৬ জানুয়ারী ১৯৭২ঃ সকল মুক্তিযোদ্ধাকে মিলিশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করা হবে- তাজ উদ্দিন।
নবগঠিত মিলিশিয়া বোর্ডের প্রথম সভায় প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ বলেছেন স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছেন এমন সকল মুক্তিযোদ্ধাকে জাতীয় মিলিশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তাদের আহার, বাসস্থান এবং পারিশ্রমিকের ব্যবস্থা করবে সরকার। তিনি বলেন মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকেই শহীদ হয়েছেন অনেকে আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরন করেছেন তাদের এখনও সরকার কোন সুযোগ সুবিধা দিতে পারেনি। মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীনের জন্য বিভিন্ন ক্যাম্পে অনেক দুর্দশার মধ্যে দিনাতিপাত করেছেন তাই আমরা তাদের জাতি পুনর্গঠনের কাজে লাগাতে চাই। তাদের মহকুমা পর্যায়ে কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। মিলিশিয়ায় যারা আসবেন পরবর্তীতে তারা লেখাপড়ায় ফিরে যেতে চাইলে বা বাড়ী ফিরে যেতে চাইলে বা অন্য পেশায় নিয়োজিত হতে চাইলে তাদের যেতে দেয়া হবে। সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামরুজ্জজামান, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, সাবেক সেচ্ছাসেবক বাহিনী প্রধান ও মুজিব বাহিনী কম্যান্ডার আব্দুর রাজ্জাক, ন্যাপ প্রধান অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ, কম্যুনিস্ট পার্টি প্রধান মনি সিংহ, বাংলাদেশ কংগ্রেস সভাপতি সুরেন্দ্র নাথ ভট্টাচার্য, ক্যাপ্টেন সুজাত আলী এমএনএ, ভারতীয় কিলো ফোর্স অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার আনন্দ স্বরূপ, তোফায়েল আহমেদ এমএনএ, গাজী গোলাম মোস্তফা এমপিএ, সচিব রুহুল কুদ্দুস, প্রতিরক্ষা সচিব আব্দুস সামাদ, মেজর খালেদ মোশাররফ।