যান। তিনি তার বৃদ্ধ পিতার পা ছুয়ে কদমবুছি গ্রহন করেন। পরে তিনি তার বৃদ্ধা মাতার কাছে যেয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে শিশুদের মত কাদতে থাকেন।
৬ টা ১৫ মিনিটে তার বাসভবনে বিশেষভাবে প্রস্তুত ড্রইংরুমে ফিরে নেতৃবৃন্দ এবং দেশী বিদেশী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। ড্রইং রুমটি ছিল ডেকোরেটর থেকে আনা কয়েকটি সাধারন পোর্টেবল ফোল্ডিং চেয়ার।

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!