৮ ডিসেম্বর ১৯৭১ঃ ভাদুরিয়া (হিলি) যুদ্ধ
হিলির উত্তরে ভাদুরিয়াতে দুদিন স্থির থাকার পর আজ ভারতীয় বাহিনী গোলাবর্ষণ শুরু করে। এখানে এমন যুদ্ধ হয় যে দুই পাকিস্তানী সৈন্য গুলীর পরিবর্তে ট্যাঙ্কের তলায় পিষ্ট হয়ে মারা যান। তাদের নাম সিপাহী ইয়াকুব এবং সিপাহি ফয়েজ। এখানে ছিল এক সাহসী পাক হাবিলদার মাস্কিল শাহ। তার কাছে ছিল ৭৫ এমএম রিকয়েলস রাইফেল। তিনি ট্রেঞ্চ হতে বের হয়েই ৫০০ গজ দূরে থাকা ট্যাঙ্কের প্রতি গুলিবর্ষণ শুরু করেন কিন্তু তিনিও ট্যাঙ্কের গোলায় নিহত হন। সুবেদার শের আফজাল কোম্পানি কম্যান্ডার সাবির কামালের নির্দেশে ট্যাঙ্কে গুলি করতে থাকেন তিনিও ট্যাঙ্কের গোলায় নিহত হন। ১৩ এফএফ কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাবির কামাল ভারতীয়দের প্রতিহত করতে নিজেই নেমে পরেন যুদ্ধে তিনিও গুলির আঘাতে নিহত হন। ভারতীয় ইস্টার্ন কম্যান্ড অধিনায়ক ভাদুরিয়ার এ যুদ্ধকে পূর্বে সেরা যুদ্ধ আখ্যায়িত করেন। এ যুদ্ধে ১৭ কুমাউন রেজিমেন্ত এর ৫৫ জন নিহত হয়। সাবির কামাল পরে সিতারা ই জুরাত খেতাব পেয়েছিলেন। ১৬ ডিভিশন জিওসি নজর হোসেন শাহ তার ৩৪ ব্রিগেড দু ভাগ করেন। দু ব্রিগেডিয়ার নাইম এবং নবাব আলী আশরাফকে দায়িত্ব দিয়ে তাদের মোতায়েন করেন গোবিন্দগঞ্জের করতোয়ার দু পাড়ে। ভাদুরিয়ার পতন হওয়াতে হিলি ঘোড়া ঘাট গোবিন্দগঞ্জ হুমকির মধ্যে পড়ে। গোবিন্দগঞ্জের উত্তরে আগেই ভারতের ৩৪০ ব্রিগেড নিঃশ্বাস ফেলছিল।