৫ জানুয়ারী ১৯৭২ঃ ইন্দিরা গান্ধী
ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী কোলহাপুরে শিবাজি বিশ্ববিদ্যালয় ময়দানে ৩ লাখ লোকের এক বিশাল জনসভায় জনগনের প্রতি যে কোন পরিনতির জন্য সদা সতর্ক ও প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন আগামী কয়েকমাসের মধ্যে কি ঘটিবে বা কি অসুবিধা দেখা দিবে তা তিনি বলতে পারছেন না। তবে পুনর্বার যদি একটা যুদ্ধ লাগে তার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। তিনি বলেন গেল বছর একটি সঙ্কটের বছর ছিল। সে সময় ভারত সাহস ও দৃঢ়তা নিয়ে পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধে জয়লাভ করেছে এবং বাংলাদেশ মুক্ত করেছে।
গেল বছরে বিদেশেও ভারত ক্রিকেট ম্যাচ গুলোতে জয়লাভ করেছে। এক্ষনে ভারত বহিঃ বিশ্ব এ তার স্থান যাতে অক্ষুন্ন রাখতে পারে সে প্রচেষ্টা নিতে হবে। ইন্দিরা গান্ধী ২০০ বছর এশিয়াকে শাসন করেছে এবং দেশ গুলির সমুদয় সম্পদ ভোগ করেছে উল্লেখ করে গান্ধী বলেন এখন এশিয়ার দেশগুলির একতাবদ্ধ হওয়া এবং উন্নয়নের সময়। তিনি বলেন পশ্চিমা দেশ গুলি কখনি কামনা করে না যে ভারত উন্নত হোক। তারা ভারতের বিরুদ্ধে সব সময় বিষাক্ত মনোভাব নিয়ে তার সমুদয় শক্তি বেয় করছে। তিনি বলেন কতিপয় শক্তি বলে যাচ্ছে যুদ্ধ জয় সত্ত্বেও ভারত তার জনগণকে খাদ্য সংস্থান করতে পারবে না। উত্তরে তিনি বলেন কয়েকটি রাজ্য এ বন্যা ও অন্যান্য কারনে ফলন ভাল হয়নি তা সত্ত্বেও বাংলাদেশের বিশাল বোঝা বহন করে ভারতের খাদ্য আমদানি করা লাগেনি। তিনি বলেন বাংলাদেশের বোঝায় তার জনগন ভেঙ্গে পড়েনি আমি বিশ্বাস করি জনগন এবারো ভেঙ্গে পড়বে না। তিনি আশা করেন পরবর্তী ২-৩ বছরে ভারতের ছাত্র অসন্তোষ সৃষ্টি হবে না কলকারখানায় ধর্মঘট ও লক আউট হবেনা। তিনি পুনে এবং কিরকি ও ভানরিতে সামরিক হাস্পাতাল পরিদর্শন শেষে দিল্লী রওয়ানা হন।