পাক জল্লাদদের নৃশংসতার ঘৃণিত কাহিনী
পশ্চিম পাঞ্জাবী জল্লাদগণ কর্তৃক বাংলা মায়ের আদরের দুলাল বাঙ্গালী বীর যােদ্ধাদের নৃশংসভাবে হত্যার আরও লােমহর্ষক খবর পাওয়া গেছে। খুলনা থেকে বিলম্বে প্রাপ্ত এক খবরে প্রকাশ, ইতিহাসের ঘৃণ্যতম পাঞ্জাবী জল্লাদ বাহিনী গত এপ্রিল মাসে খুলনায় প্রায় পৌনে ২ শত নিরস্ত্র ই, পি, আর বাহিনীর লােক বন্দী করে। তাদের মধ্য থেকে পরে ২৫ জনকে হত্যা করে খুলনার পশ্চিম পাঞ্জাবী পদলেহী এবং জল্লাদদের দোসর খান, এ, সবুরের বাড়ীর নিকটস্থ মডেল স্কুলের সামনে আম গাছে ঝুলিয়ে রাখে। লাশগুলাে পঁচে গলে দুর্গন্ধ বিস্তার করলে ওদের মাটির নীচে পুঁতে রাখা হয়। প্রকাশ, বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে গত মার্চ মাসে অসহযােগ আন্দোলন শুরু হলে পাক দস্যুরা খুলনার ই, পি, আর বাহিনীর নিকট থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়। এর পর এপ্রিল মাসে তাদের ১৭৫ জনকে নিরস্ত্র অবস্থায় বন্দী করে। বর্তমানে খুলনায় পাক জল্লাদদের বন্দী শিবিরে আরও প্রায় ১৫০ জন বাঙ্গালী ই, পি, আর জোয়ান এক অমানুষিক যন্ত্রণার মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। প্রত্যেহ সকালে তাদের উপর পাক সেনাদের পদলেহী পুলিশ অকথ্য নির্যাতন চালিয়ে থাকে। দু’তিন দিন পর পর তাদের মনুষ্য ভক্ষণের অযােগ্য খাদ্য সরবরাহ করা হয়ে থাকে। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের বিশ্বধিকৃত নাজী জল্লাদ হিটলারের বন্দী শিবিরগুলােতে বন্দীদের উপর এরকম সুপরিকল্পিত উপায়ে নৃশংস অত্যাচার চালানাে হত।
উল্লেখ করা যেতে পারে যে, বাংলার দুষমন খাজা খয়ের উদ্দিনের বৃটিশ দালাল পূর্ব পুরুষের আমলে ১৭৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের সময় বিদ্রোহী সিপাহীগণকে বৃটিশ জল্লাদবাহিনী হত্যা করে ঢাকার সাবেক ভিক্টোরিয়া পার্কের আম বাগানের ডালে ডালে ঝুলিয়ে রেখেছিল এবং ঝুলন্ত অবস্থায়ই সেদিনের বীর শহীদানের লাশগুলাে পচে গলে নিঃশেষিত হয়েছিল। সভ্য জগতে এর পর আর এমন নৃশংসতার কথা জানা যায়নি। বর্তমান মানবতাবাদ বিশ্বে পর রাজ্যলােলুপ জল্লাদরা বাংলার বুকে পুনরায় পরাধীন যুগের পৈশাচিক নৃশংসতার পুনরাবৃত্তি ঘটালাে। এছাড়া গত এপ্রিলের প্রথম দিকে পাক জল্লাদগণ ঢাকার কুর্মিটোলা সেনানিবাসে ন্যাশন্যাল সার্ভিস পরিকল্পনা অনুযায়ী সাময়িক ট্রেনিং দানরত প্রায় ৬০/৭০ জন বাঙ্গালী তরুণকে সামরিক বাহিনীর গাড়ীতে করে ঢাকার অদূরে জয়দেবপুরে নিয়ে গিয়ে রাজবাড়ীর একটি কক্ষে ঢুকিয়ে গুলী করে হত্যা করে। উল্লেখযােগ্য ট্রেনিং দানরত এসব তরুণ প্রত্যেকেই কলেজের মেধাবী ছাত্র ছিল। পাক দস্যু বাহিনী মারণাস্ত্র নিয়ে বাংলার নিরস্ত্র মানুষের উপর ঝাপিয়ে পড়ার কয়েকদিন পর এ সকল বাঙ্গালী তরুণকে নিজ নিজ বাড়ী চলে যাওয়ার জন্য পাক সামরিক কর্তৃপক্ষ ছুটি দেয় এবং নিরাপদে যাতে শহর থেকে যেতে পারে এ কথা বলে তাদের শহর থেকে দূরে জয়দেবপুর পর্যন্ত সামরিক বাহিনীর গাড়ীতে করে নিয়ে গিয়ে এমন নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বাঙ্গালী তরুণদের আর বাড়ী যাওয়া হয়নি। বাংলার এসব তরুণদের মা বাবা ও আত্মীয়স্বজনগণ আদরের সন্তানের কোন খোঁজখবর না পেয়ে আজও পুত্রের আগমনের প্রতীক্ষায় অশ্রুসিক্ত মা বাবা গভীর উৎকণ্ঠার সাথে দিনাতিপাত করছেন।
