জুন ২৭, ১৯৭৪ বৃহস্পতিবার ঃ দৈনিক বাংলা
১৯৭৩-৭৪ সালের সম্পূরক বাজেট পাস ও স্ট্যাম্পখাতে মঞ্জুরি দাবির বিরােধিতা করে নির্দলীয় সদস্য জনাব আবদুল্লাহ সরকারের একটি ছাটাই প্রস্তাবের জবাবে বক্তৃতাকালে অর্থমন্ত্রী জনাব তাজউদ্দিন আহমদ জানান যে, বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক স্ট্যাম্প কেলেঙ্কারি সম্পর্কে তদন্ত করা হচ্ছে এবং এজন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরাে জানান, সরকারের কাছে পর্যাপ্ত স্ট্যাম্প মজুত রয়েছে। স্ট্যাম্প ছাপানাের জন্য যে দু’টি বন্ধু রাষ্ট্রে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছিল, তার মধ্যে একটি রাষ্ট্র থেকে এরই মধ্যে স্ট্যাম্প সরবরাহ পাওয়া গেছে। দেশের যে সব জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে স্ট্যাম্পয়ের স্বল্পতা সম্পর্কে খবর পাওয়া গেছে সে সব স্থানে প্রয়ােজনীয়সংখ্যক স্ট্যাম্প সরবরাহ করা হয়েছে। তিনি জানান, চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত গত ১১ মাসে ১০ কোটি ১৭ লাখ টাকার স্ট্যাম্প সরবরাহ করা হয়েছে। মন্ত্রী জানান যে, আকস্মিকভাবে স্ট্যাম্পের মূল্যবৃদ্ধির জন্য এক শ্রেণীর টাউট ও ভেন্ডার দায়ী। এরই মধ্যে কয়েকজন ভেন্ডারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আরাে বলেন, সমাজের রন্ধ্রে যে দুর্নীতি প্রবেশ করেছে এরই প্রভাব পড়েছে। স্ট্যাম্পের ওপরও। তিনি বলেন, জনাব আবদুল্লাহ সরকারের প্রস্তাব অনুযায়ী ডাকঘরের মাধ্যমে স্ট্যাম্প বিক্রি করলে, এই অভাব দূর হবে না। জনগণ যাতে নির্ধারিত মূল্যে প্রয়ােজনীয় ষ্ট্যাম্প পেতে পারেন তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি আরাে জানান যে, যিনি স্ট্যাম্প ক্রেতার নামেই দলিল হয় কিনা তা পরীক্ষা করে দেখার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এসব উপায়ে স্ট্যাম্প সংক্রান্ত দুনীতি দমন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সূত্র : তাজউদ্দীন আহমদ-ইতিহাসের পাতা থেকে – সিমিন হোসেন রিমি