২৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ঃ চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ
চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের এক সভায় শহীদদের স্মরণে একটি স্মৃতি সৌধ স্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় অবিলম্বে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবী করা হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন বাহিনীর সমন্বয় সাধন বা অস্র সমর্পণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য ঢাকার সহিত যোগাযোগ করার জন্য আঞ্চলিক পরিষদ প্রশাসক নুরুল ইসলাম চৌধুরী জেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক এমএ হান্নান এবং আবু সালেহ এমএনএকে দায়িত্ব দেয়া হয়। সভায় জেলা প্রশাসনের কাজ তদারকি করার জন্য জেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক এমএ হান্নান কে সভাপতি করে একটি কমিটি করা হয়। আঞ্চলিক পরিষদের ব্যায় নির্বাহের জন্য অর্থ কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি রশিদ মুলে চাদা উঠাতে পারবে। কমিটির সভাপতি এমএ কাশেম এমপিএ এবং সদস্য এমএ হালিম।
সভায় আওয়ামী লীগ মুক্তিবাহিনীর নামে চাদা আদায় দখল লুটপাটের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারন করা হয়। জন সাধারন এবং প্রশাসনের সুবিধার্থে মুক্তিবাহিনীর এবং মুজিব বাহিনীর সদস্যদের পরিচয় পত্র নেয়ার আহবান জানানো হয়। সভায় মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য দানের জন্য ভারত সরকার, জনগন এবং সশস্র বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়। সভায় বিগত ৯ মাসে হানাদারদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করার জন্য দলের কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান হয়। আরেক প্রস্তাবে সকল পর্যায়ে সভা সমাবেশ কাউন্সিল করার আহবান জানানো হয় এবং দলের যারা স্বাধীনতা বিরোধী ভুমিকা নিয়েছে তাদের দল থেকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। দলের যারা হানাদারদের দালালী করেছে তাদের আইনের হাতে সোপর্দ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।