এছাড়া পশ্চিম পাকিস্তানে সামরিক বাহিনীর যে সকল বাঙ্গালী জোয়ান ছিলেন, তাদের অনেককেই সম্প্রতি পাক সামরিক কর্তৃপক্ষ স্বদেশে এসে বাবা মায়ের সাথে সাক্ষাত করার জন্য ছুটি দান করে বলে জানা যায়। ছুটিদানই নয়—এমন কি ঢাকা পর্যন্ত আমার পি আই এর টিকেটও তাদের কিনে দিয়ে করাচী বিমান বন্দরে এসে বিমানে উঠিয়ে দেয়। তারা ঢাকা বিমান বন্দরে পৌছলে পাক দস্যুদের পদস্থ কর্তা তাদের বিমান বন্দর থেকে শহরের বাইরে নিরাপদস্থানে পৌছিয়ে দেয়ার নাম করে কোথায় যে নিয়ে যায় তার আর কোন হদিস পাওয়া যায় না। করাচী থেকে আগত জনৈক বাঙ্গালী জোয়ান সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই প্রতিনিধিকে জানান | যে, পশ্চিম পাকিস্তান থেকে বাঙ্গালী জোয়ানদের ঢাকায় পাঠানাের সময় তাদের দ্বারা ছুটির দরখাস্ত লিখিয়ে রাখা হয় এবং ঢাকা বিমান বন্দরে পৌছানাের পর পাঞ্জাবী জল্লাদরা ঢাকায় তারা নিরাপদে পৌছেছেন এধরণের স্বীকারােক্তিমূলক একটি খাতায় তাদের বাঙ্গালী জোয়ানদের স্বাক্ষর রেখে তারপর সামরিক বাহিনীর গাড়ীতে নিয়ে যায়। উক্ত বাঙ্গালী জোয়ানটি জানান যে, ঢাকা বিমান বন্দরে অবস্থানরত সামরিক বাহিনীর একজন অফিসারের সাথে তার খুবই খাতির ছিল তাই তাকে গাড়িতে না তুলে নিরাপদে বিমানবন্দর থেকে অন্য পথে বের করে দেয়। তাই তিনি বেঁচে গেছেন।
জয়বাংলা (১) ॥ ১: ১১ ২৩ জুলাই ১৯৭১
ঝালকাঠি না ‘মাইলাই’ ঝালকাঠী অঞ্চলে পাক বাহিনীর বর্বরােচিত হামলা অত্যন্ত ভয়াবহ ও বেদনাদায়ক
নরখাদক পাক বর্বর বাহিনী বাংলা দেশের অন্যতম বাণিজ্য কেন্দ্র ঝালকাঠী বন্দরটি সম্পূর্ণরূপে লুণ্ঠন করেছে, জ্বালিয়ে। দিয়েছে শহরের ৯০ ভাগ বাড়ীঘর—খ্যাতি সম্পূর্ণ ফরিয়াপট্টি আরৎদারপঠি, মনােহারীপট্টির বড় বড় গুদামগুলি। মর্টারের সেলের আঘাতে উড়িয়ে দিয়েছে, শহরের বড় মসজিদের মিনার ধ্বংশ করেছে কালীবাড়ী। সম্পূর্ণরূপে ধ্বংশ করে দিয়েছে কৃষি সম্পদে ভরপুর আটগর, কুরিয়ানা, সদশকাঠী, ভীমরুলা, খাজুরা, কৃত্তিপাশা, ঝাউকাঠী প্রভৃতি অঞ্চলগুলি। এইসব অঞ্চলের গইয়া, আখ, তরিতরকারী শুধু ঝালকাঠী বরিশালের প্রয়ােজন মিটাত না—প্রত্যহ কয়েকটি লঞ্চ বােঝাই দিয়া বাংলাদেশে অন্যান্য কেন্দ্রে বিশেষ করে ঢাকায় সরবরাহ করা হত। মেসিনগান ও রাইফেলের গুলিতে হাজার হাজার মানুষ এ অঞ্চলে হত্যা করেই নরখাদকেরা ক্ষান্ত হয় নাই, কুঠার ও রামদা দিয়ে কাঠ ফারার মত ফেরেছে হাত পা কেটে দিয়েছে মাথা কেটে জবাই করেছে শত শত নিরাপরাধী যুবক শিশুকে। ইজ্জতহানি করেছেধরে নিয়ে গেছে শত শত কুলবধু ও যুবতী মেয়েদের। ‘ ২৭শে এপ্রিল ঝালকাঠীর প্রত্যেকটি মানুষের কাছে বিভীষিকাময় হয়ে থাকবে চিরদিন। এই দিনের ধ্বংশলীলা এ অঞ্চলের অধীবাসীরা কখনও ভুলিবে না। নরখাদক পাক সেনাবাহিনী কখন আসে এই ভীতির মধ্যে কয়েকদিন হতে সমস্ত অঞ্চলের মানুষকে কাটাতে হয়েছে। শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ। অনেকেই শহর ছেড়ে পাশবর্তি অঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছে। ২৭শে এপ্রিল সন্ধ্যায় সকলেই শংকিত মনে। ঘরে ফিরছে, এমন সময় ভারী মর্টারের শব্দ শােনা গেল।
