দুইজন কুখ্যাত পাক দালালের মৃত্যুদন্ড
রৌমারী ॥ ২৬শে অক্টোবর-আমাদের নিজস্ব প্রতিনিধি পরিবেশিত সংবাদে প্রকাশ অদ্য চিলমারীর কুখ্যাত পাক দালাল পঞ্চু মিয়া ও ওয়ালী মােহাম্মদ মুক্তিফৌজ অধিনায়ক কর্তৃক মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত হয় এবং রৌমারীতে বিকাল সাড়ে চার ঘটিকার সময় মুক্তি ফৌজের আঞ্চলিক সদর দপ্তর প্রাঙ্গনের শেষ সীমান্তে মুক্তিফৌজের ফায়ারিং স্কোয়াডের সম্মুখে এই দালাল দুইজনকে হাজির করা হলে হাজার হাজার লােক তাদের মৃত্যু দন্ডাদেশ পালন দেখতে হাজির হয়। বধ্যভূমিতে দাড়িয়ে মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তে তারা স্বেচ্ছায় স্বীকার করে-চিলমারী ও উলিপুর থানার অধিকৃত অঞ্চলের শত শত লােকের জীবন নাশ, ধন সম্পদ লুণ্ঠন ও ঘরবাড়ীতে অগ্নি সংযোেগ এবং অবলা নারীর অমূল্য সতীত্ব নষ্ট করতে তারা পাক বাহিনীকে সক্রিয়ভাবে সহায়তা করেছে। তাই তাদের আজ মৃত্যুদন্ড হয়েছে। এ থেকে সকল বঙ্গ বৈরী। পাক দালালদের শিক্ষা পাওয়া উচিত যে, তাদের কৃত কর্মের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। এ দন্ডাদেশ থেকে পাক দালালদের রক্ষা করার ক্ষমতা দুনিয়ার কোন শক্তির নেই।
অগ্রদূত ॥ ১ : ৯ ॥ ২৭ অক্টোবর ১৯৭১
বরিশালে ১২ জন দালাল অফিসার খতম
বরিশাল থেকে প্রাপ্ত খবরে প্রকাশ, গেরিলা যােদ্ধারা গত ৮ই অক্টোবর খান সেনা তাবেদারদের একটি পুলিশ অফিসার দলের ওপর চোরাগােপ্তা আক্রমণ চালিয়ে একজন এস, ডি, ও, সহ কমপক্ষে ১২ জনকে খতম করেন। অবশিষ্ট দালালরা হাতে পায়ে বুলেট ক্ষত নিয়ে কোন প্রকারে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে যায়। মুক্তিযােদ্ধাদের এই দুঃসাহসিক অভিযানের ফলে খান সেনাদের দালাল অফিসাররা সম্ভাব্য মৃত্যুর চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে বলে উক্ত খবরে প্রকাশ।
জয়বাংলা (১) ॥ ১: ২৫ ॥ ২৯ অক্টোবর ১৯৭১
জেনারেল সেক্রেটারী এখন হাওয়ালদার
আলী রেজা প্রদত্ত বিশ্বাস করুন আর নাই করুন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির জেনারেল সেক্রেটারী জনাব মশিহুর রহমান এখন একজন হাওয়ালদার। আমাদের নিজস্ব সংবাদদাতার প্রেরিত খবরে প্রকাশ, যে পাকবাহিনীর গুপ্তচর হিসেবে মশিহুর রহমান এপ্রিল মাসে ভারতে গিয়েছিলেন এবং সেখান থেকে ফিরে এলে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া তাকে তার কাজের প্রশংসা করেন এবং পুরস্কার স্বরূপ ডিমলা অঞ্চলের রাজাকার। বাহিনীর হাওয়ালদার পদটি দেন। বর্তমানে তিনি দক্ষতার সহিত রাজাকার বাহিনী পরিচালনা করছেন।
সােনার বাংলা (১) ॥ ১: ৭ ॥ ৩০
সূত্র : গণমাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ – খন্ড – ০৪