২২ ডিসেম্বর ১৯৭১ঃ ভারতে নেয়ার জন্য খুলনায় যুদ্ধবন্দী একত্রীকরণ
খুলনায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা যুদ্ধবন্দীদের একত্র করা হয়েছে। মূলত ফরিদপুর থেকে আগত বন্দী আসার পর ভারত পাঠানোর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দুএকদিনের মধ্যে রেল লাইন সংযোগের পর ট্রেন যোগে তাদের কলকাতা পাঠানো হবে। এদের কয়েকদিনের মধ্যে ভারত পাঠানো হবে। পাকিস্তানী সিনিয়র আর্মি অফিসার বন্দীদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে মত বিনিময় করছেন ভারতীয় ৯ ডিভিশনের জিওসি দলবীর সিং। সর্বশেষ যুদ্ধ খুলনায় হওয়ায় ৯ ডিভিশন খুলনায় ঘাটি গড়ে। এখানে পাকিস্তানী বাহিনী তাদের বেশীর ভাগ অস্র নদীনালায় ফেলে দেয়ায় এবং অনেক যানবাহন ধ্বংস করে ফেলায় এখানে এসকল অফিসাররা জেরার সম্মুখীন হন।
নোটঃ অনুরূপ ঘটনা সৈয়দপুরেও ঘটে। সেখানে পুকুর ডোবায় ফেলে দেয়া অস্র পরে দ্রুত উদ্ধার করা হয় কিন্তু খুলনায় তা সম্ভব হয়নি বড় নদী থাকায়। অনলাইনে একটি ঘোলা ভিডিও আছে যাতে দেখা যায় ভারতীয় সৈন্যরা প্রচুর পরিমান স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করে তা মুক্তিবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছে। বন্দীরা তা ভোগ করতে পারবে না মনে করেই তা তাদের কাছে হস্তান্তর করেছিল। মেজর জলিল জাসদ সভাপতি থাকা অবস্থায় যখন সীমাহীন সমর (১৯৭৪) লেখেন বা ভারতীয় পত্রিকায় ৭১ এ লিখেছিলেন তখন ভারতীয় সৈন্যদের প্রশংসা করেই লিখেছিলেন। যখন ১৯৮৯ সালে পাকিস্তান পেইড ইসলামী আন্দোলন দলের নেতা হয়ে অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা লিখেন তখন ভারতীয় সৈন্যরা খারাপ। আগে লিখেছিলেন তাকে দলবীর সিং আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে অনেক মূল্যায়ন করে সামনের আসনে সীট দিয়েছিলেন আর পরে লিখেছিলেন তাকে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে ঢুকতেই দেয়া হয়নি।