পাক সেনারা গানবােট থেকে মর্টারের সেল। বর্ষণ করতে করতে ঝালকাঠী নদীতে প্রবেশ করেছে। শংকিত, ভীত মনে প্রত্যেকটি স্ত্রী, পুরুষ, শিশু ঘর থেকে বেড়িয়ে পরে অবস্থা লক্ষ্য করতে থাকে। সন্ধ্যা গাঢ় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাক বাহিনী তিনদিক দিয়ে শহরে প্রবেশ করে এবং চার-পাঁচ দলে বিভক্ত হয়ে শহরে ছড়িয়ে পরে। বিকট শব্দে বােম ফাটাতে থাকে। প্রত্যেকটি ঘরের তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে মূল্যবান মালপত্র লুট করে আগুন লাগিয়ে দেয়। একমাত্র ঝালকাঠী নদীর পার্শ্বস্থ কিছু বাড়ীঘর তারা ধ্বংশ করে না। যাহাতে নদীপথে যাতায়াতে ধ্বংস প্রাপ্ত স্থান চোখে না পড়ে অবশিষ্ট সমস্ত শহরে তারা আগুন ধরিয়ে দেয়। রাত্র যতই বেশী হতে। থাকে আগুনের লেলিহান শিখা ততই তীব্র হতে থাকে। শহরের চতুর্দিকের প্রায় ১৫/২০ মাইল স্থান। সম্পূর্ণরূপে দিনের মত আলােকিত হয়ে যায়। ৫০/৬০ মাইল দূর থেকে অনেকে সমস্ত রাত আগুনের লেলিহান শিখা প্রত্যক্ষ করে। মাঝে মাঝে কেরােসিনের পিপা, টিন ফাটার শব্দ, ঘরের চালের টিন ছােটার শব্দ, মানুষের বিকট চিৎকার, মর্টার মেসিনগান, রাইফেলের শব্দ, আতঙ্কগ্রস্থ মানুষকে আরও আতঙ্কিত করে তােলে। সমস্ত রাত ধরে শিশু, যুবক, স্ত্রী পুরুষ সকলেই যার যার সামর্থ অনুযায়ী বােঝা মাথায় রেখে যতদূর পারে ছুটাছুটি করতে থাকে। প্রায় ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত শহরে আগুন জ্বলেছে। ২৮ শে ভােরে গানবােট বােঝাই দিয়ে মাল নিয়ে পাক সেনারা চলে যায়। ৩রা মে ২৫০ জন পাক বর্বরবাহিনী ঝালকাঠী শহরে স্থায়ী ঘাটি করে এবং প্রত্যহ ঝালকাঠীর বিভিন্ন অঞ্চলে ধ্বংশলীলা চালায় মুক্তিবাহিনীর আশ্রয়স্থল ২৩টি গ্রাম নিয়ে গঠিত মুক্তাঞ্চল কয়েক দিন আগে কয়েক হাজার পাক সেনা রাজাকার সম্পূর্ণরূপে ধ্বংশ করে দিয়েছে। এই অঞ্চলের ৯০ ভাগ ঘরবাড়ী জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছে। শত শত স্ত্রী-পুরুষ শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। বিরাট বিরাট পেয়ারা বাগান কেটে ফেলা হয়েছে।
৭ দিন পর্যন্ত মুক্তাঞ্চলের চারপাশে কারফিউ জারী করে ১০ খানা বড় লঞ্চ ও গানবােট দিয়া পাহারা দেওয়া হয়। বিভিন্ন স্থান থেকে বাইরের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ এই মুক্তাঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছিল। বহু লােক রাতে নিরূপায় হয়ে নদীতে সাতার দিয়ে পালাতে গিয়ে ডুবে মরে। শত শত বীভৎস চেহারা মানুষের মৃতদেহ সমস্ত অঞ্চলের বাতাস পানি অনেকদিন হতে দুষিত করে রেখেছে। দুষিত পানি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, ইনজেকশসন, টিকার অভাবে কলেরায় বহু