মাগুরার বিনােদপুর উরুড়ায় লুটপাটের হােতা সালাম মাস্টার আজ সমাজসেবী
সঞ্জয় রায় চৌধুরী, মাগুরা থেকে ॥ মুহম্মদপুর উপজেলার বিনােদপুর ও উরুড়া এলাকার কুখ্যাত রাজাকার ও পাকি বাহিনীর দোসর আব্দুস সালাম মাস্টার বর্তমানে সমাজসেবক, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে সে ছিল এ অঞ্চলের আতঙ্ক। একাত্তরের ভয়ঙ্কর রাজাকার। সালাম মাস্টারের বিরুদ্ধে বর্তমানে মাগুরা অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলাও ঝুলছে। আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে তার ভাই আব্দুল মজিদের কাজের মেয়ে চামেলীকে (১৩) ধর্ষণ ও হত্যা করে পুকুরে ফেলে রাখার অভিযােগ রয়েছে। চামেলীর বাবার নাম ওসমান খান, বাড়ি রাজবাড়ী জেলায়। ঝামেলা হতে পারে- এই ভয়ে সালাম মাস্টার সম্পর্কে এলাকার লােক মুখ খুলতে চায় না। জানা গেছে, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে সালাম মাস্টার বিনােদপুরের হরিপদ সাহার বাড়ি লুট ও দখল করেছিল। একই গ্রামের শচীন্দ্রনাথের বাড়িঘর ভেঙ্গে নিয়ে নিজের বাড়িতে উঠিয়েছিল। স্বাধীনতার পরে চাপের মুখে সে অবশ্য এগুলাে ফেরত দেয়। একাত্তরের রাজাকার সালাম মাস্টারের লুটপাটের খতিয়ান দীর্ঘ হলেও অনেকেই মুখ খুলতে নারাজ। স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, সে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে অবসর নিয়েছে। তার বর্তমান বিষয়-সম্পত্তি প্রচুর। ছেলেমেয়েরা সবাই প্রতিষ্ঠিত। আব্দুস সালাম মাস্টারের বক্তব্য, সে বলে, মুক্তিযুদ্ধের সময় কোন লুটপাট সে করেনি বা রাজাকার ছিল না। সে প্রশ্ন রাখে, রাজাকার হলে জেল খাটলাম না কেন? কেউ মারল না কেন? সে বলে, শত্রুপক্ষের লােকেরা তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে।
জনকণ্ঠ ॥ ২৫-০৪-২০০০
সূত্র : সেই রাজাকার – জনকন্ঠে প্রকাশিত রিপোর্টের সংকলন