২ জানুয়ারী ১৯৭২ঃ দালাল গ্রেফতার
পাক দালাল শর্ষিনার পীর আবু জাফর মোঃ সালেহ তার নিজ আস্তানায় জানুয়ারির ১ তারিখে রাত্রে গ্রেফতার হয়েছেন। তাকে বরিশাল নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পীর সাহেব ১২ নভেম্বর থেকে ঘেরাও এবং নজরবন্দী ছিলেন। তিনি ঢাকার লালবাগে পাকবাহিনীর সহায়ক বাহিনী রাজাকার এবং পুলিশে তার অনুগত লোকজন নিয়োগ দিয়েছিলেন। তিনি তার এলাকায় তালেবে এলেম বাহিনী প্রতিষ্ঠা করেন যারা এলাকায় লুটপাট, নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণ প্রভৃতি কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। লুটপাটের অর্থ তিনি তার মাদ্রাসার কাজে, নিজের ভোগে এবং পাকিস্তান আন্দোলনের সৈনিকদের জন্য ব্যয় করতেন। তার আস্তানায় পাক বাহিনীর ক্যাম্প ছিল। তার বাহিনী পাক বাহিনীর সহযোগী হিসেবেও অনেক যায়গায় অপারেশনে অংশ নিত। শরশিনার পীর ছাড়াও ঢাকায় কুখ্যাত ও নিহত মোনায়েম খানের দুই ছেলেকেও আটক করা হয়েছে। এ ছাড়াও গ্রেফতার হয়েছেন বরিশাল শান্তি কমিটি সভাপতি ও কনভেনশন লীগ নেতা আব্দুর রব। মুনশিগঞ্জ মহকুমা পিডিপি সাধারন সম্পাদক মোক্তার মহসিন আলী ময়মনসিংহের পিডিপি নেতা ও এমপিএ মালিক মন্ত্রীসভার মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন এর ভাই মোয়াজ্জেম হোসেন। গুরুদয়াল কলেজের অধ্যাপক ও শহর আল বদর প্রধান জামাতের মাহতাব উদ্দিন। ময়মনসিংহ মহকুমা শান্তি কমিটি সাধারন সম্পাদক জামাত নেতা মোক্তার হোসেন। সাভার তেতুলিয়া (তেঁতুলঝোড়া) ইউসি চেয়ারম্যান আব্দুল গনি সহ অর্ধশতাধিক দালাল রাজনৈতিক নেতা ও পুলিশ কর্মচারী ও অফিসার।