১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ঃ ভৈরব আত্মসমর্পণ
১০ ডিসেম্বর আক্রমণের মুখে আশুগঞ্জ ছেড়ে পাকিস্তানি বাহিনীর ১৪ ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল কাজী আবদুল মজিদ খান তার ডিভিশন এবং ব্রিগেডিয়ার সাদ উল্লাহ্র ২৭ ব্রিগেডসহ(১২ এফএফ অংশ, ১২ আজাদ কাশ্মীর ২ কোম্পানি, ৩৩ বালুচ, ৩৪ পাঞ্জাব অংশ,আর্টিলারি অংশ ) ভৈরবে জব্বার জুট মিলে অবস্থান নেন। ভৈরবে তাদের শক্তিশালী ঘাটি থাকায়, সময় নষ্ট না করে যৌথবাহিনী ভৈরবকে মুক্ত করার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। যৌথবাহিনী রাজধানী ঢাকাকে মুক্ত করা কৌশলগতভাবে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে অগ্রসর হতে থাকে। একপর্যায়ে ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় আত্মসমর্পণের সঙ্গে সঙ্গে ভৈরবে অবস্থিত মেজর জেনারেল কাজী আব্দুল মজিদ ব্রিগেডিয়ার সাদ উল্লাহ্ সহ কয়েক হাজার (এক ব্রিগেড প্লাস) পাকিস্তানি বাহিনী মিত্রবাহিনীর মেজর জেনারেল গঞ্জাল্ভস এর কাছে আত্মসমর্পণ করে। পরে ২০ তারিখে সকালে রেলপথ ধরে পায়ে হাঁটিয়ে কয়েক হাজার সেনাকে(এক ব্রিগেড প্লাস) নেওয়া হয় ঢাকার পুরাতন বিমানবন্দরের কাছের একটি ক্যাম্পে।
নোটঃ অতি ধার্মিক কাজী আব্দুল মজিদ ডিসেম্বরে নিয়াজির কমান্ড মানেন নি। ভৈরব সেতু আগেই ধ্বংসের জন্য এবং হেলি লিফট বাধা না দেয়ার জন্য তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় পরে তিনি অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পান।