You dont have javascript enabled! Please enable it!

৭২ সালে মেজর জলিলের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সমুহ।

মেজর জলিল তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ থেকে খালাশ পেয়েছিলেন। সে বিচারের বিচারক ছিলেন মেজর তাহের। বিচারের ফলাফল কি হতে পারে বিচারক এবং আসামীর অবস্থান তাই বলে দেয়। হিপ্পি বলে কথিত মেজর জলিলের বিরুদ্ধে ১৪টি অভিযোগ ছিল। একে খন্দকার তার বই মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর কথোপকথন যা বলেছেন তা এখানে উল্লেখ করলাম না যা অত্যন্ত আপত্তিকর।
৭২ এর জুলাইয়ে এনায়েত উল্লাহর হলিডেতে প্রকাশিত অভিযোগের কিছু উল্লেখ পাওয়া যায়। তা হল
১) মুক্তিযুদ্ধ কালে মেজর জলিল প্রায় আওয়ামী শীর্ষ নেতাদের গালিগালাজ করতেন। গত ২১ নভেম্বর তিনি তার অধস্তনদের কাছে বরিশালের এমএনএ আব্দুর রব সেরনিয়াবতকে অশ্লীল গালিগালাজ করেন।
২) তিনি মুক্তিবাহিনীর রেশনের কথা বলে ১৭ ডিসেম্বর খুলনার ডিসি থেকে জোরপূর্বক ১০০০০ টাকা গ্রহন করেন কিন্তু তা তিনি রেশনের কাজে বেবহার না করে আত্মসাৎ করেন।(খুলনায় কামাল সিদ্দিকির পোস্টিং হয়। তিনি আগেরজন না কামাল সিদ্দিকি থেকে টাকা নিয়েছিলেন তা জানা যায়নি)
৩) ১৯ ডিসেম্বর তিনি খুলনা সদর থানা অস্রাগার থেকে বিপুল সংখ্যক ক্ষুদ্র অস্র জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেন।
৪) ২৯ ডিসেম্বর রিকুইজিশনের নাম করে খুলনার ক্রিসেন্ট জুট মিলের মেহের আলীর গাড়ী খুলনা ক-১২৬ নিয়ে গেছেন মেজর জলিল।
৫) ঢাকার মাকসুদুর রহমানের গাড়ী ঢাকা ক- ৮৫৬৮ নিয়ে গেছেন মেজর জলিল।
৬) মেজর জলিল যুদ্ধের বিভিন্ন আটক পণ্য ভারতের বাজারে বিক্রি করে নিজে লাভবান হয়েছেন।
মোট ৬+২= ৮ টি অভিযোগ ছিল সিভিল বাকী গুলি সামরিক বিধায় প্রকাশ হয়নি।
এমভি মাসুদ নামে পাকিস্তানী যুদ্ধবন্দী বহনকারী নৌযান থেকে মেজর জলিলকে আটক করা হয়।

 

 

 

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!