রাজনৈতিক সমস্যা থেকে শরণার্থী
সমস্যাকে আলাদা করা যায় না। বিলাতের শ্রমিক দলের জাতীয় কার্যকরী পরিষদের সভায় গৃহীত এক প্রস্তাবে বলা হয়েছে : বাংলাদেশের জনগণ নিদারুণ দুঃখ যন্ত্রণা ভােগ করছে। এজন্য পাকিস্তানকেই নিন্দা করতে হয়। কারণ পাকিস্তানই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি প্রয়ােগ করেছে। শ্রমিক দলের মতে বাংলাদেশ সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান প্রয়ােজন। রাজনৈতিক সমাধানের জন্য প্রয়ােজন, (১) বাংলাদেশে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর অত্যাচার অবিলম্বে বন্ধ করা; (২) শেখ মুজিবর রহমান সহ সকল জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতার মুক্তিদান; (৩) এই সব নেতার সাথে আলাপআলােচনার মাধ্যমে, জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী রাজনৈতিক সমাধানের সূত্র উদ্ভাবন। প্রস্তাবে বলা হয়েছে রাষ্ট্রসঙ্গ বাংলাদেশে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারে। কারণ, পাকিস্তান বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্গন করেছে ও একটি জাতিকে সমূলে ধ্বংস করবার নীতি গ্রহণ করেছে। জাতি-ধ্বংস নীতি বা গণহত্যা রাষ্ট্রসঙ্ঘের কনভেনসন বিরােধী। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, পাকিস্তানকে অর্থনৈতিক সাহায্য দানকারী বিভিন্ন দেশের উচিৎ আর্থিক সাহায্য বন্ধ করে দেওয়া। কারণ, এই সাহায্য পাকিস্তান সরকার এখন তার দেশের উন্নয়ন কাজে নিয়ােজিত না করে করবে সামরিক বাহিনীর কাজে। বৃটিশ শ্রমিক দলের মতে রাষ্ট্রস বাংলাদেশের ব্যাপারে সরাসরি হস্তক্ষেপ করে জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী বাংলাদেশ সমস্যার একটা সমাধান খুজে বের করতে সাহায্য করতে পারে ।
জয়বাংলা (১) ॥ ১: ২৩ ॥ ১৫ অক্টোবর ১৯৭১
সূত্র : গণমাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ – খন্ড – ০৪