শরণার্থীদের বাঁচাতে হবে
অনেক শিল্পী, সাহিত্যিক, কবি, শিক্ষাবিদ এবং বুদ্ধিজীবিও ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদেরকে এসময় এগিয়ে আসতে হবে। শরণার্থী শিবিরে গিয়ে শরণার্থীদের সাথে আলাপ আলােচনা করে তাদের মনােবল অটুট রাখায় মনাে নিবেশ করতে হবে। শরণার্থীরা তাদের সাথে আলাপ করে, তাদেরকে নিজেদের মধ্যে পেয়ে নিজেদের দুঃখকষ্ট কিছুটা লাঘব করে নতুন উদ্যমে সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়ার প্রেরণা পাবেন এতে কৈান সন্দেহ নেই। কিছু কিছু বুদ্ধিজীবি ইতিমধ্যেই শিবিরে গিয়ে শরণার্থীদের সুখ সুবিধার দিকে নজর দিয়েছেন। তাদের সাথে অন্যেরাও যদি অংশ নেন তাহলে শরণার্থীদের মনে কোনরূপ হতাশা আর দেখা দেবে না। আর এভাবেই সম্ভব হবে এই লক্ষ লক্ষ শরণার্থীকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়ে তােলা। অবশেষে আমরা বিশ্বের বিবেকবান রাষ্ট্রগুলাের কাছে এই আবেদনই জানাবাে যে তারা যেন বিভিন্ন রকম ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে এই নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেন যাতে তারা যেন তাদের দেশে ফিরে যেতে পারেন। সেখানে গিয়ে মারা গেলেও তাদের এই সান্ত্বনাটুকু অন্তত: থাকবে যে তারা মৃত্যুর আগে স্বাধীন দেশের পবিত্র মাটিতে এসেই মারা গেছেন। স্বাধীন দেশ দেখে যেতে পেরেছেন।
দাবানল ॥ ১ : ৩ ॥ ১০ অক্টোবর ১৯৭১
সূত্র : গণমাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ – খন্ড – ০৪