২৭ নভেম্বর ১৯৭১ঃ পশ্চিম পাকিস্তানে জামাত নেতৃবৃন্দ
গোলাম আজম
রাওয়ালপিন্ডি বার সমিতির এক সভায় গোলাম আজম বলেছেন পূর্ব-পাকিস্তানের ইসলাম এবং পাকিস্তানের অখণ্ডতায় বিশ্বাসী জনগণ ভারতের বিরুদ্ধে মরণ আঘাত হানার প্রস্তুতি গ্রহন করেছে। দেশ ও ইসলামের স্বার্থে তারা ভারতের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবে।
তিনি বলেন, আক্রমণই হলো প্রতিরক্ষার বড় অস্ত্র। যুদ্ধের সময় প্রত্যাঘাত না করে কোনো জাতি টিকে আছে এমন নজির ইতিহাসে নেই।
তিনি বলেন খোদা না করুক পূর্ব পাকিস্তান যদি ভারতের দখলে চলে যায় তবে পশ্চিম পাকিস্তানের অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন হবে। তিনি বলেন ন্যাপ উভয় অংশ তাদের ছাত্র সংগঠন ও বিচ্ছিন্নতাবাদে জড়িত। তিনি বলেন প্রদেশের জনগন
বিচ্ছিন্নতার জন্য আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়নি ভোট দিয়েছিল অধিক স্বায়ত্তশাসনের জন্য। নির্বাচনী প্রচার কালে শেখ মুজিব সবসময় বলে আসছিলেন তিনি শক্তিশালী পাকিস্তান চান একই সাথে তিনি বলেছিলেন তিনি কোরআন সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন করবেন না।
একেএম ইউসুফ
করাচী বিমান বন্দরে জামাত নেতা ও প্রাদেশিক রাজস্ব মন্ত্রী মাওলানা একেএম ইউসুফ সাংবাদিকদের জানান, ন্যাপ নিষিদ্ধ করে প্রেসিডেন্ট পূর্ব-পাকিস্তানী জনগণের দাবি পূরণ করেছে। এদলের পূর্ব পাকিস্তানের অধিকাংশ নেতাই ভারতে অবস্থান করছেন। শেখ মুজিবের মুক্তি এবং তার সঙ্গে আলোচনা হতে পারে কিনা, সাংবাদিকদের এ রকম এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এরকম প্রচেষ্টা ২৫ মার্চের আগে অনেকবারই হয়েছিল কিন্তু শেখ মুজিবের একঘেয়েমির কারনে তা ব্যার্থ হয়েছিল। এ অবস্থায় বর্তমানে শেখ মুজিবের সঙ্গে কোনো আলোচনা কি করা যায়?