You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.11.09 | রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ | নূরুল আমিন, মাহমুদ আলী , খান আব্দুস সবুর, ফরিদ উদ্দিন - সংগ্রামের নোটবুক

০৯ ডিসেম্বর, ১৯৭১ঃ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ

নূরুল আমিন
নবনিযুক্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নূরুল আমিন রেডিও পাকিস্তান থেকে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে ঐক্যবদ্ধভাবে ‘ভারতীয় হামলা’ মোকাবেলা ও ‘দুরভিসন্ধি’ নস্যাৎ করার আহ্বান জানান। মিত্রবাহিনীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, তাদের নগ্ন হামলায় অসংখ্য বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।
মাহমুদ আলী
ইয়াহিয়ার বিশেষ দূত মাহমুদ আলী কয়েকটি আফ্রিকান দেশ সফর করে দেশে ফিরে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে দেখা করে তার উত্তর আফ্রিকান দেশ সফরের ফলাফল ব্যাখ্যা করেন। পরে সাংবাদিকদের কাছে মাহমুদ আলী সোভিয়েত ভূমিকার সমালোচনা করে বলেন, সোভিয়েতের উচিৎ বিশ্ব শান্তির প্রতি গুরুত্ব দিয়ে ভারতের পাশ থেকে সরে দাঁড়ানো। চীন ও আমেরিকার সমর্থনের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, পাকিস্তান তাদের নির্ভীক ও ঐতিহাসিক সমর্থনের জন্য অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।
ফরিদ উদ্দিন
সিলেট সরকারি হাই স্কুলে এক সমাবেশে অখণ্ড পাকিস্তানের পক্ষে বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রসংঘ সভাপতি ফরিদ উদ্দিন। পরে তরিকুল ইসলাম ও বদরুদ্দোজাকে সভাপতি এবং সম্পাদক করে ছাত্রসংঘের সিলেট জেলা শাখা গঠন করা হয়।
খান আব্দুস সবুর
কাইউম মুসলিম লীগের প্রাদেশিক সাধারন সম্পাদক খান আব্দুস সবুর বলেন ভারতের সর্বাত্মক হামলার বিরুদ্ধে নিজেদের স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা বজায় রাখতে পাকিস্তানের প্রতিটি নাগরিক এক্ষনে বীর সেনাবাহিনীর পাশে সৈন্য এর ন্যায় দৃঢ় ভাবে দণ্ডায়মান হয়েছে । তিনি বলেন স্বাধীনতা রক্ষায় জনগন চরম ত্যাগ স্বীকার করবে। পাকিস্তানকে বিভক্তকরার প্রচেষ্টা কারী ভারতকে ১২ কোটি জনগন পরাস্ত করিবে।

৯ ডিসেম্বর ১৯৭১ঃ ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশী সাংবাদিকরা যুক্ত বিবৃতিতে ৪ তারিখের বিমান হামলায় জাতিসংঘের ত্রান কাজের তিনটি প্রাটিস পোর্টার বিমান ইচ্ছাকৃত ধ্বংসের নিন্দা জানান। সাংবাদিকরা এ সময় তেজগাঁ বিমান বন্দরে দায়িত্ব পালনরত ছিলেন। তারা বিমানবন্দরে ভুপাতিত একটি ভারতীয় মিগ ২১ বিমানের ছবি ধারন করতে এখানে এসেছিলেন। তারা বলেন বিমান গুলি খুব নিচু থেকে আক্রমন করে এ উচ্চতা থেকে বিমানের জাতিসংঘ প্রতীক পাইলট দের দেখার কথা।
নোটঃ এরা গতকাল বিমান বন্দরে জাতিসংঘ কর্মচারীদের ঢাকা ত্যাগের দৃশ্য ধারনের জন্য তেজগাও বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন। বিদেশী সাংবাদিক যারা যুদ্ধকালীন পূর্ব পাকিস্তানে অবস্থান করছিলেন। এদের বেশীর ভাগ পাক তাবেদার ছিলেন। পাক জান্তা তাদের প্রোপাগান্ডা সংবাদ প্রচারের স্বার্থে এদের কাউকে কাউকে ব্যাবহার করত।
১) হোলিংওয়ার্থ টেলিগ্রাফ
২) ডোনালড আরথার ওয়াইজ মিরর
৩) স্টিস্ফেন হারপার ডেইলি এক্সপ্রেস
৪) গেভিন ইওং অবজারভার
৫) জ্যাক সোরেস লস এঞ্জেল টাইমস
৬) জেমস স্টারবস নিউইয়র্ক টাইমস
৭) জুলিয়ান কের রয়টার
৮) রোনালড রবসন বিবিসি
৯) আন্থনি ক্লিফটন নিউজ উইক
১০) আরনলড রীড ভোঁয়া
১১) জন হামফ্রে বিবিসি টেলিভিশন
১২) মিকেল নিকলসন ইনডিপেন্ডেন্ট টিভি
১৩) ফিলিপ ব্রাডি এনবিসি
১৪)জন গেলরি ইউ পি আই
১৫) লোথার মুলার জার্মান টিভি
১৬) ফ্রাঙ্ক ফেরারি ইতালি টিভি
১৭) আব্বাস আত্তার এএফপি