৬ এপ্রিল ১৯৭১ ব্লাড টেলিগ্রাম
২৫ মার্চের গণহত্যাটি কিন্তু বিশ্বের কাছে প্রথমে এতটা বড় করে প্রকাশ পায়নি। সেই রাতের ভয়াবহতা আন্তর্জাতিকভাবে প্রথম যিনি তুলে ধরেছিলেন, তার নাম ছিল আর্চার ব্লাড। তিনি ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন উপ রাষ্ট্রদূত ছিলেন। এই গণহত্যার ভয়াবহতা জানিয়ে ৬ এপ্রিল ১৯৭১ তারিখে তিনি তার আরও কয়েকজন সহযোগী সহ তীব্র ভাষায় টেলিগ্রাম পাঠান যুক্তরাষ্ট্রে, এটি ‘ব্লাড টেলিগ্রাম’ নামে পরিচিত। তবে তার আগে ২৭ তারিখও একক ভাবে তিনি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন, কিন্তু আদৌ পাত্তা পাননি।তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন রিচার্ড নিক্সন। আর তার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ছিলেন হেনরি কিসিঞ্জার। স্টেট মন্ত্রী ছিলেন রজারস।
তারা চায়নি যে, দক্ষিণ এশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের হাত থেকে ছুটে যাক। কিসিঞ্জার ভেবেছিলেন, ভারত যেহেতু পূর্ব পাকিস্তান অর্থাৎ বাংলাদেশের প্রতি সহানুভূতিশীল এবং তাদের মিত্র পাকিস্তানের ‘শত্রু’, তার মানে ভারতের মিত্র সোভিয়েতের প্রভাব থেকে এই এলাকাকে মুক্ত করতে অবশ্যই পাকিস্তানকে জিততে হবে।
নিক্সন প্রশাসন তার টেলিগ্রামকে পাত্তাই দেয়নি বরং অনেক উপহাস করেছে। ব্লাড সহ অনেক কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।তার জায়গায় যায় স্পিভাক। পরে ব্লাডের এক সহযোগী গ্যারি বাস যিনি এই তার এই টেলিগ্রাম নিয়ে একটি বই লিখেন যার নাম ব্লাড টেলিগ্রাম। আর এই বই লিখে রাতারাতি ২ জন বিখ্যাত হয়ে যান। বইটি বেশ কয়েকটি আন্তরজারতিক পুরস্কার পেয়েছে।তার একটি পুলিতজার পুরস্কার।