৯ নভেম্বর ১৯৭১ঃ যুদ্ধ ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি
পরশুরাম যুদ্ধ
মুক্তিবাহিনী ১০ম বেঙ্গলের দুই কোম্পানী যোদ্ধা রাত সাড়ে এগারোটায় পরশুরাম ও বেলুনিয়া পাকঘাঁটির ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এই অভিযানে ৩০ জন রাজাকার সহ ৪৫ জন পাকসৈন্য নিহত হয় এবং মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র দখল করে। চারঘন্টা যুদ্ধের পর পাকসেনারা তাদের পরশুরাম ও বেলুনিয়া ঘাঁটি পরিত্যাগ করে পালিয়ে যায়। এখান থেকে মুক্তি বাহিনী ৮ জন ১৫ বালুচ সৈন্য এবং ১২ জন মিলিশিয়া আটক করে।
ভারতীয় গোলন্দাজ সমর্থনে ভারতীয় চরদের দু কোম্পানির একটি দল কুমিল্লার দক্ষিনে আক্রমন চালায়। পাকিস্তান সেনাবাহিনী দক্ষতার সাথে হামলা প্রতিহত করেছে। কুমিল্লার লাল গড়ে ১৮ ভারতীয় চর নিহত হয়েছে আহত হয়েছে ২৩ জন। এখানে একজন পাকিস্তানী সেনা নিহত ও দুজন আহত হয়েছে।
ময়মন সিংহের পানিহাটায় অনুরূপ হামলায় পাক বাহিনীর হাতে ১৬ জন ভারতীয় চর নিহত হয়েছে আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ৩ জন আহত হয়েছে। চকপাড়ায় এপকাফের হামলায় জন ৩ জন ভারতীয় চর নিহত হয়েছে।
বরিশালের এক গোপন আস্তানায় হানা দিয়ে এপকাফ ও রাজাকাররা হামলা চালিয়ে ১০ জনের দলের ৯ জনকে আটক করে গোলাগুলির সময় একজন নিহত হয়। তাদের সম্পূর্ণ অস্র আটক করেছে। কুমিল্লার সাতমুড়াতে অনুরূপ ঘটনায় ২ জন ভারতীয় চর নিহত হয়েছে। সিলেটের জৈন্তিয়াপুরে ভারতীয় চররা আরেকদফা হামলা করেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বোমা হামলায় শিক্ষক সহ কয়েকজন ছাত্র ছাত্রী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে আছেন ডঃ আব্দুল মতিন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দর্শন বিভাগ, জিহারা বেগম এমএ ছাত্রী দর্শন বিভাগ, অফিস সহকারী দর্শন বিভাগ।
ভিকারুননিসা স্কুলে স্কুলের ক্লাস চলাকালীন সময়ে স্কুলের বাহিরের দিকে বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বোমায় স্কুল ভবনের ক্ষতি হয়।
২) নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার নবীগঞ্জ বিদ্যুৎ সাব স্টেশনে বোমাবাজিতে সাব স্টেশনটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়। সাব স্টেশনে কর্তব্যরত সিপাহী নিখোঁজ এবং সুইচ রুম অপারেটরকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।