‘সেই রাজাকার’ নুলা মুসার খবরে ফরিদপুরে তােলপাড়
ফরিদপুর, ২৪ মার্চ, নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ পাকি দোস্ত নুলা মুসার খবরে ফরিদপুর তােলপাড়। আজকের দৈনিক জনকণ্ঠে নুলা মুসা ওরফে প্রিন্স ড, মুসা বিন শমসেরের একাত্তরের কুকীতির খবর প্রকাশ পাওয়ায় ফরিদপুরের সাধারণ মানুষ উল্লসিত। খবরটি ছিল আজকের টক অব দ্য টাউন। সাড়ে ১০টার মধ্যে পত্রিকার স্টলগুলাে থেকে। জনকণ্ঠ ফুরিয়ে যায়। ২০/২৫ টাকা করেও বিক্রি হয় জনকণ্ঠের কপি। পরে ফটোস্ট্যাটের দোকান থেকে ২ টাকা করে বিক্রি হয় নুলা মুসার একাত্তরের কুকীর্তি। ফটোস্ট্যাটের দোকানগুলােতে আলাপ করে জানা যায়, আজ এক হাজারেরও বেশি ফটোকপি বিক্রি হয়েছে। নুলা মুসার এক প্রতিবেশী জনকণ্ঠের এ প্রতিবেদকের সঙ্গে দেখা করে জনকণ্ঠ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, একাত্তরের ২১ এপ্রিল যেদিন পাকি সেনারা ফরিদপুরে ঢুকেছিল সেদিন গােয়ালচামটের শরিফ মােটরসের সামনে বড় একটি পাকি পতাকা উড়িয়ে খিচুরি ও মাংস খাইয়ে পাকি সেনা বহরকে অভ্যর্থনা, আপ্যায়ন করেছিল।
মুসা ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। মুসা বিন শমসেরের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র ঢাকা থেকে টেলিফোনে ফরিদপুরে জনকণ্ঠের প্রতিবেদককে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, নব্বইয়ের গণআন্দোলনে শহীদ ডা, মিলন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও মুসার যােগসূত্র রয়েছে। স্বৈরশাসক এরশাদের | ভাড়াটে গুণ্ডা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী চক্রটির ছিল মুসার ড্যাটকো অফিসে অবাধ যাতায়াত। ডা. মিলন খুনের ঘণ্টা দেড়েক আগে এ সন্ত্রাসী দলটি ড্যাটকো অফিস থেকে গােপন বৈঠক সােরে মাইক্রোবাসযােগে বেরিয়ে যায় । ফরিদপুরের সাধারণ মানুষও ৩০ বছর পর একাত্তরের পাকি দোস্ত নুলা মুসার কুকীর্তির খবর প্রকাশ করায় জনকণ্ঠকে কৃতজ্ঞতা জানায়। সেই সঙ্গে তারা সেই রাজাকার’ কলামটি অন্তত আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত অব্যাহত রাখার আবেদন জানায়।
জনকণ্ঠ ২৫-০৩-২০০১
সূত্র : সেই রাজাকার – জনকন্ঠে প্রকাশিত রিপোর্টের সংকলন