২৮ নভেম্বর ১৯৭১ঃ যশোরের জীবননগরে ভারতীয় আক্রমন এবং নিয়াজীর জরুরী সফর
যশোরের জীবননগরে নতুন সেক্টর খুলে এক স্কোয়াড্রন ট্যাঙ্ক শক্তি নিয়ে একটি পূর্ণ ব্রিগেড হামলা চালায়। লে. জেনারেল নিয়াজী এদিন যশোরের ঝিনাইদহে ৫৭ ব্রিগেড সদর ও যুদ্ধ ফ্রন্ট পরিদর্শন করেন। তিনি ঝিনাইদহ পৌঁছলে সেখানকার জনগন তাকে শ্লোগান সহকারে অভ্যর্থনা জানায়। নিয়াজী তাদের উদ্দেশ্যে বলেন যে কোন মূল্য এ আবাস ভুমি রক্ষায় ঝিনাইদহের জনগনের ভুমিকা প্রশংসনীয়। তিনি বলেন এরূপ অজেয় দৃঢ় তার অধিকারী জনগনের মনোবল ধ্বংস করা যায়না। তিনি পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আগে মুসলমানদের দুরবস্থা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলে যে, বিধর্মীরা আবার আমাদেরকে দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করতে চায়। এদেরকে সহযোগিতা করছে কতিপয় মুসলমান নামধারী বিভ্রান্ত ব্যক্তি। তিনি বলেন বিশ্বাস ঘাতকেরাই মুসলিম ঐক্য ও শক্তি দুর্বল করছে। তা না হলে মুসলমানেরা কোনদিন যুদ্ধে পরাজিত হয়নি। তিনি এ সকল লোক সম্পর্কে জনগন কে হুশিয়ার করে দেন।
তিনি ফ্রন্টে সৈনিকদের সাথে আলাপ করেন এবং সৈনিকদের বীরত্বপূর্ণ সাফল্যে গর্ব প্রকাশ করেন।
নোটঃ মাত্র একদিন আগে তিনি যশোর সফর করেন। এই দিনে আবার ঝিনাইদহ আসার কারন হল ভারত ঝিনাইদহ বরাবর নতুন যুদ্ধ ফ্রন্ট খুলেছে এবং প্রথম দিনেই তারা জীবন নগর দখল করে নেয়। এই অংশে পাক বাহিনী যুদ্ধের ৪-৫ দিন পর থেকেই তেমন কোন প্রতিরোধ না গড়েই পলায়ন বা আত্মসমর্পণ করে।