৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ঃ পূর্ব পাকিস্তান নেতৃবৃন্দ
সিলেটে গতকাল কয়েক হাজার লোক ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মিছিল করেছে। মিছিলকারীরা ভারতীয় সাম্রাজ্য বাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। পরে জেলাস্কুল অডিটোরিয়ামে সভা করে। সভায় সভাপতিত্ব করেন শান্তি কমিটি জেলা আহবায়ক শহীদ আলী। বক্তব্য রাখেন গোলাম জিলানী চৌধুরী, সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আজমল আলী চৌধুরী। আজমল চৌধুরী তার বক্তব্য এ বলেন আমরা দালালদের সহ্য করব না আমাদের বাহিনী দিল্লী পৌঁছানো না পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে। আমরা ভারতকে ধংশ করে দিব।
খুলনায় শত শত ছাত্র ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মিছিল করেছে। মিছিলকারীরা ভারতীয় সাম্রাজ্য বাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। পরে তারা জিলা স্কুল অডিটোরিয়ামে সভা করে সভায় ছাত্র নেতৃবৃন্দ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে বক্তব্য দেয়।
আইনমন্ত্রী জসিম উদ্দিন আহমেদ ঢাকায় মার্চ মাস থেকে বিভিন্ন ভারতীয় তৎপরতার উদাহরণ টেনে বলেন ভারত পাকিস্তানকে বিভক্ত করতে চায়। ভারতের কার্যকলাপ সারা বিশ্ব এর কাছে অজানা নয়। তিনি সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে বলেন আমাদের জওয়ানরা ভারতকে সমুচিত জবাব দিবে। তিনি যেকোনো পরিস্থিতিতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান।
বরিশালে শিল্প মন্ত্রী আখতার উদ্দিন বলেন ভ্রত কখনো পাকিস্তানের সৃষ্টি মেনে নেয়নি তাই তারা পাকিস্তানের উপর আগ্রাসন চালিয়েছে। তিনি বলেন এটা অত্যন্ত দুঃখজনক আমাদের কিছু জনগন সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ভাবে ভারতের প্রতি সহানুভূতিশীল।এরা বিপথগামী হয়েছে এবং ভারত এদেরকে পাকিস্তানের সংহতির বিরুদ্ধে অপ ব্যাবহার করে আসছে। তিনি মুসলমানদের এবং কায়েদে আজমের ইতিহাস বর্ণনা করে বলেন মুসলমানরা ইমান বজায় রাখলে তারা তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারবে। তিনি বলেন জয় আমাদের হবেই। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন নির্বাচিত এমএনএ/এমপিএ আব্দুর রব এবং শমশের আলী
রাজশাহীতে শান্তিকমিটির চেয়ারম্যান মুসলিম লীগ নেতা আয়েন উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তারা শত্রুদের বিরুদ্ধে জিহাদে যোগদানের জন্যে জনগণের প্রতি আহবান জানায়।