৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ঃ পূর্ব পাকিস্তানের নেতৃবৃন্দ ও পরিস্থিতি
কেন্দ্রে সরকার গঠন
সামরিক আইনের কাঠামোতেই ইয়াহিয়া খানকে প্রেসিডেন্ট বহাল রেখে নতুন সরকার গঠন করার আমন্ত্র জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান। নতুন প্রধান মন্ত্রী হয়েছেন সংযুক্ত কোয়ালিশন দল নেতা নুরুল আমীন। জুলফিকার আলী ভুটটো কে উপ প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রী করা হয়েছে। মন্ত্রীসভার বাকী সদস্যদের এই দুইজনের সাথে পরামর্শক্রমে পরে নিয়োগ দেয়া হবে। প্রেসিডেন্ট এই ঘোষণা দেয়ার আগে দুই জন প্রেসিডেন্ট এর সাথে দেখা করেন।
বিশেষ মোনাজাত
ভারতীয় সেনাবাহিনীর পরাজয় কামনা এবং পাকিস্তান বাহিনীর বিজয় কামনা করে দেশের সকল মসজিদে বাদ জোহর বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। এছাড়াও জনগনের মনোবল অটুট রাখা পাকিস্তানের অখণ্ডতা ও সংহতির জন্য ও মোনাজাত করা হয়। গভর্নর মালিকের আহ্বানে এই মোনাজাত আয়োজন করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেদের এক সভায় ভারতের নগ্ন হামলার নিন্দা করা হয়। সেখানে বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। মোনাজাতে জাতিকে এই সঙ্কট কাটিয়ে উঠার শক্তি ও সাহস দানের জন্য আল্লাহতায়ালার কাছে প্রার্থনা করা হয়।
একশন কমিটি
পূর্ব পাকিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে সরকারকে সহযোগিতার জন্য গঠিত ১৭ সদস্য এর সর্বদলীয় একশন কমিটি গঠন ও বৈঠকে বসে। কমিটির সভায় খান আব্দুস সবুরকে আহবায়ক করা হয়। কমিটি বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের কাজে পরামর্শ প্রদান করবে। সদস্যরা হলেন কাউন্সিল মুসলিম লীগের খাজা খয়ের উদ্দিন, সিরাজুদ্দিন এমপিএ, পিডিপির শফিকুর রহমান, ফজলুল হক এমপিএ, জামাতের গোলাম সারওয়ার, এম এ খালেক, কনভেনশন মুসলিম লীগের এএনএম ইউসুফ, আব্দুল মতিন, কাইউম মুসলিম লীগের খান সবুর, ইব্রাহিম হোসেন এমপিএ, কেএসপির সাইফুর রহমান, মোহাজির গ্রুপ ওসমান আলী, শ্রমিকদের পক্ষে কাজী গোলাম আহমেদ এমদাদুল ইসলাম, সৈয়দ নেজামে ইসলামীর মঞ্জুরুল আহসান।