৭ নভেম্বর ১৯৭১ঃ ইসলামী ছাত্র সংঘের বদর দিবস পালন ও কমিটি পুনর্গঠন
ইসলামী ছাত্র সংঘের প্রাদেশিক কার্যকরী সংসদের সভায় মীর কাশেম আলীকে দলের সাধারন সম্পাদক কামারুজ্জামানকে দপ্তর সম্পাদক মমতাজুল করিমকে প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়। গণমাধ্যমকে বিষয়টি দুদিন পরে জানানো হয়। বদর দিবস পালন উপলক্ষে বায়তুল মোকাররমের সামনে ইসলামী ছাত্র সংঘ সমাবেশ করে। সমাবেশে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলী আহসান মুজাহিদ ৪ দফা ঘোষণা করেন। দফা এক আমরা বিশ্ব মানচিত্রে হিন্দুস্তান বিশ্বাস করি না যতদিন যাবত হিন্দুস্তানের নাম মানচিত্র থেকে মুছে না যাবে ততদিন আমাদের বিশ্রাম নেই দুই আগামিকাল থেকে কোন লাইব্রেরীতে হিন্দুদের লেখা বই থাকবে না যদি কোন লাইব্রেরীতে পাওয়া যায় তবে সে লাইব্রেরী জালিয়ে দেয়া হবে। তিন পাকিস্তানী অস্তিত্তে বিশ্বাসী স্বেচ্ছাসেবকদের নামে অপপ্রচার হচ্ছে এসকল অপপ্রচার সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে। চার বায়তুল মোকাদ্দাস উদ্ধারের সংগ্রাম চলবে। সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের শহর সভাপতি মোঃ শামশুল হক। সভায় আরও বক্তব্য দেন প্রদেশ সাধারন সম্পাদক মীর কাশেম আলী। কাশেম আলী তার ভাষণে ৩ দফা ঘোষণা করেন এক ভারতের আক্রমন রুখে দাঁড়াবো দুই দুষ্কৃতিকারীদের খতম করব তিন ইসলামী সমাজ কায়েম করব।
সভাপতির ভাষণে শামশুল হক বলেন বদর দিবসের বীরত্বপূর্ণ ঘটনার আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে আমরা বাতিল শক্তিকে নির্মূল করার শপথ নিচ্ছি। সভা শেষে বিশাল এক মিছিল বের হয় মিছিলটি বাহাদুর শাহ পার্কে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে নিম্নরূপ স্লোগান দেয়া হয় বীর মুজাহিদ অস্র ধর ভারতকে খতম কর, বীর মুজাহিদ এগিয়ে চল কলকাতা দখল কর, ভারতের চরদের খতম কর খতম কর ইত্যাদি। রাজশাহীতে ভুবন মোহন পার্কে আল বদর বাহিনী প্রধান আব্দুল হাই ফারুকির সভাপতিত্তে আলবদরের বেসামরিক শাখার সমাবেশে নব নির্বাচিত এমএনএ আফাজ উদ্দিন এবং এমপিএ আয়েন উদ্দিন বদর যুদ্ধের প্রেরনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে পাকিস্তান বিরোধী চক্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য জনগনের প্রতি আহবান জানান।