রাজাকারের আত্মসমর্পন মুক্তিফেীজের উত্তরােত্তর তৎপরতা
বৃদ্ধির ফলে পাক সেনাদের যে বিপুল ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে তাতে তাদের মনােবল একদম ভেঙ্গে পড়েছে বুঝতে পেরে রাজাকার বাহীনির মােট ১৭ জন যােয়ান তাদের সমস্ত অস্ত্র-শস্ত্রসহ মুক্তিফৌজের অধিনায়ক সাহেবের নিকট আত্মসমর্পন করেছে। অধিনায়ক সাহেব তাদের ক্ষমা করত। মুক্তিবাহিনীতে যােগদানের সুযােগ দিয়েছেন। তারা এখন পূর্ণ সহযােগিতার সঙ্গে রৌমারী, চিলমারী রণাঙ্গনের মুক্তিফৌজের অগ্রবর্তী ঘাটিগুলিতে থেকে—পান্জাবী দস্যু হানাদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে চলেছে।
অগ্রদূত ॥ ১ : ৪ ॥ ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৭১
রাজাকারেরা দলে দলে ধরা দিচ্ছে
হানাদার খান সেনারা মুক্তিবাহিনীর ব্যাপক তৎপরতা প্রতিহত করার জন্য লুটপাটের লােভ দেখিয়ে মাত্র দু-সপ্তাহের ট্রেনিং দিয়ে যে রাজাকার দল গঠন করেছিল তারা এখন প্রতিদিন দলবদ্ধভাবে আমাদের মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করছে। গত ১৬ই সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়ার বাবলা চড়া ইউনিয়ন শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান তার অধীনে ২২ জন রাজাকারকে সঙ্গে নিয়ে মুক্তিবাহিনীর হাতে আত্মসমর্পণ করেছে। সেই সঙ্গে উক্ত দলটি তাদের কাছে রক্ষিত সমস্ত রসদসহ রাইফেল, হাল্কা মেশিনগান, সর্টগান, ষ্টেনগান প্রভৃতি বিপুল অস্ত্রশস্ত্রও মুক্তি বাহিনীর হাতে তুলে দেয়। এ ধরনে বেশ কয়েকটি রাজাকার দল মুক্তি বাহিনীর হাতে ধরা দিয়েছে। একমাত্র খুলনা জেলাতেই এ ধরণের দলত্যাগীর সংখ্যা ৬০ তারা তাদের সব অস্ত্রশস্ত্র সমেত মুক্তিবাহিনীতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছে।
জয়বাংলা (১) ॥ ১: ২০ ॥ ২৪ সেপ্টেম্বর ১৯৭১
সূত্র : গণমাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ – খন্ড – ০৪