লােক মারা গিয়েছে। বাংলা দেশের স্বাধীকার আদায়ের আন্দোলনে ঝালকাঠি সবসময় বিশিষ্ট ভুমিকা গ্রহণ করেছে। এই বৎসরের বাচার দাবী আদায় তথা স্বাধীনতা আন্দোলনে এবং হানাদার শত্রু বিতাড়নে ঝালকাঠির সগ্রামী জনতা প্রাণপণ রক্তাক্ত সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। দেশের অন্যান্য স্থানের মত মুক্তিবাহিনী গঠন করে ট্রেনিং-এর ব্যবস্থা করা হয়। প্রায় ২০০ শত মুক্তি যােদ্ধাকে ট্রনিং ক্যাম্প করে রুটিন করে নিয়মিত ট্রেনিং দেওয়া হয়। কিন্তু বিভিন্ন প্রকার অস্ত্রের অভাব অনেক অসুবিধার সৃষ্টি করে। ২৪শে এপ্রিল মুক্তি বাহিনীর ক্যাম্প কীর্তিপাশা সরিয়ে নেওয়া হয়। ৩রা এপ্রিল ১৫০ শত পাক হানাদার বাহিনী ভারী অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কীর্তিপাশা আক্রমণ করে, আমাদের মুক্তি বাহিনীর কাছে তখন মাত্র ৩৫টি রাইফেল ছিল। অসুবিধা দেখে ক্যাম্প ভীমরুলা নিয়ে যাওয়া হয়। ৩রা এপ্রিলের তীব্র আক্রমণে মুক্তি বাহিনীর লােকজন বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ে। বহু কষ্টে আবার বাহিনী গঠন করা হয়। মুক্তি বাহিনী ১৩ গ্রামকে নিয়ে মুক্ত অঞ্চল ঘােষণা করে তাদের কাজ চালিয়ে যেতে থাকে। গ্রামে গ্রামে গ্রাম রক্ষী। বাহিনী গঠন করা হয়। আস্তে আস্তে মুক্ত অঞ্চল বাড়িয়ে ২৩টি গ্রাম মুক্ত অঞ্চল করা হয়। বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক গােপন অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
২ মাসে ১২৫ জন জাতীয় শত্রু খতম করা হয়। তাদের মধ্যে ঝালকাঠির মােসলেম লীগ দালাল আদম আলী, রুস্তুম আলি, গাবখানের প্রাক্তন চেয়ারম্যান পান্না মিঞা, মেম্বর রত্তন মিঞা, লুঠ করার অপরাধে রত্তন খা, আ: মজিত, আঃ খালেককে হত্যা করা হয়। কুখ্যাত ডাকাত মৌজে আলী ফজলুকে হত্যা করা হয়। দালাল নূর মৌলভী কাঞ্চন খাঁকে হত্যা করা হয়। বিগত মে মাসের শেষ দিকে মুক্তি বাহিনী পাক বাহিনীর একটি দলকে আক্রমণ করে ১৪ জন পাক সেনা ও ৭ জন দালাল খতম করে। পাক বাহিনী আটগর থেকে ফেরার পথে ইন্দুকাঠিতে তাদের আক্রমণ করা হয়। এর ৩/৪ দিন পরে টহলদার পাক বাহিনীর উপর আক্রমণ করে বাউকাঠিতে মুক্তি বাহিনী ২ জন হানাদার খতম করে। কিছুদিন আগে পাক বাহিনী ও রাজাকার বাহিনীর একটি বিরাট দল উক্ত অঞ্চল আক্রমণ করে অঞ্চলটিকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করে। মুক্তি বাহিনী বাধ্য হয়ে ওখান থেকে সরে গিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। বর্তমানে রাজাকার ও মিলিটারীর মিলিত বাহিনী অঞ্চলটির উপর অকথ্য নির্যাতন চালাচ্ছে। যুবকদের জোর করে ধরে নিয়ে রাজাকারে নাম দিচ্ছে। তবুও বিভিন্ন প্রকার অসুবিধার মধ্যেও মুক্তি বাহিনী তাদের শক্তি বাড়িয়ে চলছে এবং দালালদের খতম করে…অতি শীঘ্রই মুক্তি বাহিনী হানাদার ও তাদের দালালদের সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করতে সমর্থ
বিপ্লবী বাংলাদেশ ॥ ১:১৪ আগস্ট ১৯৭১
সূত্র : গণমাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ – খন্ড – ০৪