৩০ মার্চ ১৯৭১
কুষ্টিয়া
-মেজর আবু ওসমানের নেতৃত্বাধীন ইপিআর ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর সঙ্গে তুমুল যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। পাকবাহিনী দামুড়হুদা, আলমডাঙ্গা, ঝিনাইদহের পথে পালাতে থাকে। ২৫৬ জন পাকসেনা ঘটনাস্থলে নিহত হয়। গ্রামবাসী পলায়নরত ক’জন পাকসেনাদের ধরে কুপাইয়া হত্তা করে। লেঃ আতাউল্লাহ মুক্তিবাহিনীর হাতে আত্মসমর্পণ করে।
রংপুর
৪৮ পাঞ্জাব ও ৪ এফ এফ যোগদানের পর হানাদার পাকবাহিনী রংপুর শহর সহ গ্রাম-গঞ্জের ওপর নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করে মানুষ হত্যা ও নির্মম পাশবিক অত্যাচার চালিয়ে এবং আগুন জ্বালিয়ে বাড়িঘর মহল্লা গ্রাম ধ্বংস করতে থাকে। -রংপুর ইপিআর দশম উইং এর সহকারী কমাণ্ডার ক্যাপ্টেন নওাজিশ আহমেদ পরিবার পরিজন লালমনিরহাট পাঠিয়ে দিয়ে কয়েকজন ইপিআর নিয়ে পালিয়ে তিস্তা নদীর পাড় সুন্দরগঞ্জে গোপন আশ্রয় গ্রহণ করে।
যশোর
১৯৭১ এর ৩০শে মার্চ ক্যান্টনমেন্টে আক্রমণ করা হলে লে: হাফিজ ১ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ২০০ সৈনিক ও ইপিআরের ৩০০ সৈনিক নিয়ে প্রতিরক্ষাযুদ্ধ করতে করতে বেনাপোলের দিকে অগ্রসর হয়।