You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.12.11 | যুদ্ধ আপডেট - জেনারেল নিয়াজী | পাকিস্তানী হতাহত | মিত্রবাহিনীর বিমান হামলা সাময়িকভাবে স্থগিত | আশুগঞ্জ থেকে পাক বাহিনীর পশ্চাদপসরণ - সংগ্রামের নোটবুক

১১ ডিসেম্বর ১৯৭১ঃ যুদ্ধ আপডেট

জেনারেল নিয়াজী

লে. জেনারেল নিয়াজী ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট সম্মিলিত সামরিক হাঁসপাতাল পরিদর্শন করেন। এখানে আহত মেজর জেনারেল রহিম চিকিৎসাধীন আছেন। সেখানে একদল নার্স নিয়াজিকে অনুরোধ করে বলেন বিপদে তাদের যেন মিত্র বাহিনী থেকে উদ্ধার করা হয়। নিয়াজি তাদের বলেন দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই মার্কিন নৌ বহর তাদের সাহায্য করার জন্য কাছাকাছি চলে এসেছে। নিয়াজি তাদের বলেন মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে পরার আগে আমরাই তোমাদের হত্যা করব। পরে ঢাকা বিমান বন্দর/ঘাটি পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি বিমান বিধ্বংসী কামানের অবস্থা সম্পর্কে অবহিত হন। নিয়াজী বলেন, কোনক্রমেই শত্রুকে কাছে ঘেঁষতে দেয়া চলবে না। তিনি আশা প্রকাশ করেন, পাকবাহিনী তাদের ঐতিহ্যকে আরো উজ্জ্বল করবে। পরে বিমানবন্দরে তিনি ব্যাংকক প্রত্যাবর্তন গামী একদল বিদেশী সাংবাদিকদের সঙ্গে যেচে গিয়ে সাক্ষাৎ দেন ও সর্বশেষ যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ করেন।

পাকিস্তানী হতাহত

এদিন একজন মেজর একজন লেঃ সহ কয়েকশত পাক সেনা নিহত হয়। এরা হলেন মেজর জাহানজেব এপকাফ, লেঃ মুনিব আহমেদ। তিনি নিখোঁজ। চাদপুরের পলায়ন রত পাক সেনা বাহিনীর মেজর জেনারেল রহিম গতকাল আহত হয়ে সি এম এইচ এ ভর্তি হয়েছেন।

মিত্রবাহিনীর বিমান হামলা সাময়িকভাবে স্থগিত

জাতিসংঘের অনুরোধে মিত্রবাহিনীর বিমান হামলা সকালে সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়। উদ্দেশ্য বিদেশী নাগরিকদের ঢাকা ত্যাগের ব্যবস্থা করার জন্য বিমানবন্দর মেরামতের সুযোগ করে দেয়া।

আশুগঞ্জ থেকে পাক বাহিনীর পশ্চাদপসরণ
মাঝ রাতে দেশীয় নৌকায় করে আশুগঞ্জের পাক বাহিনী আশুগঞ্জ পশ্চাদপসরণ করে ভিড়বে ২৭ ব্রিগেডের সদরে মিলিত হয়েছে। ১১ তারিখ বিভিন্ন স্থান থেকে আসা এবং ভৈরবে অবস্থান করা বাহিনীকে পুন বিন্যাস করা হয়। জি ও সি র দুর্বল নেতৃত্ব এর কারণেই হোক আর শক্তির দুর্বলতাই হোক তারা সেখানে স্থির হয়ে রইল। এ সুযোগে তাদের ১৫ মাইল দক্ষিণে ভারতীয় বাহিনী নিশ্চিন্তে হেলিলিফট করে সৈন্য ও রশদ পার করে ফেললো।
সিলেট
চিকনাগুলে ৫/৫ গুর্খার সাথে আশেপাশের বাহিনী গুলো এসে যুক্ত হয়। দক্ষিনের ৪/৫ গুর্খাকে ফেঞ্চুগঞ্জে স্থির রেখে বাকী ৫৯ ব্রিগেড সিলেটের দিকে রওয়ানা হয়। (ফেঞ্চুগঞ্জ দখল নিয়ে তারিখের ভিন্নতা আছে। পাকিস্তানী লেখায় আগে দেখানো হয়েছে।)
যশোর
যশোরে মুক্তিবাহিনী অবস্থান নেয়া শুরু করেছেন। তারা ক্যান্টনমেন্ট এর বাহিরে ক্যাম্প করেছেন। ভারতীয় ৯ম ডিভিশন প্রধান মেজর জেনারেল দলবির সিংহ এর মধ্যে যশোর সফর করে গেছেন।
সাতক্ষীরা
একদল বিদেশী সাংবাদিক সাতক্ষীরা সফর করেন। তাদের পাঠানো ভিডিও ক্লিপে পরদিন থেকে বিশ্ব গনমাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্ত এলাকা প্রদর্শিত হওয়া শুরু হয়। এর আগে যশোরের মুক্ত এলাকা যুদ্ধচিত্রের সাহায্যে দেখানো হয়েছে।