You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.12.01 | যুদ্ধ পরিস্থিতি - সংগ্রামের নোটবুক

১ ডিসেম্বর ১৯৭১ঃ যুদ্ধ পরিস্থিতি

৩ নং সেক্টর (B)
মেজর মইনের নেতৃত্ব এ মুক্তিবাহিনীর একটি দল মাঝরাত থেকে সকাল পর্যন্ত যুদ্ধ করে সিঙ্গারবিল রেলস্টেশন সহ আশেপাশের কিছু এলাকা দখল করে। এখানে শত্রু সংখ্যাও ছিল প্রায় এক ব্যাটেলিয়ন মুক্তি বাহিনীও এক ব্যাটেলিয়ন শক্তি নিয়ে যুদ্ধ করে। পাক বাহিনীর একজন আটক ২০ জন নিহত হয়। মুক্তিবাহিনী পক্ষে একজন নিহত হয় তার নাম সিপাহী ইয়াসিন। আহত হয় ৩ জন হাবিলদার ও ৩ জন সিপাহী।
২ নং সেক্টর (B)
কে ফোর্সের ৪ ও ১০ বেঙ্গল মুক্তিবাহিনী পূর্ণোদ্দমে যুদ্ধ করে ফেনী শহর দখল করে। ১নং সেক্টরের ক্যাপ্টেন মাহফুজের বাহিনী সহ তারা দুটি কলামে চট্টগ্রামের দিকে অগ্রসর হয়ে মুহুরি পাড়ে অবস্থান নেয়। বি এস এফ এবং মুক্তিবাহিনীর ১ নং সেক্টরের আরেকটি দল ছাগলনাইয়া দখল করে।
৮ নং সেক্টর (TOI)
যশোরের অধিকৃত এলাকায় গতকাল প্রবাসী সরকারের এক প্রতিনিধিদল সফর করেন। তাদের মধ্যে ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা কেএম ওবায়দুর রহমান, যশোর আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক রওশন আলী, সাব সেক্টর কম্যান্ডার ক্যাপ্টেন নাজমুল হুদা, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট জামাল উদ্দিন এমপিএ মুনশিগঞ্জ। গত সপ্তাহের যুদ্ধে যারা চৌগাছা ছেড়ে গিয়েছিল তারা ফেরত এসেছে। যশোরের এমপিএ তবিবুর রহমান সরদার অধিকৃত এলাকার বেসামরিক প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি কুষ্টিয়ার অধিকৃত এলাকাও দেখাশুনা করছেন।
পচাগর
পচাগরে ভারতীয় বাহিনী তাদের শক্তি বৃদ্ধি করেছে।
রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানে মুখপাত্র বলেন এদিন সারাদিনে জামালপুরের কামালপুরে ১০০ জন সিলেটে ১২ দিনাজপুরে ১২ জন সহ মোট ১৩০ জন ভারতীয় সৈন্য নিহত হয়েছে। কামালপুরে নিহত সৈন্যরা ১০ গার্ড ব্যাটেলিয়নের। আটক করা হয়েছে হিলিতে ৭ জন সিলেটে ১ জন। হিলিতে নিহতরা হিলির উত্তর দিক দিয়ে আক্রমনের সময় নিহত হয়। ভারতীয় বাহিনী মোঘল হাটে আক্রমন করেছে।
আইএসপিআর থেকে মেজর জলিলের ছবি পত্রিকায় প্রকাশনার জন্য দেয়া হয়।
কয়েকদিন আগে যশোরে বিমান যোগে বিদেশী সাংবাদিকদের যুদ্ধক্ষেত্র দেখানোর জন্য নেয়া হয়েছিল। পরে আরেকবার গিয়েছিল কিনা তার তথ্য পাওয়া যায়না। এপি ডিসেম্বরের এক তারিখের ঘটনা উল্লেখে ভিডিও ইউটিউবে আপলোড দিয়েছে।
নোটঃ পত্রিকা গুলো পরাধীন এলাকাগুলোতে এখনো যুদ্ধ চলছে বলে সংবাদ প্রকাশ করছে বাস্তবে এলাকাগুলি ২-৩ দিন আগে তাদের পদানত হয়। যেমন পচাগর, মোঘলহাট, চৌগাছা, জীবননগর। আরেকটি বিষয় হল এলাকা হারানোর বিষয়ে মুখপাত্র প্রায় সঠিক সংবাদ জানালেও পূর্ব পাকিস্তানের জন্য ত বিকৃত করে প্রকাশ করা হয়।