নারী নির্যাতনে পাকফৌজের ঘৃণ্য পদ্ধতি
(নিজস্ব সংবাদদাতা) এক বিশ্বস্ত খবরে জানা গেছে যে গত ক’দিন পূর্বে বর্বর পাক সেনারা একদল বাঙ্গালী নারীকে উলঙ্গ করে সমস্ত পাক হিলি বাজারে বেড়াতে বাধ্য করে। এ ঘৃণ্য পৈশাচিক দৃশ্য দেখতে না পেরে লােকজন সঙ্গে সঙ্গে বাজার ত্যাগ করেন। পরবর্তী এক সংবাদে জানা যায় ঐ সমস্ত নারীদের মধ্যে অনেকে আত্মহত্যা করেছেন।
স্বাধীন বাংলা (৩) ॥ ১ : ৭ ॥ ১২ জুলাই ১৯৭১
পাঞ্জাবী সৈন্যদের কবলে আরও একটি পরিবার
(নিজস্ব সংবাদদাতা) বিগত ১৫-৫-৭১ তারিখে বাঘমারা থানার ডাক্তার দ্বীজেন্দ্রনাথ সরকার ভারতের উদ্দেশে বাড়ী হতে যাত্রা করেন। গত ১৮ই মে যখন তিনি গােমস্তাপুর থানার ভারতীয় সীমানার ৭/৮ মাইলের নিকট পেীছেন তখন হঠাৎ একদল পাকফৌজ তাদেরকে ঘিরে ধরে ও সকলকে এক লাইনে দাঁড় করিয়ে মেশিন গানের গুলি চালায়। এই গুলিতে তাঁহার বি. এ. বি. টি, ১ জন ভাতিজা ও একজন শ্যালক নিহত হন। ১টি গুলি তাহার কোমরে ঢুকে অপর দিকে বের হ’লে তিনি অজ্ঞান হয়ে অনেকক্ষণ পড়ে থাকেন। সংজ্ঞা ফিরলে তিনি তাঁর ২ মেয়ে ও ১ ছেলেকে দেখতে পাননি। পরে তিনি লােকজনের সাহায্যে পঃবঙ্গের মালদহে প্রবেশ করে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। তাঁর সঙ্গে আরও ৩ জন কোনও রকমে রক্ষা পায়। বর্তমানে তিনি সুস্থ হলেও ঐ ভয়াবহ ঘটনার কথা মনে পড়লে জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়ছেন। তিনি জানান যে, অপর ১৭/১৮ জন এ গুলি বর্ষণে মারা যায় । তাদেরকে একই সঙ্গে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়। তার মধ্যে ২/৩ জন অর্ধ মৃত অবস্থায় পড়েছিল।
স্বাধীন বাংলা (৩) ॥ ১: ৭ ॥ ১২ জুলাই ১৯৭১
সূত্র : গণমাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ – খন্ড – ০৪