অন্তরীণাবস্থা থেকে আটক এবং জেল হত্যার পর পত্রিকায় প্রকাশিত রিপাের্ট
দৈনিক ইত্তেফাক: আগস্ট ২৪, ১৯৭৫
দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযােগে সাবেক উপরাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ ২৬ জন গ্রেফতার ও দুর্নীতি, সমাজবিরােধী। তৎপরতা, স্বজনপ্রীতি ও ক্ষমতার অপব্যহারের মাধ্যমে বিপুল সম্পদ ও সম্পত্তি। হস্তগত করার অভিযােগে সামরিক আইনের বিধিমালার আওতায় সাবেক । সরকারের প্রধানমন্ত্রী জনাব মনসুর আলি, সাবেক উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল। ইসলাম, সাবেক মন্ত্রী জনাব তাজউদ্দীন আহমদ, জনাব কোরবান আলি, জনাব। আবদুস সামাদ আজাদ এবং কয়েকজন এমপিসহ মােট ২৬ জনকে গতকাল । (শনিবার) গ্রেফতার করা হইয়াছে।
(৩) জনাব তাজউদ্দীন আহমদ, সাবেক অর্থমন্ত্রী, পিতাঃ মরহুম ইয়াসীন খান, দরদরিয়া, কাপাসিয়া এবং ৭৫১, সাত মসজিদ রােড, মােহাম্মদপুর, ঢাকা।
দৈনিক ইত্তেফাক ঃ নভেম্বর ৫, ১৯৭৫ বুধবার
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সৈয়দ নজরুল, মনসুর আলি, কামরুজ্জামান ও তাজউদ্দীন নিহত। (ইত্তেফাক রিপাের্ট) : সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ। নজরুল ইসলাম, সাবেক প্রধানমন্ত্রী জনাব এম. মনসুর আলি, সাবেক অর্থমন্ত্র জনাব তাজউদ্দীন আহমদ এবং সাবেক শিল্পমন্ত্রী জনাব এ. এইচ. এ কামরুজ্জামান গত রবিবার মধ্যরাত্রে ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে নিহত হইয়াছে, (ইন্নালিল্লাহে …..রাজেউন)।
গতকাল (মঙ্গলবার) সন্ধ্যার পর জেল সূত্র হইতে এই সংবাদ পাওয়া গিয়া, তাহাদের লাশ গতরাত্রে ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে বিশেষ ব্যবস্থাধীনে ময়না তদতে ব্যবস্থা করা হয়। ইহার পর গতকাল রাত্রি পৌনে দুইটার সময় আত্মী স্বজনদের নিকট তাহাদের লাশ ফিরাইয়া দেওয়া হয়। এই সংবাদ ছড়াইয়া পড়ার পর তাঁহাদের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, শুভানুধ্যায়ী ও গুণগ্রাহীরা তাঁহাদের বাসভবনে সমবেত হয়। প্রসঙ্গতঃ উল্লেখযােগ্য যে, গত ১৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর তাহাদিগকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রাখা হয়।
সূত্র : আমার ছোটবেলা ১৯৭১ এবং বাবা তাজউদ্দীন আহমেদ – সিমিন হোসেন রিমি