১৯৭১ সালের ৩ এপ্রিল মির্জাপুর গণহত্যা
(বাসস)
৩ এপ্রিল ১৯৭১ সালের এইদিনে পার্ক সেনারা মির্জাপুরে চার শতাধিক নারী-পুরুষ ও মুক্তিযোদ্ধা হত্যা করে।
১৯৭১ সালের এই দিনের কথা মনে হলে এখনও ভয়ে শিউরে ওঠে মির্জাপুর উপজেলার গোড়ান, সাটিয়াচূড়া, পাকুল্লাসহ আশপাশের কয়েক গ্রামের সাধারণ মানুষ।
সেদিন বর্বর পাকবাহিনী চার শতাধিক বাঙালি নারী-পুরুষকে নির্মমভাবে হত্যা করে। তারা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় শতশত ঘরবাড়ি।
৩ এপ্রিল পাক সেনারা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দিয়ে গাড়িবহর নিয়ে বৃহত্তর ময়মনসিংহের উদ্দেশে আসবে বলে এলাকাবাসী জানতে পারেন। তখনই এই এলাকার ইপিআর সদস্য ও মুক্তিপাগল জনতাকে সাথে নিয়ে পাকসেনাদের প্রতিরোধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২ এপ্রিল থেকেই ফজলুর রহমান খান ফারুকের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা ও কয়েকজন বাঙালি ইপিআর সদস্য সাটিয়াচূড়া ব্রীজের নীচে ও আশেপাশে অবস্থান নেয়। ৩ এপ্রিল ভোরে পাকসেনাদের সশস্ত্র গাড়িবহর সাটিয়াচূড়া ব্রীজের কাছে আসা মাত্র চার দিক থেকে আক্রমণ শুরু করে মুক্তিযোদ্ধারা।
এই প্রতিরোধ যুদ্ধে শতাধিক পাকসেনা হতাহত হয়। নিজেদের বিশাল পরাজয়ের খবর পেয়ে ঢাকা থেকে পাকসেনারা হেলিকপ্টারযোগে এসে মুক্তিযোদ্ধা, ইপিআর সদস্যসহ গ্রামের নিরীহ মানুষের উপর আক্রমণ করে। বর্বর পাকসেনারা সেদিন চার শতাধিক নারী-পুরুষ নির্মমভাবে হত্যা করে।